ড্রিম ইলেভেন বন্ধ, অনলাইনে শুধুই ফ্রি গেম
কেন্দ্রীয় সরকারের নতুন আইনের জেরে বন্ধ হয়ে গিয়েছে রিয়েল মানি গেমিং প্ল্যাটফর্ম ‘ড্রিম ইলেভেন’। অর্থ দিয়ে খেলার যাবতীয় বিকল্প তুলে দেওয়া হয়েছে। সংস্থা জানিয়েছে, এখন থেকে শুধুমাত্র ‘ফ্রি টু প্লে’ সোশ্যাল গেম চালু থাকবে। এই সিদ্ধান্তেই কার্যত ব্যবসার মূল উৎসে ধাক্কা খেয়েছে তারা।
স্পনসরশিপ থেকে সরে দাঁড়াতে চলেছে Dream11
এরই মধ্যে আরও এক খবর চমকে দিল ক্রিকেটপ্রেমীদের। একাধিক রিপোর্টে প্রকাশ, এশিয়া কাপ শুরুর আগেই টিম ইন্ডিয়ার টাইটেল স্পনসরশিপ থেকে সরে দাঁড়াতে চাইছে ড্রিম ইলেভেন। BCCI-এর সঙ্গে চুক্তি চালিয়ে যেতে তারা আর ইচ্ছুক নয় বলেই জানা যাচ্ছে।
BCCI-র তরফে এখনও চূড়ান্ত ঘোষণা নেই
তবে এখনও পর্যন্ত ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড কিংবা ড্রিম ইলেভেন—কোনও পক্ষই আনুষ্ঠানিকভাবে বিষয়টি ঘোষণা করেনি। বোর্ডের ঘনিষ্ঠ মহল মনে করছে, সংস্থার আর্থিক পরিস্থিতি এবং নতুন আইনের বিধিনিষেধের কারণে তাদের পক্ষে এত বড় অঙ্কের ব্যয় সামলানো সম্ভব নয়।
লাভের উৎসে বড় ধাক্কা খেল সংস্থা
ড্রিম ইলেভেন মূলত আয় করত রিয়েল মানি ফ্যান্টাসি গেম থেকে। যদিও এখনও ফ্যানকোড ও ড্রিম স্পোর্টস ফাউন্ডেশনের মতো অঙ্গপ্রতিষ্ঠান চালু রয়েছে। কিন্তু লাভের জায়গায় বড়সড় ধাক্কা লেগেছে, যার প্রভাব স্পষ্ট হয়ে পড়েছে স্পনসরশিপের ক্ষেত্রেও।
তিন বছরের বিপুল চুক্তি চাপে ফেলেছে সংস্থাকে
২০২৩ থেকে ২০২৬ সাল পর্যন্ত তিন বছরের জন্য BCCI-কে ৩৫৮ কোটি টাকা দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল Dream11। কিন্তু বর্তমান পরিস্থিতিতে এই বিপুল অর্থের বোঝা বহন করা কতটা সম্ভব হবে, তা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন। বোর্ডের সঙ্গে চুক্তি টিকিয়ে রাখতে না পেরে পিছু হটার সিদ্ধান্তই নিয়েছে তারা বলে খবর।
স্পনসরশিপের বাজারে নতুন প্রতিযোগীদের নাম
সূত্রের খবর, ইতিমধ্যেই নতুন টাইটেল স্পনসর খোঁজা শুরু করেছে বোর্ড। আলোচনায় উঠে এসেছে দেশের শীর্ষ কর্পোরেট সংস্থা রিলায়েন্স ও আদানি গ্রুপের নাম। এ ছাড়াও ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিস সেক্টরের জায়ান্ট—জ়িরোধা, অ্যাঞ্জেল ওয়ান এবং গ্রো-র মতো সংস্থাও বিবেচনায় রয়েছে।
এশিয়া কাপের আগে অনিশ্চয়তার কালো মেঘ
এশিয়া কাপের আগে এই ধাক্কা নিঃসন্দেহে বড় দুশ্চিন্তা তৈরি করেছে। ভারতীয় দলের স্পনসরশিপ কার হাতে যাবে, তা নিয়ে এখন চূড়ান্ত জল্পনা শুরু হয়েছে ক্রিকেটমহলে। খেলোয়াড়দের জার্সিতে কোন নতুন লোগো দেখা যাবে, তা নিয়েই উত্তেজনা চরমে।