আসারামের শারীরিক অবস্থা আশঙ্কাজনক: যোধপুর জেল থেকে হাসপাতালে ভর্তি

আসারামের শারীরিক অবস্থা আশঙ্কাজনক: যোধপুর জেল থেকে হাসপাতালে ভর্তি

আজীবন কারাদণ্ড ভোগরত আসারামের শারীরিক অবস্থা হঠাৎ খারাপ হয়ে গেছে। যোধপুর সেন্ট্রাল জেল থেকে তাঁকে একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে, যেখানে তাঁর অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানানো হয়েছে। মেডিকেল টিম অনবরত তাঁর উপর নজর রাখছে।

যোধপুর: নিজের গুরুকুলের নাবালিকা ছাত্রীর সঙ্গে যৌন নির্যাতনের মামলায় আজীবন কারাদণ্ড ভোগরত আসারাম বৃহস্পতিবার হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়েন। সূত্র অনুযায়ী, যোধপুর সেন্ট্রাল জেলে তাঁর শ্বাস নিতে গুরুতর কষ্ট হয়, যার পর জেল কর্তৃপক্ষ দ্রুত তাঁকে বেসরকারি হাসপাতাল আরোগ্যমে ভর্তি করান।

জেল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে যে আসারাম গত কিছু সময় ধরে বেশ কয়েকটি গুরুতর রোগে ভুগছেন এবং তাঁর প্রায়শই শ্বাস নিতে অসুবিধা হয়। মেডিকেল টিম অনবরত তাঁর উপর নজর রাখছে। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ নিরাপত্তা কারণে আসারামের ওয়ার্ডে বাইরের লোকজনের প্রবেশ সম্পূর্ণরূপে নিষিদ্ধ করেছে, যখন জেল পুলিশের একটি বিশেষ দল সব সময় হাসপাতালে মোতায়েন রয়েছে।

যৌন নির্যাতনের মামলায় আজীবন কারাদণ্ড

২০১৮ সালে যোধপুরের বিশেষ পকসো আদালত আসারামকে এক নাবালিকা ছাত্রীর সঙ্গে ধর্ষণের মামলায় দোষী সাব্যস্ত করে আজীবন কারাদণ্ডের সাজা দিয়েছিল। তখন থেকে তিনি যোধপুর সেন্ট্রাল জেলে বন্দি আছেন।

এর আগে ২০১৩ সালে রাজস্থানের যোধপুরের কাছে তাঁর আশ্রমে এক ১৬ বছর বয়সী মেয়ে আসারামের বিরুদ্ধে যৌন হয়রানির অভিযোগ এনেছিল। এই মামলায় ভুক্তভোগীর বাবা-মা অভিযোগ দায়ের করেছিলেন এবং পুলিশ ২০১৩ সালের ৩১ আগস্ট আসারামকে গ্রেপ্তার করে।

জেলে আসারামের স্বাস্থ্য অবস্থা আশঙ্কাজনক 

সূত্র অনুযায়ী, আসারাম বেশ কয়েক বছর ধরে স্বাস্থ্য সমস্যায় ভুগছেন। শ্বাস নিতে কষ্ট, বার্ধক্যজনিত রোগ এবং অন্যান্য জটিলতা তাঁর নিয়মিত জীবন ও জেলে থাকার অবস্থাকে প্রভাবিত করছে।

মেডিকেল টিম অনবরত তাঁর উপর নজর রাখছে এবং ডাক্তাররা প্রয়োজনীয় চিকিৎসা শুরু করেছেন। হাসপাতালে নিরাপত্তা ও গোপনীয়তার কারণে গণমাধ্যম ও বাইরের ব্যক্তিদের ওয়ার্ডে প্রবেশের অনুমতি দেওয়া হয়নি।

আসারামের বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ দায়ের

আসারামের বিরুদ্ধে শুধুমাত্র যোধপুরের মামলাই নেই। ২০১৩ সালে সুরতের দুই বোনও অভিযোগ করেছিলেন যে আসারাম এবং তাঁর ছেলে নারায়ণ সাই ২০০০ সালের দশকের মাঝামাঝি তাঁদের যৌন নির্যাতন করেছিলেন।

যোধপুর আদালত আসারামকে ভারতীয় দণ্ডবিধি, যৌন অপরাধ থেকে শিশুদের সুরক্ষা আইন এবং কিশোর বিচার আইনের বিভিন্ন ধারার অধীনে দোষী সাব্যস্ত করেছিল। এই সাজার পর থেকে তিনি নিয়মিত জেলে আছেন।

Leave a comment