অস্ট্রেলিয়া বনাম সাউথ আফ্রিকা দ্বিতীয় ওডিআই: পিচ রিপোর্ট ও ম্যাচের পূর্বাভাস

অস্ট্রেলিয়া বনাম সাউথ আফ্রিকা দ্বিতীয় ওডিআই: পিচ রিপোর্ট ও ম্যাচের পূর্বাভাস

অস্ট্রেলিয়া এবং সাউথ আফ্রিকার মধ্যে তিন ম্যাচের ওডিআই সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচটি ২২ আগস্ট গ্রেট ব্যারিয়ার রিফ এরিনা, ম্যাকে-তে খেলা হবে। প্রথম ম্যাচটি ১৯ আগস্ট খেলা হয়েছিল, যেখানে সাউথ আফ্রিকা অস্ট্রেলিয়াকে ৯৮ রানে হারিয়ে সিরিজে ১-০ তে এগিয়ে গেছে।

স্পোর্টস নিউজ: অস্ট্রেলিয়া এবং সাউথ আফ্রিকার মধ্যে তিন ম্যাচের ওডিআই সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচটি ২২ আগস্ট গ্রেট ব্যারিয়ার রিফ এরিনা, ম্যাকে-তে খেলা হবে। প্রথম ওডিআই-এ সাউথ আফ্রিকা অস্ট্রেলিয়াকে ৯৮ রানে হারিয়ে সিরিজে এগিয়ে গেছে। এখন দ্বিতীয় ম্যাচটি অস্ট্রেলিয়ার জন্য সিরিজে টিকে থাকার এবং সাউথ আফ্রিকার জন্য অজেয় লিডকে আরও শক্তিশালী করার সুযোগ হবে।

এই ম্যাচে পিচের পরিস্থিতি এবং আবহাওয়া উভয় দলের জন্য গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিতে পারে। আসুন জেনে নেই ম্যাকের পিচ রিপোর্ট অনুযায়ী এই ম্যাচে কার পাল্লা ভারী থাকতে পারে।

গ্রেট ব্যারিয়ার রিফ এরিনার পিচের চরিত্র

ম্যাকের গ্রেট ব্যারিয়ার রিফ এরিনা দীর্ঘ সময় পর পুরুষদের দলের ওডিআই ম্যাচ দেখতে যাচ্ছে। শেষ পুরুষদের ওডিআই ম্যাচটি ১৯৯২ সালে খেলা হয়েছিল, যেখানে মহিলা ক্রিকেটে ২০২১ সালে ভারত ও অস্ট্রেলিয়ার মধ্যে তিনটি ওডিআই ম্যাচ হয়েছিল। মহিলা দলের এই ম্যাচগুলোতে প্রথমে বোলিং করা দল জিতেছিল।

পিচের পরিস্থিতি বিবেচনা করলে দেখা যায় এটি ব্যাটিংয়ের জন্য অনুকূল। আগের মহিলা ম্যাচগুলো এবং পরিসংখ্যানের ভিত্তিতে অনুমান করা যায় যে এই মাঠে ২৮০-২৯০ রানের স্কোর দলের জন্য ম্যাচ জেতার জন্য যথেষ্ট হবে। তাই টস জেতা অধিনায়ক প্রথমে বোলিং করার সিদ্ধান্ত নিতে পারেন।

  • প্রথমে ব্যাটিং করা দলের ২৭৫-২৯০ রান পর্যন্ত স্কোর করা উচিত।
  • পিচে শুরুর ওভারগুলোতে ফাস্ট বোলাররা সাহায্য পেতে পারে।
  • স্পিন বোলাররা মাঝের এবং শেষ ওভারগুলোতে রান আটকাতে এবং উইকেট নিতে গুরুত্বপূর্ণ হবে।

ব্যাটসম্যান নাকি বোলার – কার থাকবে দাপট?

ম্যাকের পিচ রিপোর্ট এবং আগের পরিসংখ্যান বিবেচনা করে বলা যায় যে: ব্যাটসম্যানদের পাল্লা ভারী থাকবে। দলগুলোকে বড় স্কোর করার জন্য ব্যাটসম্যানদের ওপর নির্ভর করতে হবে। শুরুর ওভারগুলোতে বোলাররা কিছুটা সাহায্য পেলেও, পিচ যত পুরোনো হবে, ব্যাটসম্যানদের জন্য ততই সহজ হয়ে যাবে।

শেষের ওভারগুলোতে স্পিন এবং মাঝারি গতির বোলিং નિર્ણায়ক ভূমিকা নিতে পারে। তাই এই ম্যাচে ব্যাটিং এবং শক্তিশালী স্কোরিং ক্ষমতা সম্পন্ন দলের জয়ের সম্ভাবনা বেশি থাকবে।

অস্ট্রেলিয়া এবং সাউথ আফ্রিকার হেড টু হেড রেকর্ড

ওয়ানডে ক্রিকেটে অস্ট্রেলিয়া এবং সাউথ আফ্রিকার মধ্যে এ পর্যন্ত ১১১টি ম্যাচ খেলা হয়েছে। এই ম্যাচগুলোর রেকর্ড নিচে দেওয়া হলো:

  • অস্ট্রেলিয়া ৫১টি ম্যাচ জিতেছে।
  • সাউথ আফ্রিকা ৫৬টি ম্যাচ জিতে এগিয়ে আছে।
  • ৩টি ম্যাচ টাই হয়েছে এবং ১টি ম্যাচের কোনো ফলাফল হয়নি।

এই পরিসংখ্যান থেকে স্পষ্ট যে উভয় দলের মধ্যে প্রতিযোগিতা বেশ কঠিন এবং উত্তেজনাপূর্ণ থাকে। সাউথ আফ্রিকার পাল্লা আগের রেকর্ড অনুযায়ী একটু ভারী, তবে অস্ট্রেলিয়াও ঘরের মাঠে ফিরে আসার জন্য পুরো চেষ্টা করবে। টস জেতা অধিনায়ক প্রথমে বোলিং করার সিদ্ধান্ত নিতে পারেন। শুরুর ওভারগুলোতে ফাস্ট বোলাররা উইকেট নেওয়ার চেষ্টা করবে।

ব্যাটিং করা দলকে ২৮০-২৯০ রানের স্কোর করার পরিকল্পনা করতে হবে। অভিজ্ঞ ব্যাটসম্যান এবং উইকেটকিপার ব্যাটসম্যানদের ভূমিকা নির্ণায়ক হবে। এই ম্যাচে দলের কৌশল এবং পিচ পড়ার ক্ষমতা জয় এবং পরাজয়ের মধ্যে বড় পার্থক্য তৈরি করতে পারে।

Leave a comment