প্রাথমিকের নতুন নিয়োগ বিজ্ঞপ্তিকে চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে মামলা, প্রশ্নভুল নিয়েই বিতর্ক তুঙ্গে

প্রাথমিকের নতুন নিয়োগ বিজ্ঞপ্তিকে চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে মামলা, প্রশ্নভুল নিয়েই বিতর্ক তুঙ্গে

হাইকোর্টে নতুন মামলা: প্রাথমিক নিয়োগে প্রশ্নভুলের ছায়া:কলকাতা হাইকোর্টে ফের উঠল শিক্ষক নিয়োগের বিতর্ক। প্রাথমিক শিক্ষকের নতুন নিয়োগ বিজ্ঞপ্তিকে চ্যালেঞ্জ করে বৃহস্পতিবার মামলা দায়েরের অনুমতি দেন বিচারপতি ওম নারায়ণ রাই। আদালতে প্রশ্ন তোলা হয়েছে—যখন টেট পরীক্ষার প্রশ্নভুল সংক্রান্ত মামলা এখনও নিষ্পত্তি হয়নি, তখন কীভাবে নতুন নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু করা যায়? আগামী সপ্তাহেই এই মামলার শুনানি হতে পারে।

টেট অনুত্তীর্ণদের দাবি: ভুল প্রশ্নে কাটা গিয়েছে নম্বর

২০১৭ ও ২০২২ সালের টেট পরীক্ষায় যাঁরা অকৃতকার্য হয়েছেন, তাঁদের একাংশই এবার আদালতের দ্বারস্থ। তাঁদের দাবি, দুটি টেটেই প্রায় ২০টি প্রশ্ন ভুল ছিল। ওই ভুল প্রশ্নগুলিতে নম্বর যোগ করলে তাঁরা পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতেন। ফলে, ভুলের দায় না মিটিয়ে নিয়োগ শুরু হলে তাঁদের ন্যায়বিচার পাওয়া অসম্ভব হবে।আইনজীবী ফিরদৌস শামিম আদালতে জানান, “প্রশ্নভুলের অভিযোগের নিষ্পত্তি হওয়ার আগে নিয়োগ শুরু হলে হাজার হাজার প্রার্থী বঞ্চিত হবেন।

পর্ষদের বিজ্ঞপ্তি: ১৩,৪২১টি শূন্যপদে নিয়োগ

দুই সপ্তাহ আগেই প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ বিজ্ঞপ্তি জারি করে জানায়, রাজ্যজুড়ে ১৩,৪২১টি শূন্যপদে শিক্ষক নিয়োগ হবে। দুর্গাপুজোর পরে শুরু হওয়ার কথা এই প্রক্রিয়া। শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু এক্স হ্যান্ডেলে এই তথ্য প্রকাশ করেন, তার কিছুক্ষণের মধ্যেই বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে পর্ষদ।নিয়োগের মূল্যায়ন কাঠামোতেও গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে শিক্ষাগত যোগ্যতা ও প্রশিক্ষণকে। মোট ৫০ নম্বরের ভিত্তিতে মূল্যায়ন করা হবে—মাধ্যমিক ৫, উচ্চ মাধ্যমিক ১০, এনসিটিই ট্রেনিং ১৫, টেট ৫, সাক্ষাৎকার ৫, অ্যাপটিটিউড টেস্ট ৫, ও অতিরিক্ত কার্যকলাপের জন্য ৫ নম্বর।

আইনি প্রশ্ন: প্রশ্নভুল মামলার নিষ্পত্তি না হয়েই কেন নিয়োগ?

প্রশ্নভুল মামলার রায় আসার আগেই নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু হওয়ায় চাকরিপ্রার্থীদের একাংশের অভিযোগ, এতে বৈষম্য তৈরি হবে। যারা ভুল প্রশ্নের কারণে অকৃতকার্য হয়েছেন, তাঁদের সুযোগ দেওয়া হবে না। আদালতে এই যুক্তিই তুলে ধরেছেন আবেদনকারীরা।হাইকোর্ট সূত্রে জানা গিয়েছে, মামলার প্রাথমিক নথি গ্রহণ করা হয়েছে। আগামী সপ্তাহে শুনানির সম্ভাবনা রয়েছে।

দীর্ঘমেয়াদি প্রভাব

বিশেষজ্ঞদের মতে, প্রশ্নভুল মামলার রায় যেভাবে হবে, তা ভবিষ্যতের নিয়োগ প্রক্রিয়াতেও প্রভাব ফেলতে পারে। ইতিমধ্যেই পর্ষদের বিরুদ্ধে স্বচ্ছতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে প্রার্থীদের একাংশ।

প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগের নতুন বিজ্ঞপ্তিকে ঘিরে ফের আইনি জট। ২০১৭ ও ২০২২ সালের টেট পরীক্ষায় প্রশ্নভুলের অভিযোগ নিষ্পত্তির আগেই কেন নিয়োগ শুরু—এই মর্মে মামলা দায়ের কলকাতা হাইকোর্টে। বিচারপতি ওম নারায়ণ রাই অনুমতি দিয়েছেন শুনানির।

Leave a comment