ভরতপুরের পুরনো ছাওনি গ্রামে দুর্গামূর্তি বিসর্জনের সময় পুকুরে ডুবে দুই কিশোরীর মৃত্যু হয়েছে। পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে, এবং পুরো গ্রামে শোকের ছায়া নেমে এসেছে।
ভরতপুর: রাজস্থানের ভরতপুর জেলার পুরনো ছাওনি গ্রামে নবরাত্রির শেষ দিনে দুর্গামূর্তি বিসর্জনের সময় পুকুরে ডুবে দুই কিশোরীর ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয়েছে। মৃত কিশোরীদের পরিচয় ১৯ বছর বয়সী তনু এবং ১৬ বছর বয়সী খুশি হিসাবে জানা গেছে। পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে তদন্ত শুরু করেছে। গ্রামবাসীরা দু'জনকে পুকুর থেকে তুলেছিল, কিন্তু ততক্ষণে অনেক দেরি হয়ে গিয়েছিল। এই দুর্ঘটনায় পুরো গ্রামে শোকের পরিবেশ সৃষ্টি হয়েছে।
পুকুরে ডুবে দুই কিশোরীর প্রাণহানি
পুরনো ছাওনি গ্রামের কাছে পাহাড়ের মাঝে অবস্থিত ছিল পুকুরটি, যেখানে নবরাত্রি পূজার সমাপ্তিতে দেবী প্রতিমা বিসর্জন করা হচ্ছিল। ঘটনার সময় ৫-৬ জন শিশু মূর্তি বিসর্জনের জন্য পুকুরে গিয়েছিল। এই সময় ১৯ বছর বয়সী তনু এবং ১৬ বছর বয়সী খুশি জলে ডুবে যায়।
পুকুরের কাছে থাকা অন্যান্য শিশুরা তাৎক্ষণিকভাবে গ্রামে জরুরি খবর দেয়। গ্রামবাসীরা ঘটনাস্থলে পৌঁছায় এবং অনেক চেষ্টার পর দুই কিশোরীকে জল থেকে বের করে আনে। কিন্তু ততক্ষণে তাদের প্রাণ বাঁচানো সম্ভব হয়নি। এই দুর্ঘটনা কেবল পরিবারগুলোর জন্যই নয়, পুরো গ্রামের জন্যও মর্মান্তিক প্রমাণিত হয়েছে।
মৃত কিশোরীদের পরিচয়
পুলিশ মৃত কিশোরীদের পরিচয় তনু, সাহেব সিং জাটের কন্যা (১৯) এবং খুশি, রানু জাটের কন্যা (১৬) হিসাবে নিশ্চিত করেছে। দুর্ঘটনার পর তাদের পরিবার গভীর শোকাহত। দেবী বিসর্জনের আনন্দ হঠাৎই বিষাদে পরিণত হয়েছে।
পরিবারের সদস্য এবং গ্রামের মানুষ ক্রমাগত কাঁদতে কাঁদতে দুই কিশোরীকে স্মরণ করছে। গ্রামবাসীদের বক্তব্য, এই দুর্ঘটনা নিরাপত্তার অভাবে ঘটেছে। মানুষ দাবি করছে যে ভবিষ্যতে পুকুর এবং বিসর্জন স্থানগুলিতে পর্যাপ্ত সুরক্ষার ব্যবস্থা করা হোক।
পুলিশের তদন্ত কার্যক্রম
সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মহেশ মীনা জানিয়েছেন যে, খবর পাওয়ার সাথে সাথে পুলিশ দল ঘটনাস্থলে পৌঁছায়। গ্রামবাসীরাই দুই কিশোরীকে জল থেকে বের করে এনেছিল, কিন্তু ততক্ষণে তাদের মৃত্যু হয়েছিল।
পুলিশ মৃতদেহগুলিকে হাসপাতালের মর্গে রেখেছে এবং ঘটনার বিস্তারিত তদন্ত শুরু করেছে। কর্মকর্তারা এটি জানার চেষ্টা করছেন যে পুকুরের ধারে কেন পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা ছিল না এবং কোন অবহেলার কারণে এই দুর্ঘটনা ঘটেছে।
দুর্ঘটনার পর গ্রামে শোক
দুর্ঘটনার পর পুরো গ্রামে শোকের ঢেউ বয়ে গেছে। দেবী বিসর্জনের সময় যে আনন্দ ও উদ্দীপনা ছিল, তা বিষাদে পরিণত হয়েছে। স্বজনরা কাঁদতে কাঁদতে দিশেহারা, এবং গ্রামবাসীরা তাদের সান্ত্বনা দিতে ব্যস্ত।
স্থানীয়রা বলছেন যে পুকুর এবং অন্যান্য বিসর্জন স্থানগুলিতে নিরাপত্তা ব্যবস্থা অত্যন্ত জরুরি। ভবিষ্যতে অন্য কোনও দুর্ঘটনা রোধ করতে প্রশাসন ও পুলিশকে সম্মিলিতভাবে আরও ভালো ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। এই ঘটনা শিশু ও যুবকদের নিরাপত্তার প্রতি সচেতনতা বৃদ্ধির বার্তাও দেয়।