ঝাড়খণ্ডের দুমকা জেলায় মাসতুতো দেবর তার ভাবির পিত্রালয়ে ঢুকে ধর্ষণ করেছে। অভিযোগের পর পুলিশ অভিযুক্ত গণেশ হাঁসদাকে গ্রেপ্তার করে বিচারবিভাগীয় হেফাজতে পাঠিয়েছে, অন্যদিকে, নির্যাতিতাকে ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
দুমকা: ঝাড়খণ্ডের দুমকা জেলার শিকারিপাড়া থানা এলাকায় একটি লজ্জাজনক ও নিন্দনীয় ঘটনা সামনে এসেছে, যেখানে এক মাসতুতো দেবর তার মাসতুতো ভাবিকে ধর্ষণ করেছে। এই ঘটনা ১০ সেপ্টেম্বর রাত প্রায় ১টায় ঘটেছিল, কিন্তু পঞ্চায়েতে কোনো নিরপেক্ষ সিদ্ধান্ত না হওয়ায় নির্যাতিতাকে ন্যায়ের জন্য ১৭ সেপ্টেম্বর থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করতে হয়। পুলিশ দ্রুত পদক্ষেপ নিয়ে অভিযুক্ত গণেশ হাঁসদাকে গ্রেপ্তার করে বিচারবিভাগীয় হেফাজতে জেলে পাঠিয়েছে।
নির্যাতিতার বাড়িতে লজ্জাজনক ঘটনা
প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, নির্যাতিতা তার শ্বশুরবাড়ি থেকে নিজের পিত্রালয়ে গিয়েছিলেন। অভিযুক্ত মাসতুতো দেবর, গণেশ হাঁসদা, সেই একই এলাকায় থাকে যেখানে নির্যাতিতার শ্বশুরবাড়ি অবস্থিত। রাতের বেলা যখন নির্যাতিতা নিজের বাড়িতে একা ছিলেন, তখন গণেশ সুযোগ পেয়ে তার বাড়িতে ঢুকে বাঁশের দরজা সরিয়ে প্রবেশ করে। অভিযুক্ত তার মাসতুতো ভাবিকে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে এবং ঘটনা ঘটিয়ে পালিয়ে যায়।
এই ঘটনা পুরো গ্রামের জন্য মর্মান্তিক ছিল। নির্যাতিতা তার স্বামীকে সব কথা জানান, যার পর স্বামী গ্রামের গ্রাম প্রধানের সাথে যোগাযোগ করেন। এই ধরনের ফৌজদারি ঘটনা পুরো এলাকায় ভয় ও ক্ষোভের পরিবেশ সৃষ্টি করেছে।
পঞ্চায়েতে বিচার পেল না নির্যাতিতা
নির্যাতিতার স্বামী গ্রাম প্রধানকে এই বিষয়টি নিয়ে পঞ্চায়েত ডাকার অনুরোধ করেন। পঞ্চায়েতে অভিযুক্ত গণেশ হাঁসদাও উপস্থিত ছিল। যদিও অভিযুক্ত তার বিরুদ্ধে ওঠা সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করে। পঞ্চায়েতে কোনো নিরপেক্ষ সিদ্ধান্ত বা শাস্তিতে পৌঁছাতে ব্যর্থতার কারণে নির্যাতিতাকে ন্যায়ের জন্য আইনি পথ অবলম্বন করতে হয়।
গ্রামে পঞ্চায়েত নিষ্ক্রিয় থাকায় নির্যাতিতা ঘটনার এক সপ্তাহ পর ১৭ সেপ্টেম্বর শিকারিপাড়া থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। এই পদক্ষেপের পরই মামলা আইনি প্রক্রিয়ার দিকে এগিয়ে যায়। এই ঘটনা গ্রামীণ বিচার ব্যবস্থা এবং সামাজিক চাপের মধ্যে ন্যায় প্রাপ্তির চ্যালেঞ্জগুলিও তুলে ধরে।
নির্যাতিতার অভিযোগের ভিত্তিতে অভিযুক্ত গ্রেপ্তার
নির্যাতিতার অভিযোগ পাওয়ার সাথে সাথেই পুলিশ পদক্ষেপ নেওয়া শুরু করে। শিকারিপাড়া থানায় ভারতীয় ন্যায় সংহিতা (BNS) এর ৬৪(১) ধারার অধীনে ১০৩/২৫ মামলা সংখ্যা নথিভুক্ত করা হয়। অভিযোগে অভিযুক্ত গণেশ হাঁসদার বিরুদ্ধে স্পষ্টভাবে ধর্ষণের অভিযোগ আনা হয়েছে।
পুলিশ অভিযুক্তকে দ্রুত গ্রেপ্তার করে বিচারবিভাগীয় হেফাজতে পাঠিয়েছে। এর পাশাপাশি, নির্যাতিতাকে দুমকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে, যেখানে তার ডাক্তারি পরীক্ষা করা হয়েছে। পুলিশ কর্মকর্তারা বলেছেন যে এই পদক্ষেপ সমাজে মহিলাদের বিরুদ্ধে অপরাধ রোধ এবং ন্যায়বিচার নিশ্চিত করার উদ্দেশ্যে নেওয়া হয়েছে।













