বিহার में যেমন যেমন বিধানসভা নির্বাচন এগিয়ে আসছে, রাজনৈতিক কার্যকলাপ তেমনই तीव्र হচ্ছে। একদিকে মুখ্যমন্ত্রী নীতিশ কুমার প্রকল্প ও ঘোষণার বন্যা বইয়ে দিচ্ছেন, তো অন্যদিকে বিরোধী মহাজোট ‘অগাস্ট क्रांति’র স্লোগান তুলে নির্বাচনী প্রচারকে আরও জোরদার করতে উঠেপড়ে লেগেছে। রাষ্ট্রীয় জনতা দল (RJD)-এর নেতৃত্বে গঠিত মহাজোট অগাস্ট মাসকে ‘রাজনৈতিক পরিবর্তনের’ প্রতীক হিসেবে তুলে ধরছে। বিরোধীরা স্পষ্ট ইঙ্গিত দিয়েছে যে, এবার তারা নীতিশ সরকারকে প্রতিটি ফ্রন্টে ঘিরতে প্রস্তুত।
বিধানসভায় বিরোধী দলনেতা তেজস্বী যাদব ঘোষণা করেছেন যে, रक्षाबंधन-এর পর মহাজোটের নেতারা বিহারের রাস্তায় নেমে রাজ্যজুড়ে জনসভা করবেন। এই প্রচারে রাহুল গান্ধী সহ অনেক জাতীয় নেতা অংশ নেবেন। তেজস্বী আরও বলেছেন যে, ভোটার তালিকায় চলমান দুর্নীতি নিয়ে তিনি নিজে जनजागरण অভিযানের নেতৃত্ব দেবেন। তাঁর অভিযোগ, ভোটার তালিকার বিশেষ गहन পুনরীক্ষণ (SIR)-এর সময় অনেক মানুষের ভোটাধিকার বিপন্ন।
তেজস্বীর দাবি, রাজ্যে অপরাধের গ্রাফ বেপরোয়া হয়ে গেছে। তাঁর বক্তব্য, গত ১০ দিনে রাজ্যে ১০০-র বেশি খুন হয়েছে। তিনি এটিকে जंगलराज আখ্যা দিয়ে নীতিশ সরকারকে সম্পূর্ণরূপে ব্যর্থ বলে অভিহিত করেছেন। একইসঙ্গে কংগ্রেস প্রদেশ সভাপতি রাজেশ রামও মহাজোটের কৌশলকে সমর্থন করে বলেছেন যে, অগাস্ট মাসে বিপ্লবের সূচনা হবে এবং জনগণের লড়াই পুরো উদ্যমে লড়া হবে।
কেন গুরুত্বপূর্ণ অগাস্ট বিপ্লবের রাজনৈতিক ব্যবহার
মহাজোট ‘অগাস্ট বিপ্লব’-কে শুধুমাত্র একটি नारा নয়, বরং भावनात्मक ও ঐতিহাসিক প্রতীক হিসেবে গ্রহণ করেছে। ভারত ছাড়ো আন্দোলনের শুরু হয়েছিল ১৯৪২ সালের অগাস্ট মাসে মহাত্মা গান্ধীর নেতৃত্বে। এই আন্দোলনের नारा ছিল – ‘করেঙ্গে ইয়া মরেঙ্গে’। এই আন্দোলন ব্রিটিশ শাসনের ভিত নাড়িয়ে দিয়েছিল এবং তার মাত্র পাঁচ বছর পরেই দেশ স্বাধীনতা লাভ করে।
বিরোধীরা এখন এই ঐতিহাসিক সংযোগকে জনগণের সঙ্গে যুক্ত করার চেষ্টা করছে। তাদের আশা, এর মাধ্যমে শুধু জনগণের মধ্যে একটি আবেগপূর্ণ সংযোগ তৈরি হবে না, বরং মানুষকে বর্তমান সরকারের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ করতেও সাহায্য করবে।
