ভোপাল পুলিশ সদর দফতরে জাল মেডিকেল বিল কেলেঙ্কারি ফাঁস হয়েছে। তিন পুলিশকর্মী হর্ষ, নীরজ এবং রাজপাল ঠাকুরকে গ্রেফতার করা হয়েছে, যারা প্রায় ১০ লক্ষ টাকা প্রতারণা করেছেন। মামলায় ৪২০, ৪৬৭, ৪৬৮ এবং ৪৭১ ধারায় তদন্ত শুরু হয়েছে।
ভোপাল: মধ্যপ্রদেশের রাজধানী ভোপাল থেকে এক বড় কেলেঙ্কারির খবর সামনে এসেছে। পুলিশ সদর দফতরে নিযুক্ত তিন পুলিশকর্মী মিলে জাল মেডিকেল বিল তৈরি করে বিভাগ থেকে প্রায় ১০ লক্ষ টাকা তুলে নিয়েছেন। ডিএসপি ওপি মিশ্রের অভিযোগের পর তিন পুলিশকর্মীর বিরুদ্ধে প্রতারণা ও জালিয়াতির মামলা রুজু করা হয়েছে।
তদন্তে প্রকাশ পেয়েছে যে এই কেলেঙ্কারি দীর্ঘ দিন ধরে চলছিল, কিন্তু নিয়মিত তদন্তের সময় নথিপত্রে অসঙ্গতি দেখা দেওয়ায় তা ফাঁস হয়। আধিকারিকরা জানিয়েছেন যে এই ঘটনা পুলিশ বিভাগের অভ্যন্তরীণ নিয়ন্ত্রণ এবং নজরদারি ব্যবস্থার গুরুত্ব তুলে ধরে।
গ্রেফতার হওয়া পুলিশকর্মীদের বিরুদ্ধে জাল বিলের অভিযোগ
জাহাঙ্গীরবাদ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা চতুর্বুজ রাঠোর জানিয়েছেন যে অভিযুক্তদের নাম হর্ষ, নীরজ এবং রাজপাল ঠাকুর। তিনজনই পুলিশ সদর দফতরে ক্যাশিয়ার হিসেবে নিযুক্ত ছিলেন। প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে যে অভিযুক্তরা পারস্পরিক ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে তিনজন ভিন্ন ব্যক্তির নামে জাল চিকিৎসার বিল তৈরি করে সেগুলো পাশ করিয়ে নিজেদের অ্যাকাউন্টে অর্থ জমা করিয়ে নিয়েছিল।
পুলিশ জানিয়েছে যে এই জালিয়াতির বিষয়টি তখন নিশ্চিত হয় যখন সংশ্লিষ্ট হাসপাতালগুলো থেকে রোগীদের চিকিৎসার তথ্য চাওয়া হয়। হাসপাতালগুলো স্পষ্ট করে জানায় যে, যেসকল রোগীদের নামে বিল তৈরি করা হয়েছিল, তাদের সেখানে কোনো রেকর্ড ছিল না।
মামলা ফাঁস এবং রুজু হওয়া ধারাগুলি
নিয়মিত বিল তদন্তের সময় এই কেলেঙ্কারির বিষয়টি জানা যায়। তদন্তকারী দল নথিপত্র ক্রস ভেরিফাই করে এবং জালিয়াতি প্রমাণিত হয়। এরপর ডিএসপি ওপি মিশ্র একটি বিস্তারিত রিপোর্ট তৈরি করে ৪২০, ৪৬৭, ৪৬৮ এবং ৪৭১ ধারার অধীনে মামলা রুজু করেন।
তদন্ত চলাকালীন জাল নথি জব্দ করা হয়েছে এবং অভিযুক্ত পুলিশকর্মীদের জিজ্ঞাসাবাদ চলছে। আধিকারিকরা জানিয়েছেন যে এই তদন্ত এখনও প্রাথমিক পর্যায়ে রয়েছে এবং ভবিষ্যতে আরও অনেকের জড়িত থাকার বিষয়টি প্রকাশ পেতে পারে।