অনন্যা বাংড় তাঁর পেশাগত জীবনের চেয়ে ব্যক্তিগত জীবনের জন্য বেশি सुर्खियों আসেন। এর কারণ হল তিনি তাঁর লিঙ্গ পরিবর্তন (gender transformation) করিয়েছেন। এই কারণে মানুষ তাঁকে নিয়ে জানতে সবসময় উৎসুক থাকে এবং তাঁর ব্যক্তিগত জীবনে অনেক মনোযোগ দেয়।
বিনোদন: 'Rise And Fall' রিয়েলিটি শো-তে দেখা যাওয়া অনন্যা বাংড় বর্তমানে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছেন। শো-টি ৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫ তারিখে অ্যামাজন এমএক্স প্লেয়ারে প্রিমিয়ার হয়েছে এবং শুরু হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই অনন্যা বাংড় দর্শকদের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন। অনন্যা তাঁর পেশাগত জীবনের চেয়ে ব্যক্তিগত জীবনের জন্য বেশি পরিচিত, কারণ তিনি লিঙ্গ পরিবর্তনের মাধ্যমে নিজেকে একটি নতুন পরিচয় দিয়েছেন। তাঁর স্টাইলিশ ছবিগুলি সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হচ্ছে, যেখানে তাঁকে বলিউডের অনেক বিখ্যাত অভিনেত্রীদের সঙ্গে পাল্লা দিতে দেখা যাচ্ছে।
আর্যন থেকে অনন্যা হওয়ার যাত্রা
অনন্যা বাংড় আগে আর্যন বাংড় নামে পরিচিত ছিলেন। আর্যন ছিলেন ভারতীয় ক্রিকেট দলের প্রাক্তন কোচ সঞ্জয় বাংড়ের ছেলে। আর্যন তাঁর বাবার মতো ক্রিকেটার হতে চেয়েছিলেন এবং ১৮ বছর বয়সে মুম্বাইয়ের ইসলাম জিমখানা ক্লাব থেকে তাঁর ক্রিকেট জীবনের সূচনা করেন। কিন্তু সময়ের সাথে সাথে, নিজের পরিচয় নিয়ে গভীর চিন্তাভাবনার পর তিনি লিঙ্গ পরিবর্তনের কঠিন কিন্তু সাহসী সিদ্ধান্ত নেন এবং এখন তিনি অনন্যা বাংড় নামে পরিচিত।
আজ অনন্যা ইংল্যান্ডে থাকেন এবং সম্পূর্ণভাবে একজন মহিলা হিসাবে জীবনযাপন করছেন। তাঁর আত্মবিশ্বাস এবং স্টাইল তাঁকে তরুণদের মধ্যে অনুপ্রেরণা করে তুলেছে।
গ্ল্যামার এবং স্টাইলের ছবি ভাইরাল
অনন্যা সোশ্যাল মিডিয়ায় বেশ সক্রিয় থাকেন। তাঁর ইনস্টাগ্রাম প্রোফাইল তাঁর সৌন্দর্য, স্টাইল এবং আত্মনির্ভরতার এক চমৎকার উদাহরণ। তিনি ওয়েস্টার্ন হোক বা ভারতীয় পোশাক, সব লুকেই খুব সুন্দর এবং আত্মবিশ্বাসী দেখায়। তাঁর মার্জিত ভঙ্গি এমন যে তাঁকে দেখে কেউ বলতে পারবে না যে তিনি একসময় পুরুষ ছিলেন।
ফ্যাশনের পাশাপাশি অনন্যা তাঁর ফিটনেসেরও বিশেষ খেয়াল রাখেন। তাঁকে প্রায়শই জিমে কঠোর পরিশ্রম করতে দেখা যায়। তাঁর বিশ্বাস, ফিটনেস কেবল বাহ্যিকভাবে সুন্দর দেখানোর উপায় নয়, বরং মানসিক শক্তি এবং আত্মবিশ্বাস বাড়ানোর একটি মাধ্যমও।
যদিও অনন্যা লিঙ্গ পরিবর্তনের পর তাঁর কর্মজীবনের দিক পরিবর্তন করেছেন, তবে ক্রিকেটের প্রতি তাঁর ভালোবাসা এখনও একই রকম। তিনি বলেছেন যে তিনি ক্রিকেট খেলতে চান এবং এর জন্য সর্বাত্মক চেষ্টা করছেন। তিনি খেলার মাঠে নিজের জায়গা করে নিতে সংগ্রাম করছেন এবং এটি প্রমাণ করতে চান যে পরিচয় যাই হোক না কেন, আবেগ এবং কঠোর পরিশ্রমের মাধ্যমে যেকোনো স্বপ্ন পূরণ করা সম্ভব।