মহাজোটের কৌশল সরকারের দুর্বলতাগুলিকে তুলে ধরার উপর কেন্দ্র করে গঠিত। রাজ্যে ক্রমাগত বাড়তে থাকা অপরাধ, বিদ্যুৎ সংকট, বেকারত্ব এবং প্রশাসনিক ব্যর্থতার মতো বিষয়গুলি বিরোধীদের আলোচ্যসূচিতে প্রধান। একসময় ‘সুশাসন বাবু’ নামে পরিচিত নীতিশ কুমারের জনপ্রিয়তায় আসা পতনকে বিরোধীরা নিজেদের পক্ষে কাজে লাগানোর চেষ্টা করছে। তেজস্বী এবং রাহুলের জুটি জনগণের সঙ্গে संवादের মাধ্যমে নিজেদের প্রচারকে আরও জোরদার করার চেষ্টা করছেন।
নীতিশ কুমারের ঘোষণার বর্ষণ
অন্যদিকে, মুখ্যমন্ত্রী নীতিশ কুমারও জানেন যে, এইবার প্রতিযোগিতা সহজ হবে না। সেই কারণেই তিনি लगातार জনমোহিনী घोषणा করছেন। সম্প্রতি তিনি আশা কর্মীদের মাসিক प्रोत्साहन राशि ১,০০০ টাকা থেকে বাড়িয়ে ৩,০০০ টাকা করার घोषणा করেছেন। ममता স্বাস্থ্য কর্মীদের এখন প্রতিটি ডেলিভারিতে ৬০০ টাকা করে দেওয়া হবে, যা আগে ৩০০ টাকা ছিল।
নীতিশ সরকার সাংবাদিকদেরও সন্তুষ্ট করার চেষ্টা করেছে। বিহার पत्रकार सम्मान योजना-র অধীনে রেজিস্টার্ড অবসরপ্রাপ্ত সাংবাদিকদের মাসিক পেনশন ৬,০০০ টাকা থেকে বাড়িয়ে ১৫,০০০ টাকা করা হয়েছে। এছাড়াও, मधुबनी জেলায় প্রায় ৬৫০ কোটি টাকার উন্নয়ন প্রকল্পের সূচনা করা হয়েছে। এই ঘোষণাগুলির উদ্দেশ্য হল सत्ता বিরোধী लहर-কে থামানো এবং জনগণের বিশ্বাস পুনরায় অর্জন করা।
এনডিএ-র পক্ষ থেকে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর মুখও প্রধান ভূমিকা পালন করছে। মোদী সাম্প্রতিক মাসগুলিতে ছয়বার বিহার সফর করেছেন। এটি বিজেপির गंभीरता-কে প্রদর্শন করে। বিজেপির আশা, মোদীর জনপ্রিয়তা এবং নীতিশের প্রকল্পগুলি একসঙ্গে ভোটারদের নিজেদের দিকে টানতে সফল হবে।
রাজনৈতিক যুদ্ধের জন্য প্রস্তুত বিহার
বিহার-এ অক্টোবর-নভেম্বর মাসে বিধানসভা নির্বাচন হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এমতাবস্থায় রাজ্যের রাজনৈতিক তাপমাত্রা চরমে রয়েছে। একদিকে বিরোধীরা ‘অগাস্ট क्रांति’র মাধ্যমে জনগণের অনুভূতিকে জাগানোর চেষ্টা করছে, তো অন্যদিকে এনডিএ সরকার উন্নয়ন প্রকল্প এবং কেন্দ্রের প্রকল্পগুলির উপর নির্ভর করে ময়দানে টিকে আছে।
এই লড়াই শুধু ঘোষণার নয়, বরং বিশ্বাস ও নেতৃত্বেরও হয়ে দাঁড়াচ্ছে। এখন দেখার বিষয় হল, জনগণ ‘অগাস্ট क्रांति’র হুঙ্কারে পরিবর্তনের সুর শোনে নাকি নীতিশের প্রকল্প ও মোদীর মুখকে পুনরায় সুযোগ দেয়।