রাম মন্দির ভবন নির্মাণ কমিটির সভাপতি নৃপেন্দ্র মিশ্র জানিয়েছেন যে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর বিশ্বাস, রাম মন্দির শুধু রাষ্ট্র মন্দির নয়, বরং আন্তর্জাতিক রাম মন্দিরে পরিণত হোক।
অযোধ্যা: ভারতীয় রাজনীতি ও ধর্মীয় ইতিহাসে ২৫শে নভেম্বর দিনটি অযোধ্যার জন্য ঐতিহাসিক প্রমাণিত হতে চলেছে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এই দিন অযোধ্যায় ২১ ফুট উঁচু পতাকা উত্তোলনের মাধ্যমে রাম মন্দির নির্মাণ সম্পন্ন হওয়ার ঘোষণা করবেন। এই আয়োজন শুধুমাত্র ধর্মীয় দৃষ্টিকোণ থেকেই নয়, বরং আন্তর্জাতিক স্তরেও রাম মন্দিরের গুরুত্ব তুলে ধরবে বলে মনে করা হচ্ছে।
রাম মন্দির ভবন নির্মাণ কমিটির সভাপতি নৃপেন্দ্র মিশ্র জানিয়েছেন যে প্রধানমন্ত্রী মোদীর বিশ্বাস, রাম মন্দির কেবল একটি জাতীয় প্রতীক নয়, বরং এটি একটি আন্তর্জাতিক রাম মন্দির হিসেবে পরিচিত হওয়া উচিত। প্রধানমন্ত্রী চান যে এই মন্দির সমস্ত অঞ্চল, সমস্ত শ্রেণী এবং সমস্ত মতাদর্শের মানুষের জন্য সম্মান ও অনুপ্রেরণার উৎস হয়ে উঠুক।
২৫শে নভেম্বর: অযোধ্যার জন্য ঐতিহাসিক দিন
২৫শে নভেম্বর অযোধ্যার ইতিহাসে স্বর্ণাক্ষরে লেখা থাকবে। এই দিন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী অযোধ্যায় পৌঁছে রাম মন্দিরের শিখরে পতাকা উত্তোলন করবেন।
- পতাকা উত্তোলনের উচ্চতা: ২১ ফুট
- শুভ তিথি: রাম বিবাহ পঞ্চমী
- অনুষ্ঠান কাল: ২১শে নভেম্বর থেকে ২৫শে নভেম্বর পর্যন্ত পাঁচ দিনের বৈদিক অনুষ্ঠান
পতাকা উত্তোলনের সাথে সাথেই প্রধানমন্ত্রী সমগ্র বিশ্বকে এই বার্তা দেবেন যে রাম মন্দির নির্মাণের কাজ সম্পন্ন হয়েছে। এই দিনটি অযোধ্যার জন্য গর্ব ও শ্রদ্ধার প্রতীক হয়ে উঠবে।
পতাকার স্বরূপ, রঙ এবং প্রতীক চিহ্ন
পতাকার স্বরূপ, রঙ এবং প্রতীক চিহ্ন নির্ধারণের দায়িত্ব শ্রীরাম জন্মভূমি তীর্থ ক্ষেত্র-এর মহাসচিব চম্পত রায়কে দেওয়া হয়েছে। এই পতাকা মন্দিরের শিখরে উত্তোলন করা হবে এবং এটি সমগ্র বিশ্বে রাম মন্দিরের প্রতীক হিসেবে বিবেচিত হবে। মূলত, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ২০২০ সালের ৫ই আগস্ট রাম মন্দিরের ভূমি পূজা করেছিলেন। এরপর ২০২৪ সালের ২২শে জানুয়ারি রামলালা भव्य মহলে অধিষ্ঠিত হন। এই সময় প্রধানমন্ত্রী প্রধান যজমান ছিলেন এবং তাঁর হাতেই রামলালার প্রাণ প্রতিষ্ঠা সম্পন্ন হয়েছিল। এখন মন্দির নির্মাণ সম্পূর্ণ হওয়ার পর ২৫শে নভেম্বর পতাকা উত্তোলন করা হবে।
পতাকা উত্তোলনের এই উপলক্ষে ২১শে নভেম্বর থেকে ২৫শে নভেম্বর পর্যন্ত পাঁচ দিনের অনুষ্ঠান আয়োজিত হবে। অযোধ্যা ও কাশীর বিদ্বান বৈদিক আচার্যদের উপস্থিতিতে এই অনুষ্ঠানগুলি সম্পন্ন হবে। এই অনুষ্ঠানগুলির উদ্দেশ্য হল রাম মন্দিরকে ধর্মীয় ও আধ্যাত্মিক দিক থেকে সম্পূর্ণ রূপে প্রতিষ্ঠিত করা। এর সাথে বিশ্ব সম্প্রদায়কেও এই বার্তা যাবে যে মন্দির নির্মাণের কাজ সফলভাবে সম্পন্ন হয়েছে।