এশিয়া কাপ ২০২৫: ভার্চুয়াল সেমিফাইনালে বাংলাদেশকে হারিয়ে ফাইনালে পাকিস্তান, ভারতের সঙ্গে মহা-ম্যাচের অপেক্ষা

এশিয়া কাপ ২০২৫: ভার্চুয়াল সেমিফাইনালে বাংলাদেশকে হারিয়ে ফাইনালে পাকিস্তান, ভারতের সঙ্গে মহা-ম্যাচের অপেক্ষা
সর্বশেষ আপডেট: 4 ঘণ্টা আগে

পাকিস্তান ও বাংলাদেশের মধ্যে অনুষ্ঠিত এই রোমাঞ্চকর 'ভার্চুয়াল সেমিফাইনাল' ম্যাচের দিকে সবার চোখ ছিল। এই ম্যাচটি উভয় দলের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ছিল কারণ বিজয়ী দল সরাসরি ফাইনালে স্থান করে নেবে।

স্পোর্টস নিউজ: এশিয়া কাপ ২০২৫-এর সুপার-৪ পর্বে বৃহস্পতিবার অনুষ্ঠিত গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে পাকিস্তান বাংলাদেশকে ১১ রানে হারিয়ে ফাইনালে জায়গা করে নিয়েছে। দুবাই আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত এই ম্যাচটিকে 'ভার্চুয়াল সেমিফাইনাল' বলা হচ্ছিল কারণ বিজয়ী দল সরাসরি ফাইনালে প্রবেশ করত। পাকিস্তানের জয়ের সঙ্গে সঙ্গে এখন ক্রিকেটপ্রেমীরা ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে মহা-ম্যাচের অপেক্ষায় রয়েছেন, যা ২৮ সেপ্টেম্বর ফাইনালে অনুষ্ঠিত হবে।

প্রথমে ব্যাট করতে নেমে পাকিস্তানের সংগ্রাম

টসে জিতে বাংলাদেশের অধিনায়ক প্রথমে বোলিং করার সিদ্ধান্ত নেন। পাকিস্তানের ইনিংসের শুরুটা আশানুরূপ ছিল না। টপ-অর্ডার ব্যাটসম্যানরা নিয়মিত বিরতিতে আউট হতে থাকেন। তবে, মোহাম্মদ হারিস সর্বোচ্চ ৩১ রানের একটি গুরুত্বপূর্ণ ইনিংস খেলেন এবং দলকে সামলান। অন্যান্য ব্যাটসম্যানদের মধ্যে স্যাম আইয়ুব ২১ রান, অধিনায়ক বাবর আজম ১৯ রান এবং মোহাম্মদ নওয়াজ ১৫ রান যোগ করেন।

বাংলাদেশের বোলাররা নিখুঁত লাইন ও লেন্থে বোলিং করে পাকিস্তানের ব্যাটসম্যানদের অবাধে খেলার সুযোগ দেননি। পুরো ইনিংসে পাকিস্তান ২০ ওভারে ৮ উইকেট হারিয়ে মাত্র ১৩৫ রান সংগ্রহ করে।

বাংলাদেশের ফাস্ট বোলার তাসকিন আহমেদ সবচেয়ে সফল ছিলেন। তিনি ৪ ওভারে মাত্র ২৪ রান দিয়ে ৩ উইকেট তুলে নেন। স্পিনার মেহেদি হাসান এবং রিশাদ হোসেন ২টি করে উইকেট লাভ করেন, যেখানে মুস্তাফিজুর রহমান একটি সাফল্য পান। বাংলাদেশের বোলিং পাকিস্তানকে বড় স্কোর করতে দেয়নি এবং লক্ষ্য ১৩৬ রানে সীমাবদ্ধ রাখে।

পাকিস্তানের বিধ্বংসী বোলিংয়ে ম্যাচের মোড় ঘুরে গেল

লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে বাংলাদেশের দলের শুরুটাও খারাপ ছিল। পাকিস্তানের ফাস্ট বোলার শাহীন শাহ আফ্রিদি প্রাথমিক ধাক্কা দেন। এরপর হারিস রউফ মিডল অর্ডারকে ধসিয়ে দেন। দুজনেই বিধ্বংসী বোলিং করে তিনটি করে উইকেট তুলে নেন। অন্যদিকে, স্যাম আইয়ুব ২টি এবং মোহাম্মদ নওয়াজ ১টি উইকেট নেন।

বাংলাদেশের হয়ে নাজমুল হোসেন শান্ত (২৮ রান) এবং লিটন দাস (২৫ রান) কিছু চেষ্টা করলেও, অন্য ব্যাটসম্যানরা পাকিস্তানের বোলারদের মোকাবেলা করতে পারেননি। শেষ ওভারগুলিতে চাপ বাড়ার কারণে বাংলাদেশ দল ২০ ওভারে ৯ উইকেট হারিয়ে মাত্র ১২৪ রানই করতে পারে এবং ১১ রানে হেরে যায়। পাকিস্তানের পক্ষে শাহীন শাহ আফ্রিদি (৩/২৫) এবং হারিস রউফ (৩/২৭) সবচেয়ে সফল বোলার ছিলেন। দুজনেই তাঁদের তীক্ষ্ণ বোলিং দিয়ে বাংলাদেশের ব্যাটিং লাইনআপকে পুরোপুরি নাড়িয়ে দেন। এঁদের ছাড়াও স্যাম আইয়ুব ২টি এবং নওয়াজ ১টি উইকেট লাভ করেন।

Leave a comment