শাপলার গুণ: বাংলার পুকুর-খাল-বিলে ভরপুর জন্মানো শাপলা শুধু গ্রামীণ রন্ধনপ্রণালীর অংশ নয়, বরং ভেষজ ঔষধ হিসেবেও ব্যবহৃত হয়ে আসছে যুগ যুগ ধরে। সরষে চিংড়ি দিয়ে চচ্চড়ি হোক বা শাপলার ভাজা, এই সবজির স্বাদ ও গুণ দুই-ই সমান জনপ্রিয়। বিশেষজ্ঞদের মতে, শাপলা খাওয়ার অভ্যাস ব্লাড সুগার নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে, লিভারের বিষাক্ত উপাদান দূর করে এবং হজমজনিত সমস্যার সমাধান ঘটায়।
শাপলার ভেষজ শক্তি
গ্রামবাংলার মানুষ শাপলাকে বরাবরই ডায়েটে ব্যবহার করে আসছেন। এতে রয়েছে প্রচুর ফাইবার ও ক্যালসিয়াম, যা শরীরকে ভিতর থেকে শক্তি জোগায়।পুষ্টিবিদরা বলছেন, নিয়মিত শাপলা খেলে কোষ্ঠকাঠিন্য কমে, হজমশক্তি বাড়ে এবং রক্ত আমাশার মতো সমস্যা দূর হয়।
রান্নার বহুমুখী ব্যবহার
শাপলার ডাঁটা ও ফুল বাংলার রান্নায় বহুল ব্যবহৃত। চচ্চড়ি, ভাজা কিংবা মাছের সঙ্গে ঝোলে শাপলার স্বাদ অতুলনীয়।শুধু তাই নয়, শাপলার বীজ ভেজে খাওয়ারও রীতি রয়েছে, যা স্বাস্থ্যকর স্ন্যাক্স হিসেবে জনপ্রিয়।
ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য আশীর্বাদ
বিশেষজ্ঞদের দাবি, শাপলায় থাকা প্রাকৃতিক উপাদান ব্লাড সুগার নিয়ন্ত্রণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য এটি একটি উপকারী ভেষজ, যা শরীরের ইনসুলিন কার্যকারিতা উন্নত করে।
ক্যালসিয়ামের ভান্ডার
যাঁদের হাড় ও দাঁতের সমস্যা রয়েছে, তাঁদের জন্য শাপলা অত্যন্ত উপকারী।এতে পর্যাপ্ত ক্যালসিয়াম থাকায় হাড় ও দাঁত মজবুত হয়, পেশী ও স্নায়ুর কার্যক্রম স্বাভাবিক থাকে এবং হৃদরোগের ঝুঁকিও কমে।শাপলা ফুল ও ডাঁটা শুধু গ্রামীণ খাবারের ঐতিহ্য নয়, বরং আধুনিক পুষ্টি বিজ্ঞানের দৃষ্টিতেও এক অনন্য স্বাস্থ্যকর উপাদান। নিয়মিত খাদ্যতালিকায় শাপলা রাখলে ব্লাড সুগার নিয়ন্ত্রণে আসে, হজমশক্তি বাড়ে এবং লিভারের কার্যক্ষমতা উন্নত হয়।
শাপলা ফুল ও ডাঁটার পুষ্টিগুণ শরীরের জন্য অত্যন্ত উপকারী। পুষ্টিবিদরা বলছেন, শাপলা শুধু হজমশক্তি বাড়ায় না, বরং ব্লাড সুগার নিয়ন্ত্রণে আনে, লিভার পরিষ্কার করে এবং কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে। গ্রামীণ খাবারের এই উপাদানেই লুকিয়ে আছে বহু রোগ সারানোর ভেষজ শক্তি।