মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প হোয়াইট হাউসে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ এবং সেনাপ্রধান অসীম মুনিরের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। বৈঠকের কোনো ছবি প্রকাশ করা হয়নি, যা একটি প্রতীকী কূটনৈতিক বার্তা হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।
আমেরিকা-পাকিস্তান: মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ওয়াশিংটনে ওভাল অফিসে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ এবং সেনাপ্রধান অসীম মুনিরের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন। বৈঠকে মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট জেডি ভ্যান্স এবং পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও উপস্থিত ছিলেন।
বৈঠকের ছবি প্রকাশ করা হয়নি
হোয়াইট হাউস বৈঠকের কোনো আনুষ্ঠানিক ছবি বা ভিডিও প্রকাশ করেনি। সাধারণত হোয়াইট হাউস তার বিদেশি বৈঠকগুলোর ছবি শেয়ার করে থাকে। এবার ছবি না থাকায় কূটনৈতিক মহলে প্রশ্ন উঠেছে যে এর প্রতীকী বার্তা কী?
প্রতীকী অপেক্ষা
হোয়াইট হাউসের প্রেস পুলের ছবিতে দেখা গেছে যে শাহবাজ শরিফ এবং অসীম মুনির রাষ্ট্রপতির কর্মসূচি শেষ না হওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করেছেন। এই প্রতীকী অপেক্ষাকে অনেক বিশেষজ্ঞ আমেরিকার কঠোর কূটনৈতিক নীতির ইঙ্গিত হিসেবে দেখছেন।
বৈঠকের পরিবেশ
পাক প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় (পিএমও) জানিয়েছে যে বৈঠকটি সৌহার্দ্যপূর্ণ পরিবেশে অনুষ্ঠিত হয়েছে। তারা আরও জানিয়েছে যে মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাহী আদেশে স্বাক্ষর করার সময় প্রায় 30 মিনিট বিলম্ব করেছেন। বৈঠকটি সাংবাদিকদের জন্য বন্ধ রাখা হয়েছিল।
মার্কিন প্রোটোকল কী?
হোয়াইট হাউসে ছবি এবং ভিডিও প্রকাশ করা প্রোটোকলের অংশ। এর মাধ্যমে উভয় দেশের সার্বভৌমত্ব (sovereignty) এবং সম্মান প্রদর্শিত হয়। এবার কেবল পাকিস্তানের আনুষ্ঠানিক সোশ্যাল মিডিয়ায় তথ্য শেয়ার করা হয়েছে।
পাকিস্তানের দৃষ্টিভঙ্গি
পাক পিএমও জানিয়েছে যে বৈঠকটি সৌহার্দ্যপূর্ণ পরিবেশে অনুষ্ঠিত হয়েছে এবং ভাইস প্রেসিডেন্ট ও পররাষ্ট্রমন্ত্রীও এতে অংশ নিয়েছিলেন। তারা আরও জানিয়েছে যে অপেক্ষা এবং বিলম্ব একটি স্বাভাবিক কূটনৈতিক প্রক্রিয়া ছিল। উভয় দেশের সম্পর্ক দীর্ঘকাল ধরে নিরাপত্তা এবং আঞ্চলিক কৌশলগত বিষয়গুলি দ্বারা প্রভাবিত হয়েছে। এই বৈঠকেও সন্ত্রাসবাদ নিয়ন্ত্রণ এবং আফগানিস্তান সম্পর্কিত কৌশলগুলি আলোচনার অংশ ছিল বলে ধারণা করা হচ্ছে।