অনুব্রত মণ্ডল: জেলমুক্তির পর প্রথম ভোট, কৌশলে ফিরবেন দুবরাজপুর কেন্দ্র

অনুব্রত মণ্ডল: জেলমুক্তির পর প্রথম ভোট, কৌশলে ফিরবেন দুবরাজপুর কেন্দ্র

অনুব্রত মণ্ডল বীরভূম ভোট: দীর্ঘ দেড় বছর তিহাড় জেলে থাকার পর অবশেষে মুক্তি পেয়েছেন তৃণমূলের প্রভাবশালী নেতা অনুব্রত মণ্ডল। বীরভূমের দুবরাজপুর ব্লকের যশপুর গ্রামে আয়োজিত বিজয়া সম্মিলনীতে উপস্থিত হয়ে তিনি বিজেপির প্রতি তীব্র আক্রমণ চালালেন এবং নিজের নির্বাচনী পরিকল্পনার খুঁটিনাটি তুলে ধরলেন। তিনি দাবি করেছেন, গত নির্বাচনে ২৬ হাজার লিড ছিল, এবার ৩৫–৩৬ হাজার ভোট পেয়ে দুবরাজপুর কেন্দ্র পুনরুদ্ধার করবেন। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন সায়ন্তিকা বন্দ্যোপাধ্যায় ও অন্যান্য তৃণমূল নেতা।

জেলমুক্তির পর ভোটের প্রস্তুতি

অনুব্রত মণ্ডল জেলমুক্ত হওয়ার পর প্রথম নির্বাচনে সক্রিয় হয়েছেন। বিজয়া সম্মিলনীতে তিনি ভাষণ দিয়ে ভোটে তৃণমূলের সমর্থন বৃদ্ধির প্রতিশ্রুতি দিলেন। কেষ্টের বক্তব্যে ছিল, “গত নির্বাচনে নানা কারণে ১৩ দিন সময় পেয়েছিলাম, সেই ১৩ দিনে তৃণমূল ২৬ হাজার ভোট পেয়েছে। এবার আমরা বিপুল ভোটে জিতব।”

বিজেপির প্রতি আক্রমণ

সম্মিলনীতে কেষ্ট শুধুমাত্র নির্বাচনী পরিকল্পনাই তুলে ধরেননি, বরং বিজেপির বিরোধিতার বিরুদ্ধে তীব্র আক্রমণ চালিয়েছেন। সায়ন্তিকা বন্দ্যোপাধ্যায় মঞ্চ থেকে শুভেন্দু অধিকারীকে ‘মীরজাফর’ হিসেবে কটাক্ষ করেন এবং মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সরকারের প্রকল্পগুলোর তুলনা তুলে ধরেন।

দুবরাজপুর কেন্দ্রে জয়লাভের কৌশল

কেষ্ট বলেন, “দুবরাজপুরের ১০টি এলাকা থেকে আমরা ৩৫–৩৬ হাজার ভোট আশা করি। মা-বোনেরা আমাদের পাশে আছেন, তাই এবার কেন্দ্রে আমাদের জয় নিশ্চিত।” রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করছেন, এই সম্মিলনী কার্যত নির্বাচনী প্রচারের ‘মেগা-মঞ্চ’ হিসেবে কাজ করবে।

তৃণমূলের পরিকল্পনা ও দলীয় নেতৃত্ব

দলের সর্বভারতীয় সভাপতি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় সম্মিলনীর সময়সীমা নির্ধারণ করেছেন। কালীপুজোর আগে এই সম্মিলনী সম্পন্ন করে দলের প্রচার কার্যক্রম তীব্র করা হয়েছে। দলের তরফে নবীন ও প্রবীণ নেতা-মিশ্রণে কেন্দ্রীয় কমিটি গঠনেরও পরিকল্পনা রয়েছে।

বীরভূম: দীর্ঘ দেড় বছর জেলবন্দি থাকার পর অনুব্রত মণ্ডলের প্রথম নির্বাচন। বিজয়া সম্মিলনীতে কেষ্ট বিজেপির দিকে আক্রমণ শানালেন এবং দুবরাজপুর কেন্দ্র ফেরাতে নিজের নির্বাচনী কৌশল প্রকাশ করলেন। তৃণমূলের নেতা-কর্মীরা ছাব্বিশের ভোটে বিপুল ভোটের প্রত্যাশা প্রকাশ করেছেন।

Leave a comment