রাজস্থানের যোধপুরের ওসিয়ান থেকে বিজেপি বিধায়ক ভৈাররাম সিওল-এর একটি মন্তব্য সোশ্যাল মিডিয়ায় আলোচনার ঝড় তুলেছে। তিনি নাবালিকা এবং বিবাহিত মহিলাদের বাড়ি থেকে পালিয়ে প্রেম-বিবাহ করার ঘটনা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে বিবাহের আগে পিতামাতার সম্মতি বাধ্যতামূলক করার পরামর্শ দিয়েছেন।
Rajasthan News: রাজস্থানের যোধপুর জেলার ওসিয়ান অঞ্চলে একটি ধর্মীয় অনুষ্ঠানে বিজেপি বিধায়ক ভৈাররাম সিওল বলেছেন যে নাবালিকা কন্যা এবং বিবাহিত মহিলাদের বাড়ি থেকে পালিয়ে প্রেম-বিবাহ করার ঘটনা বাড়ছে। তিনি এটি বন্ধ করার জন্য বিবাহের আগে পিতামাতার অনুমতিকে বাধ্যতামূলক করার প্রস্তাব রেখেছেন।
বিধায়কের ভাষণ আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু
রাজস্থানের যোধপুরের ওসিয়ান থেকে বিজেপি বিধায়ক ভৈাররাম সিওল-এর ভাষণ সোশ্যাল মিডিয়ায় দ্রুত ভাইরাল হয়ে গেছে। তিনি নাবালিকা কন্যা এবং বিবাহিত মহিলাদের বাড়ি থেকে পালিয়ে প্রেম-বিবাহ করার ঘটনা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। এই মন্তব্যের পর সমাজে বিতর্ক শুরু হয়েছে, যেখানে একটি অংশ এটিকে সঠিক বলে মনে করছে, অন্য অংশ এটিকে ব্যক্তিগত স্বাধীনতার ওপর হস্তক্ষেপ হিসাবে দেখছে।
ভৈাররাম সিওল বলেছেন যে আজকাল শুধু মেয়েরাই নয়, তিন সন্তানের মা-ও প্রেম-বিবাহের জন্য বাড়ি ছেড়ে চলে যাচ্ছে। তিনি এটিকে সমাজ, সংস্কৃতি এবং পারিবারিক মূল্যবোধের জন্য বিপজ্জনক বলে অভিহিত করেছেন এবং বলেছেন যে পরিবারের সদস্যরা তাদের দুঃখ-কষ্ট নিয়ে তাঁর কাছে আসেন, যা শুনে তিনি অত্যন্ত ব্যথিত হন।
আইনে পরিবর্তনের দাবি
বিধায়ক সিওল তাঁর ভাষণে মোবাইল ফোনকে তরুণ প্রজন্মের বিপথগামী হওয়ার মূল কারণ হিসেবে উল্লেখ করেছেন। তিনি বলেছেন যে শিক্ষার পাশাপাশি শিশুদের মধ্যে মূল্যবোধ সঞ্চার করা অত্যন্ত জরুরি, যাতে তারা সঠিক পথে এগোতে পারে।
তিনি হিন্দু বিবাহ আইন, ১৯৫৫-এর ধারা ৫-এ সংশোধন করে বিবাহের আগে পিতামাতার সম্মতি বাধ্যতামূলক করার দাবি জানিয়েছেন। তাঁর মতে, এই পরিবর্তন সমাজে ছড়িয়ে পড়া অস্থিরতা রোধ করবে এবং পরিবারগুলির সুরক্ষা নিশ্চিত করবে।
વિધાનસભાয় উত্থাপন
সোমবার রাজস্থান বিধানসভায় বিশেষ উল্লেখ প্রস্তাব পেশ করার সময়, বিধায়ক সিওল স্পষ্ট করে বলেন যে নাবালিকা এবং বিবাহিত মহিলাদের বাড়ি থেকে পালিয়ে বিবাহ করার ঘটনা বন্ধ করার জন্য আইনে সংশোধন জরুরি। তিনি জনমত উল্লেখ করে বলেন যে পিতামাতার সম্মতি বাধ্যতামূলক করা সমাজের দাবি।
এই প্রস্তাবের আলোচনা চলাকালীন তিনি দাবি করেন যে এই পদক্ষেপ পরিবারগুলিকে স্বস্তি দেবে এবং সমাজে ক্রমবর্ধমান বিশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণ করবে। তাঁর ভাষণ ভাইরাল হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে সোশ্যাল মিডিয়ায় পক্ষে-বিপক্ষে নানা প্রতিক্রিয়া উপচে পড়ে।
শিক্ষা ও মূল্যবোধের উপর জোর
ভৈাররাম সিওল বলেছেন যে সরকারের উচিত শিশুদের শিক্ষার পাশাপাশি তাদের মধ্যে মূল্যবোধের সঞ্চার করা। তাঁর মতে, পরিবারগুলির সুরক্ষা এবং সমাজের স্থিতিশীলতার জন্য এটি অত্যন্ত জরুরি।
যেখানে অনেকে তাঁর পরামর্শকে সামাজিক মূল্যবোধ রক্ষার উপায় বলে মনে করছেন, সেখানে বিরোধীরা এটিকে তরুণদের স্বাধীনতার উপর আক্রমণ হিসাবে দেখছে। এই ইস্যুতে গভীর বিতর্কের ধারা এখনও অব্যাহত রয়েছে।
এরপর কী?
রাজস্থান বিধানসভার আসন্ন অধিবেশনে এই ইস্যুতে গভীর আলোচনার সম্ভাবনা রয়েছে। এখন সকলের দৃষ্টি সরকারের ভূমিকার দিকে, যে সরকার এই প্রস্তাব গ্রহণ করে আইনে পরিবর্তনের দিকে পদক্ষেপ নেয় কিনা।