কর্নাটক হাইকোর্টের রায়: এক্স (টুইটার)-এর বিরুদ্ধে ভারত সরকারের জয়, বিদেশী সংস্থাগুলির বাক স্বাধীনতা নেই

কর্নাটক হাইকোর্টের রায়: এক্স (টুইটার)-এর বিরুদ্ধে ভারত সরকারের জয়, বিদেশী সংস্থাগুলির বাক স্বাধীনতা নেই

কর্নাটক হাইকোর্ট এলন মাস্কের সংস্থা এক্স (পূর্বে টুইটার) এর বিরুদ্ধে ভারত সরকারের পক্ষে রায় দিয়েছে। আদালত বলেছে যে বিদেশী সংস্থাগুলির ভারতীয় সংবিধানের ১৯ নং অনুচ্ছেদ অনুযায়ী মত প্রকাশের স্বাধীনতার অধিকার নেই। এই রায় সোশ্যাল মিডিয়া বিষয়বস্তু পর্যবেক্ষণ এবং ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মগুলির উপর নিয়ন্ত্রণের জন্য গুরুত্বপূর্ণ।

এলন মাস্ক: কর্নাটক হাইকোর্ট ভারত সরকারের পক্ষে রায় দিয়েছে, যেখানে বলা হয়েছে যে বিদেশী সংস্থাগুলির ভারতীয় সংবিধানের ১৯ নং অনুচ্ছেদ অনুযায়ী মত প্রকাশের স্বাধীনতার অধিকার নেই। এই মামলাটি ২০২৫ সালের মার্চ মাসে শুরু হয়েছিল যখন এক্স সরকারের আদেশের বিরুদ্ধে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিল। সরকার সোশ্যাল মিডিয়া থেকে আপত্তিকর বিষয়বস্তু সরানোর জন্য সহযোগ পোর্টাল ব্যবহার করেছিল। আদালতের রায়ের ফলে ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মগুলির উপর আইনি নিয়ন্ত্রণ এবং বিদেশী সংস্থাগুলির দায়িত্ব স্পষ্ট হয়েছে।

কী ছিল এই মামলা?

এই বছর মার্চ মাসে, এক্স সরকারের আদেশের বিরুদ্ধে কর্নাটক হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিল। সংস্থাটি বলেছিল যে সরকার তাদের সহযোগ পোর্টালের মাধ্যমে কিছু অ্যাকাউন্ট এবং সোশ্যাল মিডিয়া পোস্ট সরানোর নির্দেশ দিচ্ছে। এক্স এটিকে সেন্সরশিপ এবং বাক স্বাধীনতার লঙ্ঘন বলে অভিহিত করেছিল।

হাইকোর্ট সরকারের পক্ষে রায় দিয়ে স্পষ্ট করে দিয়েছে যে ভারতে কোনো বিদেশী সংস্থা ১৯ নং অনুচ্ছেদের সুবিধা নিতে পারবে না। আদালত এও বলেছে যে ত্রাণ দাবি করা আবেদনকারীকে ভারতের নাগরিক হতে হবে।

সহযোগ পোর্টাল এবং প্রক্রিয়া

সহযোগ পোর্টাল হল সরকার কর্তৃক চালু করা একটি প্ল্যাটফর্ম, যা সোশ্যাল মিডিয়া থেকে আপত্তিকর বিষয়বস্তু সরানোর প্রক্রিয়াকে সহজ করে তোলে। গুগল, লিঙ্কডইন, মাইক্রোসফট, মেটা এবং শেয়ারচ্যাটের মতো সংস্থাগুলি এই পোর্টালটি ব্যবহার করছে।

এই পোর্টালের মাধ্যমে পোস্ট বা বিষয়বস্তু সরানোর নির্দেশগুলি স্বচ্ছ উপায়ে জারি করা হয়। তবে, প্রায়শই এই নির্দেশগুলি বিতর্কের জন্ম দিয়েছে, যেমন কৃষক আন্দোলনের সময় অনেক পোস্ট সরানো হয়েছিল।

আদালতের অবস্থান এবং রায়

কর্নাটক হাইকোর্ট স্পষ্ট করে দিয়েছে যে ১৯ নং অনুচ্ছেদ শুধুমাত্র ভারতীয় নাগরিকদের জন্য প্রযোজ্য। বিদেশী সংস্থাগুলি এর অধীনে কোনো সাংবিধানিক অধিকার পাবে না। এই রায় সরকারের সোশ্যাল মিডিয়া বিষয়বস্তু পর্যবেক্ষণের প্রচেষ্টাকে আইনি সহায়তা প্রদান করে।

এই রায়ের ফলে ভারতে ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মগুলির উপর আইনের অধীনে নিয়ন্ত্রণ এবং দায়িত্বের বিষয়টি স্পষ্ট হয়েছে।

Leave a comment