দিল্লিতে মুখ্যমন্ত্রীর উপর হামলা: মূল অভিযুক্ত ৫ দিনের পুলিশ রিমান্ডে

দিল্লিতে মুখ্যমন্ত্রীর উপর হামলা: মূল অভিযুক্ত ৫ দিনের পুলিশ রিমান্ডে

দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী রেখা গুপ্তার উপর বুধবার জনশুনানির সময় হামলার অভিযোগে অভিযুক্ত রাকেশ ভাই খিমজিকে দিল্লি পুলিশ গভীর রাতে तीस হাজারি কোর্টের ডিউটি ম্যাজিস্ট্রেটের সামনে পেশ করে।

Delhi CM Attack: রাজধানী দিল্লিতে বুধবার মুখ্যমন্ত্রী রেখা গুপ্তার উপর হামলার ঘটনায় মূল অভিযুক্ত রাকেশ ভাই খিমজিকে পুলিশ পাঁচ দিনের জন্য নিজেদের হেফাজতে নিয়েছে। तीस হাজারি কোর্টের ডিউটি ম্যাজিস্ট্রেট অভিযুক্তকে পুলিশ রিমান্ডে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন, যেখানে পুলিশ সাত দিনের হেফাজতের আবেদন করেছিল। রিমান্ড চলাকালীন পুলিশ অভিযুক্তকে মামলার সঙ্গে জড়িত বিভিন্ন দিক নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করবে, যাতে এই হামলার পেছনের সম্পূর্ণ ঘটনা সামনে আসার সম্ভাবনা রয়েছে।

পুলিশ সূত্রে খবর, রাকেশ ভাই খিমজিকে নিরাপত্তার কারণে গভীর রাতে গোপনে কোর্টে পেশ করা হয়। বলা হয়েছে, দিনের বেলায় অভিযুক্তকে কোর্টে আনা হলে হট্টগোল বা হামলার আশঙ্কা ছিল। পুলিশের প্রাথমিক তদন্তে ইঙ্গিত মিলেছে যে অভিযুক্ত হামলার পরিকল্পনা আগে থেকেই করেছিল। মুখ্যমন্ত্রী রেখা গুপ্তার উপর এই হামলা জনশুনানির সময় হয়েছিল। হামলার পর ঘটনার গুরুত্ব বিবেচনা করে দিল্লি পুলিশ অভিযুক্তের বিরুদ্ধে সিভিল লাইন্স থানায় মামলা দায়ের করেছে। অভিযুক্তের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির বিভিন্ন ধারায় মামলা রুজু করা হয়েছে।

অভিযুক্ত ৫ দিনের রিমান্ডে

রাকেশ ভাই খিমজির বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ধারা 109(1), 132 এবং 221-এর অধীনে মামলা নথিভুক্ত করা হয়েছে।

  • ধারা 109(1): এই ধারাটি সেই ক্ষেত্রে প্রযোজ্য যেখানে কোনো ব্যক্তিকে আঘাত করা বা হত্যার প্রচেষ্টায় সাহায্য করা হয়েছে। যদি অভিযুক্ত দোষী সাব্যস্ত হয়, তবে এতে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের বিধান রয়েছে। তবে, সাধারণ ক্ষেত্রে এর অধীনে ১০ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া যেতে পারে।
  • ধারা 132: এই ধারার অধীনে সরকারি কর্মকর্তা বা কর্মচারীকে আঘাত করা বা তাদের কাজে বাধা দেওয়ার জন্য শাস্তির বিধান রয়েছে। এতে অভিযুক্তের দুই বছরের জেল হতে পারে।
  • ধারা 221: সরকারি কাজে বাধা দেওয়ার জন্য এই ধারাটি প্রযোজ্য। এতে তিন মাসের কারাদণ্ড এবং দুই হাজার টাকা জরিমানা করা যেতে পারে।

পুলিশের ধারণা, অভিযুক্তকে জিজ্ঞাসাবাদের সময় অনেক গুরুত্বপূর্ণ তথ্য বেরিয়ে আসতে পারে, যা হামলার পেছনের আসল কারণগুলো প্রকাশ করবে।

পুলিশের তদন্ত চলছে

দিল্লি পুলিশ মামলার তদন্ত দ্রুত করেছে। নিরাপত্তা কর্মকর্তারা জানিয়েছেন যে রাজধানী শহরে মুখ্যমন্ত্রী এবং অন্যান্য সিনিয়র অফিসারদের নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, তদন্তে অভিযুক্তের মানসিক অবস্থা, হামলার পরিকল্পনা এবং এতে জড়িত অন্যান্য ব্যক্তিদের সম্পর্কে তথ্য সংগ্রহ করা হবে।

নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞরা বলছেন যে, এ ধরনের ঘটনায় গভীর রাতে অভিযুক্তকে পেশ করা একটি স্বাভাবিক প্রক্রিয়া, যাতে কোনো অপ্রত্যাশিত ঘটনা বা জনরোষ থেকে বাঁচা যায়। মুখ্যমন্ত্রী রেখা গুপ্তা বর্তমানে স্থিতিশীল এবং তাকে দ্রুত হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। হাসপাতাল সূত্রে খবর, মুখ্যমন্ত্রীর আঘাত গুরুতর নয় এবং তার অবস্থা এখন আগের থেকে ভালো।

Leave a comment