প্রেমিকার ফাঁস, দুই প্রেমিকের জড়িত দেগঙ্গা খুনের রহস্য উন্মোচন

প্রেমিকার ফাঁস, দুই প্রেমিকের জড়িত দেগঙ্গা খুনের রহস্য উন্মোচন

প্রেমের ত্রিকোণ ও শত্রুতা: তদন্তে জানা যায়, ধৃত প্রেমিকা ইসমতারা বিবি বহু বছর ধরে মনা ঘোষের সঙ্গে বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্ক বজায় রেখেছিলেন। পরে শরিফুল ইসলাম ও সফিকুলের সঙ্গে তার সম্পর্কও ঘনিষ্ঠ হয়। কিন্তু শরিফুল এবং সফিকুল জানতেন না যে ইসমতারা দু’জনের সঙ্গেই সম্পর্ক রেখেছেন। রাতের অভিসারে প্রেমিকা ইসমতারার বাড়িতে দু’জনই দেখা করত। এই দ্বন্দ্বের কারণে শত্রুতা তৈরি হয় এবং খুনের পরিকল্পনা গড়ে ওঠে।

হত্যার পরিকল্পনা ও ঘটনা

গত এক মাস ধরে শরিফুলকে হত্যার ছক কষা হয়। সোমবার রাতে প্রেমিকার বাড়িতে পৌঁছনোর পর তিনজনই শরিফুলকে বাড়ির পিছনে নিয়ে যায়। ইসমতারা গলায় ফাঁস দেয়, শফিকুল ও মনা গামছা ধরে সাহায্য করে। মৃত্যু নিশ্চিত করতে ইসমতারা শরিফুলের গোপনাঙ্গে আঘাত করে। পরে মৃতের মোবাইল ফেলে দেয় তারা।

পুলিশি তদন্ত ও গ্রেপ্তার

নিহতের স্ত্রীর বয়ান এবং পুলিশের সোর্স ব্যবহার করে দেগঙ্গা থানার পুলিশ ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই খুনের কিনারা করে। ধৃতরা তিনজন—ইসমতারা বিবি (৪৫), মনা ঘোষ ও সফিকুল। পুলিশ এখন মোবাইল উদ্ধার করে ঘটনার পুনর্নিমাণ করছে, সম্ভবত আরও নতুন তথ্য সামনে আসবে।

আর্থিক লোভ ও ঘটনার প্রেক্ষাপট

শরিফুলের কাছ থেকে মোটা অঙ্কের টাকা নেওয়া হয়েছিল বলে পুলিশ জানিয়েছে। হত্যার নেপথ্যে অর্থনৈতিক লোভও ছিল, যা হত্যাকাণ্ডের পরিকল্পনায় ভূমিকা রেখেছে।

দেগঙ্গা থানার পুলিশ ঘটনার ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই প্রেমিকা ইসমতারা, মনা ঘোষ ও সফিকুলকে গ্রেপ্তার করে শরিফুল ইসলামের খুনের রহস্য উদঘাটন করেছে। প্রেমিকা ইসমতারার ঘনিষ্ঠতা ও প্রেমের ত্রিকোণ সংঘর্ষের নেপথ্যেই ঘটে এই নৃশংস হত্যা।

Leave a comment