২০২৬ সালের ফেব্রুয়ারিতে বাংলাদেশে সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে: অন্তর্বর্তী সরকারের ঘোষণা

২০২৬ সালের ফেব্রুয়ারিতে বাংলাদেশে সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে: অন্তর্বর্তী সরকারের ঘোষণা

বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান মহম্মদ ইউনুস ঘোষণা করেছেন যে ২০২৬ সালের ফেব্রুয়ারিতে সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। নির্বাচনের পর নির্বাচিত সরকারের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করা হবে। দেশ স্থিতিশীল হয়েছে এবং গণতান্ত্রিক শাসন পুনরুদ্ধারের প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে।

Bangladesh Election: বাংলাদেশে রাজনৈতিক অস্থিরতার পর এখন পরিস্থিতি স্থিতিশীল হতে দেখা যাচ্ছে। অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা মহম্মদ ইউনুস স্পষ্ট করে দিয়েছেন যে ২০২৬ সালের ফেব্রুয়ারিতে সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে এবং নতুন নির্বাচিত সরকারের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করা হবে। তিনি বলেন, বাংলাদেশ এখন গণতান্ত্রিক শাসনের দিকে এগিয়ে যাওয়ার জন্য সম্পূর্ণ প্রস্তুত এবং নির্বাচনের পর অন্তর্বর্তী সরকার সরে যাবে।

মহম্মদ ইউনুসের নির্বাচনের ঘোষণা

সোমবার কক্সবাজারে আয়োজিত তিন দিনের আন্তর্জাতিক শীর্ষ সম্মেলন 'স্টেকহোল্ডার্স ডায়ালগ: টেকঅ্যাওয়েজ টু দ্য হাই-লেভেল কনফারেন্স অন রোহিঙ্গা সিচুয়েশন'-এ মহম্মদ ইউনুস এই বড় ঘোষণা করেন। তিনি বলেন, দেশ এক বছর আগে ভয়ানক গণহত্যা ও রাজনৈতিক সংকটের মধ্য দিয়ে গেছে, তবে এখন পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়েছে। ছাত্র আন্দোলন ও গণঅভ্যুত্থানের কারণে ফ্যাসিবাদী শাসনের অবসান হয়েছে এবং এখন গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের জন্য দেশ প্রস্তুত।

ছাত্র আন্দোলনের মাধ্যমে বাংলাদেশের রাজনৈতিক ইতিহাসের পরিবর্তন

বাংলাদেশে গত বছর কোটা সংস্কারের দাবিতে ছাত্র আন্দোলন শুরু হয়েছিল। এই আন্দোলন ধীরে ধীরে গণঅভ্যুত্থানে রূপ নেয় এবং ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ক্ষমতা ছাড়তে হয়। আন্দোলনের পর গঠিত অন্তর্বর্তী সরকার দেশকে স্থিতিশীল করার জন্য বেশ কিছু পদক্ষেপ নিয়েছে এবং এখন নির্বাচনের তারিখ নির্ধারণ করে এটা স্পষ্ট করে দিয়েছে যে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার শীঘ্রই হবে।

ফেব্রুয়ারি ২০২৬-এ অনুষ্ঠিত হবে অবাধ নির্বাচন

বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশনও ২০২৬ সালের ফেব্রুয়ারির প্রথম সপ্তাহে নির্বাচন অনুষ্ঠানের প্রস্তুতি শুরু করেছে। সেনা প্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান বলেছেন যে, সেনাবাহিনী অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন নিশ্চিত করতে সম্পূর্ণভাবে প্রস্তুত। এতে আশা করা যাচ্ছে যে দীর্ঘদিনের রাজনৈতিক অস্থিরতার অবসান হবে এবং দেশ একটি স্থিতিশীল গণতান্ত্রিক সরকার পাবে।

অন্তর্বর্তী সরকারের সিদ্ধান্তে তৈরি হয়েছে নতুন রাজনৈতিক চিত্র

অন্তর্বর্তী সরকারের মেয়াদে বেশ কিছু বড় পরিবর্তন হয়েছে। প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার বাংলাদেশ ন্যাশনালিস্ট পার্টি (বিএনপি) সবচেয়ে বড় রাজনৈতিক দল হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেছে। এছাড়াও ছাত্রদের সংগঠন 'স্টুডেন্টস এগেইনস্ট ডিসক্রিমিনেশন' (SAD) ন্যাশনাল সিটিজেন পার্টি (এনসিপি) গঠন করেছে, যাকে ইউনুসের সমর্থনপুষ্ট মনে করা হচ্ছে। যদিও এনসিপির কিছু উগ্রপন্থী সংগঠনের সঙ্গে সম্পর্ক নিয়ে বিরোধীদের মধ্যে উদ্বেগ রয়েছে, তবে ইউনুস আশ্বাস দিয়েছেন যে নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু হবে।

Leave a comment