উত্তর প্রদেশের বেরেলিতে সম্প্রতি ঘটে যাওয়া সহিংসতার পর প্রশাসন শহরে ৪৮ ঘণ্টার জন্য ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ করে দিয়েছে। এই ইন্টারনেট শাটডাউনের উদ্দেশ্য হল গুজব ও ভুয়ো খবর ছড়ানো বন্ধ করা এবং আইন-শৃঙ্খলা বজায় রাখা। সরকারি আদেশ অনুযায়ী, আইএসপিগুলি মোবাইল টাওয়ারের নেটওয়ার্ক সাময়িকভাবে বন্ধ করে দেয়, যার ফলে পুরো এলাকায় ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ হয়ে যায়।
ইন্টারনেট শাটডাউন প্রক্রিয়া: উত্তর প্রদেশের বেরেলিতে ‘আই লাভ মহম্মদ’ বিতর্ক নিয়ে ছড়িয়ে পড়া সহিংসতার পর প্রশাসন পুরো শহরে ৪৮ ঘণ্টার জন্য ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ করে দিয়েছে। শহরে গুজব ও ভুয়ো খবর ছড়ানো বন্ধ করতে এবং আইন-শৃঙ্খলা বজায় রাখতে এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। সরকারি আদেশ অনুযায়ী, সমস্ত আইএসপি মোবাইল টাওয়ার থেকে নেটওয়ার্ক পরিষেবাগুলি সাময়িকভাবে বন্ধ করে দেয়। এর ফলে পুরো এলাকার নাগরিকদের ইন্টারনেট পরিষেবা ব্যবহার প্রভাবিত হয় এবং পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখা সহজ হয়।
সরকারের ইন্টারনেট শাটডাউনের সিদ্ধান্ত
উত্তর প্রদেশের বেরেলিতে সম্প্রতি ‘আই লাভ মহম্মদ’ বিতর্ক নিয়ে ছড়িয়ে পড়া সহিংসতার পর প্রশাসন শহরে ৪৮ ঘণ্টার জন্য ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ করে দিয়েছে। ইন্টারনেট শাটডাউনের প্রধান উদ্দেশ্য হল গুজব ও ভুয়ো খবর ছড়ানো বন্ধ করা এবং আইন-শৃঙ্খলা বজায় রাখা। তাৎক্ষণিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে এবং উত্তেজনাপূর্ণ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়।
শহরের সমস্ত মোবাইল নেটওয়ার্ক এবং ইন্টারনেট পরিষেবাগুলিকে তাৎক্ষণিকভাবে প্রভাবিত করার জন্য সরকার একটি সরকারি আদেশ জারি করে। এই আদেশ টেলিকম কোম্পানি এবং আইএসপিগুলিকে পাঠানো হয়, যারা সেই অঞ্চলের মোবাইল টাওয়ার থেকে নেটওয়ার্ক পরিষেবাগুলি বন্ধ করে দেয়।
ইন্টারনেট শাটডাউনের প্রযুক্তিগত প্রক্রিয়া
ইন্টারনেট শাটডাউনের প্রক্রিয়া সহজভাবে বোঝা যায়। যেমন, বাড়িতে ওয়াইফাই রাউটার বন্ধ করলে ইন্টারনেট বন্ধ হয়ে যায়, ঠিক সেভাবেই শহরের মোবাইল টাওয়ার বন্ধ করা হয়। টাওয়ার বন্ধ হওয়ার সাথে সাথে মোবাইল এবং ডেটা পরিষেবাগুলি প্রভাবিত হয় এবং পুরো এলাকা ইন্টারনেট থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়।
সরকারি আদেশ পাওয়ার পর আইএসপিগুলি তাৎক্ষণিকভাবে তাদের নেটওয়ার্কে পরিবর্তন আনে এবং শহরের সমস্ত গ্রাহকদের ইন্টারনেট পরিষেবা থেকে সাময়িকভাবে বিচ্ছিন্ন করে দেয়। এই প্রক্রিয়াটিকে প্রযুক্তিগতভাবে কন্টেইনমেন্ট (Containment) বলা যেতে পারে, যার লক্ষ্য হল গুজব ও সহিংসতা ছড়ানো বন্ধ করা।
সরকার এবং আইএসপি-এর ভূমিকা
ভারতে সমস্ত আইএসপি সরকারি আদেশের অধীনস্থ। যখন কোনো এলাকায় শান্তি বিঘ্নিত হওয়ার আশঙ্কা থাকে, তখন প্রশাসন সরাসরি আইএসপিকে নির্দেশ দেয়। আইএসপি আদেশ অনুযায়ী নেটওয়ার্ক বন্ধ করে এবং ইন্টারনেট পরিষেবাগুলি বন্ধ হয়ে যায়। এটি একটি দ্রুত এবং কার্যকর পদক্ষেপ, যার ফলে সমাজে সহিংসতা বা গুজব ছড়ানোর সম্ভাবনা কমে যায়।
নাগরিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করার ক্ষেত্রে আইএসপি-এর এই ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। সরকারি নির্দেশিকা অনুযায়ী, প্রযুক্তিগত দলগুলি তাৎক্ষণিকভাবে কাজ করে, যাতে প্রভাবিত এলাকায় ইন্টারনেট নিয়ন্ত্রণে রাখা যায়।