নেপালের কাঠমান্ডুতে অবস্থিত পশুপতিনাথ মন্দির হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের জন্য অত্যন্ত পবিত্র স্থান। এটি ভগবান শিবের ১২টি জ্যোতির্লিঙ্গের মধ্যে একটি এবং বাগমতী নদীর তীরে অবস্থিত হওয়ায় মোক্ষের প্রতীক হিসেবে বিবেচিত হয়। হাজার হাজার বছরের পুরনো এই মন্দিরটি অনন্য স্থাপত্য, চারমুখী शिवलिंग এবং ধর্মীয় অনুষ্ঠানের জন্য বিখ্যাত।
পশুপতিনাথ মন্দির: নেপালের রাজধানী কাঠমান্ডুতে অবস্থিত পশুপতিনাথ মন্দির হিন্দু ধর্মের অন্যতম প্রধান তীর্থস্থান। এই মন্দিরটি বাগমতী নদীর তীরে নির্মিত এবং ভগবান শিবের ১২টি জ্যোতির্লিঙ্গের মধ্যে একটি বলে মনে করা হয়। হাজার হাজার বছরের পুরনো এই পবিত্র স্থানটিতে প্রতিদিন হাজার হাজার ভক্ত দর্শনের জন্য আসেন, বিশেষ করে মহা-শিবরাত্রি, বালা চতুর্দশী এবং तीज-এর মতো প্রধান উৎসবগুলির সময়। মন্দিরের গুরুত্ব কেবল পূজার মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়, এটি মোক্ষ এবং আধ্যাত্মিক শান্তির কেন্দ্রও বলে বিবেচিত হয়। এখানে ভক্তরা মৃত্যুর শেষ মুহূর্তে দর্শন করে মোক্ষের কামনা করেন, যা এই স্থানটিকে ধর্মীয় এবং সাংস্কৃতিক দৃষ্টিকোণ থেকে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ করে তোলে।
নেপালের পবিত্র শিবধাম
নেপালের রাজধানী কাঠমান্ডুতে অবস্থিত পশুপতিনাথ মন্দির হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের জন্য অত্যন্ত পবিত্র স্থান হিসেবে বিবেচিত হয়। এই মন্দিরটি বাগমতী নদীর তীরে অবস্থিত এবং ভগবান শিবের ১২টি জ্যোতির্লিঙ্গের মধ্যে একটি। হাজার হাজার বছরের পুরনো এই ধাম কেবল পূজার কেন্দ্র নয়, এটি আধ্যাত্মিক শান্তি এবং মোক্ষের প্রতীকও। হিন্দু বিশ্বাস অনুসারে, এই মন্দিরে মৃত্যুবরণকারী ভক্তদের আত্মা মোক্ষ লাভ করে, যা এই স্থানটিকে জীবন ও মৃত্যুর উভয় আধ্যাত্মিক দৃষ্টিকোণ থেকে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ করে তোলে।
ইতিহাস ও পৌরাণিক বিশ্বাস
পশুপতিনাথ মন্দিরের নির্মাণ কাজ শুরু হয়েছিল আনুমানিক পঞ্চম শতাব্দীতে, লিচ্ছবী বংশের রাজা প্রচণ্ড দেবের আমলে। সময়ের সাথে সাথে মন্দিরের সংস্কার ও পুনর্নির্মাণ করা হয়েছে। একটি বিখ্যাত পৌরাণিক কাহিনী অনুসারে, ভগবান শিব একবার হরিণের রূপ ধারণ করে এখানে এসেছিলেন। দেবতারা তাকে কৈলাসে ফিরিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করেছিলেন, কিন্তু শিব সেখানে থাকতে চাননি। এই সময়ে, তার শিং ভেঙে যায় এবং शिवलिंग রূপে স্থাপিত হয়। এই কারণেই ভগবান শিবকে এখানে ‘পশুপতি’ অর্থাৎ ‘পশুদের প্রভু’ হিসেবে পূজা করা হয়। আজও মন্দিরে চার মুখযুক্ত शिवलिंग রয়েছে, যার উপরের অংশ পঞ্চম মুখকে নির্দেশ করে।
অনন্য স্থাপত্য ও ধর্মীয় অভিজ্ঞতা
মন্দিরের স্থাপত্য নেপালি প্যাগোডা শৈলীতে নির্মিত, প্রধান চূড়াটি সোনা দিয়ে ঢাকা এবং চারটি দরজা রুপো দিয়ে তৈরি। গর্ভগৃহের চতুর্মুখী शिवलिंग চারটি দিকে মুখ করে রয়েছে এবং ভগবান শিবের বিভিন্ন রূপের প্রতিনিধিত্ব করে। এছাড়াও, চত্বরে আরও অনেক ছোট-বড় মন্দির এবং মূর্তি রয়েছে, যা বিভিন্ন দেব-দেবীকে উৎসর্গীকৃত।
মোক্ষ ও আধ্যাত্মিক তাৎপর্য
পশুপতিনাথ মন্দিরকে প্রায়শই ‘মৃত্যুর প্রবেশদ্বার’ বলা হয়। বাগমতী নদীর তীরে অবস্থিত আর্য ঘাটে হিন্দু রীতি-নীতি অনুসারে শেষকৃত্য সম্পন্ন করলে আত্মা মোক্ষ লাভ করে। যে ব্যক্তি জীবনের শেষ মুহূর্তে মন্দিরের দর্শন পায়, মৃত্যুর পরে সে মোক্ষ লাভ করে। এই কারণেই অনেক ভক্ত তাদের জীবনের শেষ দিনগুলিতে এখানে শান্তিতে প্রাণ ত্যাগের জন্য আসেন।
উৎসব ও ধর্মীয় বিশ্বাস
প্রতিদিন হাজার হাজার ভক্ত মন্দিরে আসেন। মহা-শিবরাত্রি, বালা চতুর্দশী এবং तीज-এর মতো উৎসবগুলিতে ভক্তদের প্রচুর ভিড় হয়। বিশেষ পূজা-অর্চনা ও অনুষ্ঠানের সময় নেপাল ছাড়াও ভারত ও অন্যান্য দেশ থেকে লক্ষ লক্ষ ভক্ত এখানে আসেন। এই মন্দিরটি ধর্মীয়, আধ্যাত্মিক এবং সাংস্কৃতিক দৃষ্টিকোণ থেকে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলে বিবেচিত হয়।