রাতে ওয়াই-ফাই বন্ধ করার অনেক সুবিধা রয়েছে, যার মধ্যে রয়েছে ঘুমের মানের উন্নতি, সাইবার নিরাপত্তা বৃদ্ধি এবং বিদ্যুৎ সাশ্রয়। বিশেষজ্ঞদের মতে, ক্রমাগত ওয়াই-ফাই চালু রাখলে স্বাস্থ্য এবং গ্যাজেটগুলির উপর বিরূপ প্রভাব পড়তে পারে। রাতে এটি বন্ধ করা একটি সহজ এবং কার্যকর উপায় প্রমাণিত হয়।
ওয়াই-ফাই বন্ধ করুন: বিশেষজ্ঞরা বলছেন যে রাতে ঘুমানোর সময় ওয়াই-ফাই চালু রাখা সবসময় নিরাপদ বা জরুরি নয়। পুরো বাড়িতে ইন্টারনেট অবিচ্ছিন্নভাবে চালু থাকলে তা স্বাস্থ্যের উপর প্রভাব ফেলতে পারে, যেমন ঘুমের মানের অবনতি, সেইসাথে ডেটা সুরক্ষা এবং বিদ্যুৎ খরচের উপরও প্রভাব ফেলে। তাই রাতে ঘুমানোর সময় ওয়াই-ফাই বন্ধ করার পরামর্শ দেওয়া হয়, যাতে শরীর সতেজ থাকে, গ্যাজেটগুলি নিরাপদ থাকে এবং শক্তির সঞ্চয় হয়। এই ব্যবস্থাটি বিশেষ করে ডিজিটাল ডিভাইস ব্যবহারকারী পরিবারগুলির জন্য গুরুত্বপূর্ণ।
ঘুম এবং স্বাস্থ্যের উপর প্রভাব
আজকের ডিজিটাল যুগে ইন্টারনেট আমাদের জীবনের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ হয়ে উঠেছে। বেশিরভাগ বাড়িতে দিনরাত ওয়াই-ফাই চালু থাকে, যার ফলে স্মার্টফোন, ল্যাপটপ এবং স্মার্ট টিভির মতো ডিভাইসগুলি ইন্টারনেট ছাড়া অসম্পূর্ণ মনে হয়। কিন্তু বিশেষজ্ঞরা বলছেন যে রাতে ওয়াই-ফাই বন্ধ করলে স্বাস্থ্য এবং ঘুমের উপর ইতিবাচক প্রভাব পড়ে।
অস্ট্রেলিয়ার RMIT University-এর 2024 সালের প্রতিবেদন অনুসারে, ওয়াই-ফাই সিগন্যালের কাছাকাছি ঘুমায় এমন প্রায় 27 শতাংশ মানুষের মধ্যে অনিদ্রা বা ঘুমের ব্যাঘাতের সমস্যা দেখা গেছে। রাতে ওয়াই-ফাই বন্ধ করলে মস্তিষ্ক রেডিও তরঙ্গের সংস্পর্শে কম আসে, যার ফলে ঘুম গভীর হয় এবং শরীর আরও ভালভাবে বিশ্রাম পায়। এর প্রভাব পরের দিন শক্তি এবং সতেজ বোধ করার মধ্যে দেখা যেতে পারে।
সাইবার নিরাপত্তা এবং গোপনীয়তা
রাতে ওয়াই-ফাই বন্ধ করার আরেকটি সুবিধা সাইবার নিরাপত্তার সাথে সম্পর্কিত। ক্রমাগত চালু থাকলে নেটওয়ার্ক হ্যাকিং এবং অনাকাঙ্ক্ষিত লগইন-এর জন্য উন্মুক্ত থাকে। প্রায়শই মানুষ রাতে খেয়াল করে না যে অন্য কেউ তাদের নেটওয়ার্ক ব্যবহার করতে পারে।
ওয়াই-ফাই বন্ধ করলে ডেটা চুরি এবং গোপনীয়তা সম্পর্কিত ঝুঁকি অনেকাংশে কমে যায়। বিশেষজ্ঞদের মতে, এই ব্যবস্থাটি অনলাইন নিরাপত্তা বৃদ্ধি এবং ডিজিটাল ডিভাইসগুলির উপর নিয়ন্ত্রণ বজায় রাখার একটি সহজ উপায়।
বিদ্যুৎ সাশ্রয় এবং গ্যাজেটের আয়ু
রাতে ওয়াই-ফাই বন্ধ করলে বিদ্যুৎও সাশ্রয় হয়। রাউটার বেশি বিদ্যুৎ ব্যবহার না করলেও, 24 ঘন্টা একটানা চললে বছরে বিদ্যুৎ বিল বাড়তে পারে। অভ্যাসবশত রাতে ওয়াই-ফাই বন্ধ করলে বিদ্যুতের ব্যবহার কমে যায় এবং খরচও কম হয়।
এছাড়াও, এটি ডিভাইসগুলির আয়ু বাড়াতেও সাহায্য করে। ক্রমাগত চালু থাকলে রাউটার এবং সংযুক্ত গ্যাজেটগুলির উপর চাপ থাকে, যা তাদের আয়ু কমিয়ে দিতে পারে। রাতে বিশ্রাম পেলে এই ডিভাইসগুলি দীর্ঘ সময় ধরে ভাল পারফর্ম করে এবং প্রযুক্তিগত সমস্যার সম্ভাবনা কমে যায়।