ইলাহাবাদ হাইকোর্ট উত্তরপ্রদেশের চারটি মেডিকেল কলেজের ৭৯% সংরক্ষণ বাতিল করেছে। আদালত বলেছে যে সংরক্ষণ ৫০% এর বেশি হওয়া উচিত নয়। এখন রাজ্য সরকার নতুন করে আসন পূরণ করবে।
UP: ইলাহাবাদ হাইকোর্টের লখনউ বেঞ্চ উত্তরপ্রদেশের চারটি মেডিকেল কলেজে ৭৯% এর বেশি সংরক্ষণ ব্যবস্থাকে অসাংবিধানিক ঘোষণা করে রাজ্য সরকারের আদেশ বাতিল করেছে। আদালত রাজ্য সরকারকে নতুন করে আসন পূরণের নির্দেশ দিয়েছে যাতে ৫০% এর বেশি সংরক্ষণের সীমা অতিক্রম না হয়।
সিদ্ধান্ত কোন কলেজগুলিতে প্রযোজ্য হবে
এই আদেশ আম্বেদকর নগর, কনৌজ, জালোন এবং সাহারানপুরের সরকারি মেডিকেল কলেজগুলিতে প্রযোজ্য হবে। এই কলেজগুলিতে সংরক্ষিত শ্রেণীর জন্য ৭৯% এর বেশি আসন সংরক্ষিত করা হয়েছিল। আবেদন দাখিলের পর আদালত গুরুত্ব সহকারে শুনানি করে এবং সংরক্ষণের সীমা ৫০% এর বেশি উল্লেখ করা আদেশ বাতিল করে দেয়।
আবেদনকারীর যুক্তি কী ছিল
এই আবেদনটি NEET পরীক্ষার্থী সাবরা আহমেদ দাখিল করেছিলেন। সাবরা আহমেদ NEET-২০২৫ এ ৫২৩ নম্বর এবং ২৯,০৬১ অল ইন্ডিয়া র্যাঙ্ক অর্জন করেছিলেন। তিনি বলেন যে রাজ্য সরকার ২০১০ থেকে ২০১৫ সালের মধ্যে অনেক সরকারি আদেশ জারি করেছিল যার ফলে সংরক্ষণের সীমা ৭৯% এর বেশি হয়ে যায়।
আবেদনে আরও বলা হয়েছিল যে এই কলেজগুলিতে ৮৫-৮৫টি আসন রাজ্য সরকারের কোটায় ছিল, কিন্তু সাধারণ শ্রেণীর জন্য কেবল ৭টি আসন দেওয়া হচ্ছিল। এটি সংবিধানের সেই নীতির লঙ্ঘন যেখানে বলা হয়েছে যে সংরক্ষণ ৫০% এর বেশি হতে পারে না।
রাজ্য সরকারের অবস্থান কী ছিল
রাজ্য সরকার এই আবেদনের বিরোধিতা করেছিল। সরকারের পক্ষ থেকে এই যুক্তি দেওয়া হয়েছিল যে সুপ্রিম কোর্টের ইন্দ্রা সাহনি মামলাতেও বলা হয়েছিল যে ৫০% সীমা সম্পূর্ণভাবে বাধ্যতামূলক নয়। প্রয়োজনে এই সীমা বাড়ানো যেতে পারে।
কিন্তু হাইকোর্ট এই যুক্তি মানতে অস্বীকার করে। আদালত বলে যে যদি সংরক্ষণের সীমা বাড়াতে হয়, তবে তা যথাযথ আইনি প্রক্রিয়া এবং নিয়ম মেনে করতে হবে।
আদালতের স্পষ্ট নির্দেশ
হাইকোর্ট তার রায়ে স্পষ্ট করে বলেছে যে কোনও আইনি ভিত্তি ছাড়া সংরক্ষণের সীমা ৫০% এর বেশি করা যেতে পারে না। আদালত নির্দেশ দিয়েছে যে সমস্ত আসন নতুন করে পূরণ করতে হবে। এছাড়াও, আদালত ২০০৬ সালের সংরক্ষণ আইন মেনে চলার উপর জোর দিয়েছে।
পরবর্তী প্রক্রিয়া কী হবে
এখন রাজ্য সরকারকে নতুন করে আসন বণ্টন করতে হবে। এতে নিশ্চিত করা হবে যে ৫০% এর বেশি সংরক্ষণ না হয়। মেডিকেল কলেজগুলিতে ভর্তির প্রক্রিয়া পুনরায় শুরু হবে এবং পূর্বের আদেশ বাতিল করা হবে।
NEET পরীক্ষার্থীদের জন্য স্বস্তি
এই রায়ের ফলে সাধারণ শ্রেণীর সেই NEET পরীক্ষার্থীরা স্বস্তি পাবেন যাদের সীমিত আসনের কারণে আগে ভর্তি হতে পারছিল না। আদালতের আদেশের পর এখন আসনগুলির পুনর্বণ্টন হবে যাতে সকলেই সমান সুযোগ পাবে।
কেন ৫০% সীমা মেনে চলা জরুরি
ভারতের সংবিধানে এই বিধান আছে যে সংরক্ষণ ৫০% এর বেশি হতে পারে না। সুপ্রিম কোর্টও অনেকবার তার রায়ে এটি পুনরাবৃত্তি করেছে। ৫০% এর বেশি সংরক্ষণ হলে সাধারণ শ্রেণীর ছাত্রদের অধিকার প্রভাবিত হয়।