মুখ্যমন্ত্রীর 'জনতা দর্শন' এ স্কুল ভর্তির আবেদন: মায়রার স্বপ্ন পূরণে মুখ্যমন্ত্রীর উদ্যোগ

মুখ্যমন্ত্রীর 'জনতা দর্শন' এ স্কুল ভর্তির আবেদন: মায়রার স্বপ্ন পূরণে মুখ্যমন্ত্রীর উদ্যোগ

কানপুরের মায়রা মুখ্যমন্ত্রীর কাছে "জনতা দর্শন"-এ স্কুলে ভর্তির আবেদন করেছিল। মুখ্যমন্ত্রী শিশুটির সরলতা দেখে তাকে চকলেট দেন এবং দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য আধিকারিকদের নির্দেশ দেন। এর ফলে মায়রার ভর্তি নিশ্চিত হয়।

ইউপি সংবাদ: কানপুরের খুদে মায়রা সোমবার তার মা নেহার সাথে মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের "জনতা দর্শন" অনুষ্ঠানে পৌঁছেছিল। মায়রা মুখ্যমন্ত্রীর কাছে স্কুলে ভর্তির জন্য আবেদন করেছিল। মুখ্যমন্ত্রী যোগী শিশুটির সরলতা দেখে তাকে প্রথমে একটি চকলেট দেন এবং তারপর আধিকারিকদের মায়রার ভর্তি নিশ্চিত করার জন্য অবিলম্বে নির্দেশ দেন।

 মুখ্যমন্ত্রী মায়রাকে জিজ্ঞাসা করেন যে সে বড় হয়ে কি হতে চায়। শিশুটি সঙ্গে সঙ্গে উত্তর দেয় যে সে ডাক্তার হবে। এই শুনে মুখ্যমন্ত্রী হেসে ফেলেন এবং শিশুটির পরিবারকে আশ্বাস দেন যে তার মেয়ের ভর্তি নিশ্চিত করা হবে।

মুরাদাবাদ ও গোরখপুরের শিশুটির সমস্যার সমাধান

এর আগে মুরাদাবাদের বচী এবং গোরখপুরের পাখুড়িও তাদের পরিবারের সাথে "জনতা দর্শন"-এ মুখ্যমন্ত্রীর সাথে দেখা করেছিল। বচী ভর্তির জন্য এবং পাখুড়ি ফি মকুব করার জন্য আবেদন করেছিল। মুখ্যমন্ত্রী যোগী তাৎক্ষণিকভাবে আধিকারিকদের নির্দেশ দেন, যার ফলে বচী মুরাদাবাদের একটি স্বনামধন্য স্কুলে এবং পাখুড়ি গোরখপুরের স্কুলে ভর্তি হয়। এভাবে তিন শিশুর শিক্ষাগত সমস্যার সমাধান তাৎক্ষণিকভাবে হয়ে যায়।

মায়রার সাথে কথোপকথন এবং তার সরলতা

জনতা দর্শনে মুখ্যমন্ত্রী প্রথমে মায়রার খোঁজখবর নেন এবং তারপর তার স্বপ্ন সম্পর্কে জানতে চান। যখন মায়রা বলে যে সে ডাক্তার হবে, তখন মুখ্যমন্ত্রী তার সরলতায় হেসে তাকে একটি চকলেট দেন। এরপর তিনি আধিকারিকদের দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেন। মায়রার মা জানান যে মুখ্যমন্ত্রী কেবল মেয়ের সমস্যাই শোনেননি, পুরো পরিবারকে আশ্বাসও দিয়েছেন যে তার মেয়ের স্কুলে ভর্তি নিশ্চিত করা হবে।

মুখ্যমন্ত্রীর আচরণে মুগ্ধ পরিবার

মায়রার পরিবার মুখ্যমন্ত্রী যোগীর সহৃদয়তার প্রশংসা করেছে। নেহা সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে বলেন যে মুখ্যমন্ত্রী অত্যন্ত মনোযোগ দিয়ে তাদের কথা শুনেছেন এবং তাদের আশ্বাস দিয়েছেন যে তার মেয়ের ভর্তি নিশ্চিত হবে। পরিবারের মতে, মুখ্যমন্ত্রীর এই আচরণ সত্যিই অনুপ্রেরণাদায়ক এবং সংবেদনশীল ছিল।

বচী ও পাখুরির মামলার পটভূমি

কোনো শিশুর তার স্কুলে ভর্তির জন্য মুখ্যমন্ত্রীর সাথে দেখা করা এই প্রথম নয়। জুন মাসে মুরাদাবাদের বচী তার বাবা-মায়ের সাথে মুখ্যমন্ত্রীর সাথে দেখা করেছিল এবং তথ্য অধিকার আইনের অধীনে মুরাদাবাদের একটি স্বনামধন্য স্কুলে ভর্তির জন্য আবেদন করেছিল। তিন ঘন্টার মধ্যেই বচীর ভর্তি নিশ্চিত হয় এবং সে এখন স্কুলে পড়াশোনা করছে।

শুধু তাই নয়, জুলাই মাসে গোরখপুরের পাখুড়ি ত্রিপাঠিও ফি মকুব করার জন্য মুখ্যমন্ত্রীর সাথে দেখা করেছিল। মুখ্যমন্ত্রী আশ্বাস দিয়েছিলেন যে তার পড়াশোনা বন্ধ হবে না এবং স্কুল কর্তৃপক্ষকে অবিলম্বে নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। এখন পাখুড়িও তার স্কুলে পড়াশোনা করছে।

শিক্ষার প্রতি মুখ্যমন্ত্রীর সংবেদনশীল দৃষ্টিভঙ্গি

মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ বারবার প্রমাণ করেছেন যে শিশুদের শিক্ষা এবং ভবিষ্যৎ তার অগ্রাধিকার। ভর্তির সমস্যা হোক বা আর্থিক বাধা, মুখ্যমন্ত্রী তাৎক্ষণিকভাবে আধিকারিকদের ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দেন। "জনতা দর্শন"-এর মাধ্যমে সাধারণ মানুষ তাদের সমস্যা সরাসরি মুখ্যমন্ত্রীর কাছে পৌঁছে দিতে পারে এবং বাস্তব সমাধান পায়।

Leave a comment