ভোপাল এবং ইন্দোরে ১লা আগস্ট থেকে নতুন নিয়ম কার্যকর হবে, যার অধীনে হেলমেট ছাড়া দুই চাকার গাড়ির চালকদের পেট্রোল বা সিএনজি দেওয়া হবে না। নিয়ম অমান্য করলে পাম্প পরিচালকদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
MP News: ভোপাল এবং ইন্দোরে এখন হেলমেট না পরা দুই চাকার গাড়ির চালকরা পেট্রোল বা সিএনজি পাবে না। এই সিদ্ধান্তটি ১লা আগস্ট থেকে কার্যকর হবে এবং এর উদ্দেশ্য হল পথ নিরাপত্তা উন্নত করা। ভোপালের কালেক্টর কৌশলেন্দ্র বিক্রম সিং কর্তৃক জারি করা আদেশ অনুসারে, এই নিয়ম সমস্ত পেট্রোল এবং সিএনজি পাম্পে প্রযোজ্য হবে। ইন্দোর প্রশাসনও একই ধরনের নিয়ম কঠোরভাবে প্রয়োগ করার দিকে পদক্ষেপ নিচ্ছে।
অভিযানের পটভূমি ও উদ্দেশ্য
এটি কোনো নতুন উদ্যোগ নয়। এর আগেও এই ধরনের অভিযান চালানো হয়েছে, কিন্তু এইবার প্রশাসন এটিকে সম্পূর্ণ গুরুত্ব ও কঠোরতার সাথে প্রয়োগ করতে ইচ্ছুক। নির্দেশের মূল উদ্দেশ্য হল হেলমেট পরার অভ্যাসকে উৎসাহিত করা এবং সড়ক দুর্ঘটনায় মৃত্যুর হার কমানো। পরিসংখ্যান অনুযায়ী, হেলমেট না পরার কারণে প্রতি বছর শত শত মানুষ প্রাণ হারায়।
আইনগত বিধান ও পদক্ষেপ
প্রশাসন আরও স্পষ্ট করে দিয়েছে যে এই আদেশ লঙ্ঘনকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। আদেশে ভারতীয় ন্যায় সংহিতা (BNS) এর ধারা ২২৩ এবং মোটর ভেহিকেল আইন, ১৯৮৮ এর ধারা ১২৯ এর উল্লেখ করা হয়েছে। মোটর ভেহিকেল আইনের ধারা ১২৯ অনুসারে, দুই চাকার গাড়ি চালানোর সময় চালক এবং পিছনে বসা উভয় ব্যক্তির জন্যই আইএসআই-মানক হেলমেট পরা বাধ্যতামূলক। যদি কোনো পেট্রোল পাম্প পরিচালক এই নিয়ম লঙ্ঘন করেন, তবে তার বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
পেট্রোল পাম্প পরিচালকদের দায়িত্ব
সমস্ত পেট্রোল এবং সিএনজি পাম্প পরিচালকদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে যে তারা যেন কোনো গ্রাহককে হেলমেট ছাড়া জ্বালানি না দেন। যদি কোনো পাম্প পরিচালক এই আদেশ পালন না করেন, তাহলে প্রশাসন তাদের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ নেবে। এই দায়িত্ব এখন শুধু গাড়িচালকদের নয়, পেট্রোল পাম্প মালিকদেরও নিয়ম পালন নিশ্চিত করতে হবে।
মানুষের মধ্যে সচেতনতা বাড়ানোর চেষ্টা
প্রশাসনের পক্ষ থেকে এই সিদ্ধান্ত কার্যকর করার আগে শহরে সচেতনতা অভিযানও চালানো হচ্ছে। মানুষকে বলা হচ্ছে যে হেলমেট শুধুমাত্র আইন পালনের জন্য নয়, তাদের নিজেদের সুরক্ষার জন্যও জরুরি।
কঠোরতার প্রভাব: কী বদলাবে আচরণ?
যদিও এর আগে এমন নিয়ম তৈরি করা হয়েছিল, তবে তার প্রয়োগ ছিল ঢিলেঢালা। এইবার প্রশাসনিক কঠোরতার কারণে আশা করা যাচ্ছে যে মানুষ এই নিয়মকে গুরুত্বের সঙ্গে নেবে। এই পদক্ষেপ মানুষের নিরাপত্তার দিকে একটি ইতিবাচক প্রচেষ্টা এবং যদি সঠিকভাবে প্রয়োগ করা যায়, তবে এর ফলে রাস্তায় মৃত্যুর সংখ্যা নিশ্চিতভাবে কমবে।
ISI মার্ক যুক্ত হেলমেট জরুরি
প্রশাসন আরও স্পষ্ট করে দিয়েছে যে শুধু হেলমেট পরা নয়, সেটি ISI মার্ক যুক্ত হতে হবে। সস্তা, খারাপ মানের বা অর্ধেক হেলমেট পরে নিয়ম এড়ানোর চেষ্টা করলেও তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এর ফলে এটা নিশ্চিত করা যাবে যে মানুষ সঠিক সুরক্ষা ব্যবস্থা গ্রহণ করে।