বিহার-এ যুব কমিশন গঠনের পথ এখন সম্পূর্ণভাবে সুগম হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী নীতিশ কুমারের সভাপতিত্বে মঙ্গলবার অনুষ্ঠিত ক্যাবিনেট বৈঠকে এই প্রস্তাবটি অনুমোদন করা হয়েছে। এই সিদ্ধান্ত রাজ্য সরকারের তরফে যুবকদের স্বার্থে নেওয়া একটি বড় পদক্ষেপ হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।
পাটনা: মুখ্যমন্ত্রী নীতিশ কুমারের নেতৃত্বে বিহার সরকার রাজ্যের যুবকদের জন্য একটি বড় উদ্যোগ নিয়েছে। মঙ্গলবার অনুষ্ঠিত ক্যাবিনেট বৈঠকে ‘বিহার যুব আয়োগ’ (Bihar Yuva Aayog) গঠনের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এই কমিশনের গঠনের উদ্দেশ্য হল যুবকদের কর্মসংস্থানের সুযোগ, প্রশিক্ষণ, ক্ষমতায়ন এবং সামাজিক সুরক্ষা প্রদান করা। এই সিদ্ধান্ত বিধানসভা নির্বাচন ২০২৫-এর আগে নেওয়া হয়েছে, যা রাজ্য সরকারের যুবকদের আকৃষ্ট করার কৌশল হিসেবে দেখা হচ্ছে।
মুখ্যমন্ত্রী নিজেই তথ্য দিয়েছেন
মুখ্যমন্ত্রী নীতিশ কুমার এই সিদ্ধান্তের কথা তাঁর X (পূর্বে Twitter) হ্যান্ডেলে শেয়ার করেছেন। তিনি লিখেছেন: বিহারের যুবকদের প্রশিক্ষণ দেওয়া, কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি করা এবং তাদের স্বনির্ভর করার উদ্দেশ্যে রাজ্য সরকার বিহার যুব আয়োগ গঠনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। নীতিশ কুমার জানিয়েছেন, এই কমিশন কেবল যুবকদের সমস্যাগুলির ওপর কাজ করবে না, বরং সরকারকেও নীতিগত পরামর্শ দেবে।
কমিশনের কাঠামো কেমন হবে?
বিহার যুব আয়োগে মোট ১০ জন সদস্য থাকবেন:
- ১ জন সভাপতি
- ২ জন উপ-সভাপতি
- ৭ জন সদস্য
সমস্ত সদস্যদের সর্বোচ্চ বয়সসীমা ৪৫ বছর নির্ধারণ করা হয়েছে, যাতে কমিশনে যুবকদের অংশগ্রহণ এবং প্রতিনিধিত্ব নিশ্চিত করা যায়।
কমিশন কোন বিষয়গুলির উপর কাজ করবে?
বিহার যুব আয়োগের দায়িত্বগুলি সরকার খুব স্পষ্টভাবে সংজ্ঞায়িত করেছে। এর প্রধান কাজগুলি হবে:
- রাজ্যের যুবকদের কর্মসংস্থানের জন্য প্রশিক্ষণ দেওয়া।
- বেসরকারি খাতে স্থানীয় যুবকদের অগ্রাধিকার দেওয়া।
- বাইরে পড়াশোনা বা কাজ করতে যাওয়া যুবকদের স্বার্থরক্ষা নিশ্চিত করা।
- মদ, মাদক এবং অন্যান্য সামাজিক কুফলগুলির বিরুদ্ধে কর্মসূচি তৈরি করা এবং পরামর্শ দেওয়া।
- শিক্ষা ও কর্মসংস্থানের ক্ষেত্রে বিভাগগুলির মধ্যে সমন্বয় স্থাপন করা।
- এই কমিশন রাজ্য সরকারের সমস্ত বিভাগের সঙ্গে সমন্বয় করে যুবকদের জন্য নীতি তৈরি এবং পর্যবেক্ষণের অধিকার পাবে।
নির্বাচনের আগে যুবকদের আকৃষ্ট করার প্রস্তুতি
বিশ্লেষকদের মতে, বিহারে আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনের আগে সরকারের এই পদক্ষেপটি যুবকদের নিজেদের দিকে টানার একটি কৌশলগত চাল। বেকারত্ব, पलाয়ন, শিক্ষার গুণমান এবং বেসরকারি চাকরিতে স্থানীয় যুবকদের অগ্রাধিকারের মতো বিষয়গুলি দীর্ঘদিন ধরে রাজ্যে আলোচনার বিষয়। এমতাবস্থায় ‘বিহার যুব আয়োগ’-কে এই সমস্যাগুলির সমাধানের উপায় হিসেবে দেখা হচ্ছে।