সোমবার সকাল সাড়ে সাতটা। দক্ষিণ কলকাতার বালিগঞ্জ গোলপার্কের WC/20 রোডে আচমকা আগুন!
এক আবাসনের নিচের তলায় থাকা মিটার বক্স থেকে হঠাৎই দাউদাউ করে আগুন ছড়িয়ে পড়ে। অটোস্ট্যান্ড থেকে মাত্র এক মিনিটের দূরত্বে হওয়ায় আতঙ্ক ছড়ায় গোটা এলাকায়।
প্রথম খবর দোকানদারের কাছ থেকে, দমকলের তৎপরতা:
ওই ফ্ল্যাটের নীচে থাকা এক দোকানদার প্রথম আগুনের আঁচ টের পান। তিনিই সঙ্গে সঙ্গে দমকলে খবর দেন। তড়িঘড়ি ঘটনাস্থলে হাজির হয় দমকলের একটি ইঞ্জিন। কিছুক্ষণের মধ্যেই আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হন দমকল কর্মীরা।
প্রাথমিক অনুমান শর্ট সার্কিট! তবে রক্ষা পেল বড় দুর্ঘটনা:
দমকলের পক্ষ থেকে প্রাথমিক তদন্তে অনুমান করা হয়েছে, শর্ট সার্কিট থেকেই এই অগ্নিকাণ্ডের সূত্রপাত। মিটার বক্স থেকেই আগুন ছড়িয়েছে বলে জানানো হয়েছে। দ্রুত দমকল না এলে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ আরও বাড়তে পারত বলেই মত স্থানীয়দের।
প্রত্যক্ষদর্শীর বর্ণনায় চাঞ্চল্যকর মুহূর্ত:
স্থানীয় বাসিন্দা দীনবন্ধু মাল জানিয়েছেন, “হঠাৎ দেখি আগুন লেগেছে। চারপাশে সবাই দৌড়াদৌড়ি শুরু করে। প্রথমে ১০১ ডায়াল করেও ফোন লাগাতে পারছিলাম না। পরে আর দেরি না করে আমি নিজেই দমকল অফিসে চলে যাই। তারাই দ্রুত গাড়ি নিয়ে চলে আসে।’’
বৃষ্টির দিনে আরও বাড়ল দমকলের বেগ:
সকাল থেকেই শহরে চলছিল বৃষ্টি। সরু গলি, সঙ্গে জমে থাকা জল— সব মিলিয়ে দমকলের কাজ আরও কঠিন হয়ে ওঠে। ফায়ার ব্রিগেড কর্মীরা জলময় গলির মধ্যে দাঁড়িয়ে জীবন বাজি রেখে কাজ করেন। তবে বড় বিপদ কোনওভাবে এড়ানো গেছে।
বিধ্বস্ত গলিতে এখনও কালো ধোঁয়ার ছাপ:
প্রায় এক ঘণ্টা ধরে চলা দমকলের প্রচেষ্টার পর আগুন নিভলেও, গলিতে এখনও কালো ধোঁয়া উড়ছে। শর্ট সার্কিটের আশঙ্কায় এখনও পুরোপুরি স্বস্তিতে নেই দমকল। বিদ্যুৎ দফতরের কর্মীরা ঘটনাস্থলে না আসা পর্যন্ত পুরোপুরি নিরাপদ বলা যাচ্ছে না পরিস্থিতিকে।
দমকলের আশ্বস্ত বার্তা: বড় বিপদ থেকে রক্ষা:
দমকল আধিকারিক জাভেদ খান জানিয়েছেন, ‘‘আমরা সময়মতো ঘটনাস্থলে পৌঁছেছি বলেই পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এসেছে। নয়তো আরও বড় দুর্ঘটনা ঘটতে পারত।’’ এলাকাবাসীদেরও ধন্যবাদ জানিয়েছেন তাঁরা দ্রুত খবর দেওয়ার জন্য।