অ্যাপল তাদের প্রথম ফোল্ডেবল আইফোনের গণ উৎপাদন ২০২৬ সালে ভারতে শুরু করতে পারে। এতে চারটি ক্যামেরা, ই-সিম সমর্থন এবং টাচ-আইডি ফিচার থাকবে। এটি আইফোন ১৮ সিরিজের সাথে লঞ্চ হবে এবং এর দাম প্রায় ১.৭৫ লক্ষ টাকা হতে পারে।
টেক নিউজ: আমেরিকান টেক জায়ান্ট অ্যাপল গত কিছুদিন ধরে ভারতে তাদের উৎপাদন নেটওয়ার্ক দ্রুত গতিতে বাড়িয়েছে। আইফোন ১৭ সিরিজের সমস্ত মডেল এখন ভারতেই তৈরি হচ্ছে এবং বিক্রির প্রথম দিন থেকেই আমেরিকা সহ অন্যান্য দেশে "মেড ইন ইন্ডিয়া" ট্যাগ সহ উপলব্ধ হচ্ছে। এরই মধ্যে খবর আসছে যে অ্যাপল তাদের প্রথম ফোল্ডেবল আইফোনের গণ উৎপাদন ভারতে করতে পারে।
কোম্পানি তাইওয়ানে এই ফোল্ডেবল আইফোনের পরীক্ষামূলক উৎপাদন শুরু করেছে এবং ২০২৬ সালে ভারতে বৃহৎ পরিসরে উৎপাদন করার পরিকল্পনা করছে। এর জন্য অ্যাপল ভারতীয় এবং আন্তর্জাতিক সরবরাহকারীদের সাথে আলোচনাও শুরু করেছে।
৯.৫ কোটি ইউনিটের উৎপাদন
মিডিয়া রিপোর্ট অনুযায়ী, অ্যাপল আগামী বছর বাজারে আসা নতুন আইফোন লাইনআপের অধীনে মোট ৯.৫ কোটি ইউনিট উৎপাদন করবে। এটি গত বছরের তুলনায় প্রায় ১০ শতাংশ বেশি।
অ্যাপল প্রথমে তাইওয়ানে একটি মিনি পাইলট লাইন তৈরি করবে। এখানে সরঞ্জাম পরীক্ষা এবং ফাইন-টিউনিং করা হবে। টেস্টিং সম্পূর্ণ হওয়ার পরেই উৎপাদন প্রক্রিয়া ভারতে বাস্তবায়িত করা হবে। ভারতে ফোল্ডেবল আইফোনের ব্যাপক উৎপাদন করা হবে যাতে এটি বিশ্ব বাজারে সময়মতো উপলব্ধ হতে পারে। তবে, কোম্পানি এখনও এই বিষয়ে সরকারিভাবে কোনো নিশ্চিত খবর জানায়নি।
ফোল্ডেবল আইফোনে নতুন প্রযুক্তিগত বৈশিষ্ট্য
রিপোর্ট অনুযায়ী, অ্যাপলের প্রথম ফোল্ডেবল আইফোন আইফোন ১৮ সিরিজের অধীনে লঞ্চ হতে পারে। এর কিছু প্রধান ফিচার্স নিম্নরূপ:
- মোট চারটি ক্যামেরা: পেছনে দুটি ক্যামেরা এবং ভেতরের ও বাইরের স্ক্রিনে একটি করে ক্যামেরা।
- ই-সিম সমর্থন: ফোনে ফিজিক্যাল সিম স্লট থাকবে না।
- টাচ আইডি: ফেস আইডির পরিবর্তে টাচ আইডি ব্যবহার করা হবে।
- বেধ: ভাঁজ করা অবস্থায় ফোনের বেধ প্রায় ৯-৯.৫ মিমি হবে।
ফোল্ডেবল ডিজাইন এবং এই ফিচারগুলির সাথে, এই আইফোনটি আরও পোর্টেবল এবং ইউজার ফ্রেন্ডলি প্রমাণিত হবে।
ভারতে লঞ্চ এবং দাম
অ্যাপলের প্রথম ফোল্ডেবল আইফোন আগামী বছর আইফোন ১৮ সিরিজের সাথে লঞ্চ হতে পারে। বিশেষজ্ঞদের মতে ভারতে এর দাম প্রায় ১.৭৫ লক্ষ টাকা থেকে শুরু হতে পারে।
অ্যাপলের এই কৌশল প্রিমিয়াম স্মার্টফোন সেগমেন্টে নতুন উত্তেজনা এবং প্রতিযোগিতা তৈরি করবে। এর পাশাপাশি, ভারতীয় ব্যবহারকারীদের জন্য হাই-এন্ড প্রযুক্তি আরও সহজলভ্য হওয়ার সম্ভাবনাও বাড়বে।
ভারতে উৎপাদনের গুরুত্ব
- মেড ইন ইন্ডিয়া ট্যাগ: বিশ্ব বাজারে ভারতীয় উৎপাদন আরও উৎসাহিত হবে।
- কাস্টম ডিউটি হ্রাস: ভারতে উৎপাদন হওয়ার কারণে অ্যাপলের খরচ কম হতে পারে।
- স্থানীয় কর্মসংস্থান সৃষ্টি: নতুন উৎপাদন নেটওয়ার্কের কারণে হাজার হাজার নতুন কর্মসংস্থান তৈরি হবে।
অ্যাপলের এই পদক্ষেপ ভারতকে একটি প্রযুক্তিগত এবং শিল্প কেন্দ্র হিসাবে প্রতিষ্ঠিত করতে সহায়তা করবে।