ফতেহপুরে যুবককে গাছে বেঁধে মারধরের ঘটনা, গ্রামবাসীদের ভিন্ন দাবি

ফতেহপুরে যুবককে গাছে বেঁধে মারধরের ঘটনা, গ্রামবাসীদের ভিন্ন দাবি

উত্তর প্রদেশের ফতেহপুর জেলার খাগা कोतवाली এলাকার ছিমি গ্রামে এক যুবককে গাছে উল্টো করে ঝুলিয়ে মারধরের ঘটনা নতুন মোড় নিচ্ছে। এই ঘটনার ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হওয়ার পরেই পুলিশ-প্রশাসনের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করে। ওই যুবকের পরিচয় নরেশ পাসী হিসেবে জানা গেছে, যাকে গ্রামবাসীরা প্রকাশ্যে মারধর করে।

যদিও, গ্রামের লোকেরা এখন মিডিয়ার সামনে এসে তাদের বক্তব্য পেশ করেছে। গ্রামবাসীদের দাবি, নরেশ পাসীর বিরুদ্ধে বহুবার চুরির অভিযোগ উঠেছে এবং সে দীর্ঘদিন ধরে গ্রামে অপরাধমূলক কাজকর্মের সঙ্গে জড়িত ছিল। তারা আরও জানায়, নরেশের কারণে গ্রামে ভয়ের পরিবেশ তৈরি হয়েছিল। গ্রামবাসীরা আরও দাবি করেন যে তারা বহুবার পুলিশকে খবর দিয়েছিল, কিন্তু কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি, যার ফলে তারা নিজেরাই কঠোর পদক্ষেপ নিতে বাধ্য হয়।

বাড়িতে ঢুকে চুরির চেষ্টা

ঘটনা প্রসঙ্গে গ্রামবাসীরা জানায়, সম্প্রতি নরেশ পাসী তার দুই সঙ্গীর সঙ্গে পিপরহা পুরওয়া গ্রামের বাসিন্দা রাজরামের বাড়িতে চুরির উদ্দেশ্যে প্রবেশ করে। সেই সময় বাড়ির মহিলা সদস্য জেগে ওঠেন এবং চিৎকার করেন, যার ফলে আশেপাশের লোকজন জড়ো হয়। নরেশের দুই সঙ্গী পালিয়ে গেলেও গ্রামবাসীরা নরেশকে ধরে ফেলে এবং রাগে তাকে গাছের সঙ্গে বেঁধে মারধর করে।

যদিও গ্রামবাসীদের যুক্তি তাদের জায়গায় আছে, কিন্তু কোনো অবস্থাতেই আইন হাতে তুলে নেওয়াকে সমর্থন করা যায় না। ভাইরাল ভিডিওর পরে পুলিশ নড়েচড়ে বসে এবং ঘটনার তদন্ত শুরু করে। পুলিশ ইতিমধ্যে এই ঘটনায় পাঁচ জনকে গ্রেফতার করেছে এবং পরবর্তী তদন্ত চলছে।

আইন হাতে তুলে নেওয়াদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে

ফতেহপুর পুলিশের বক্তব্য, তারা ঘটনার গুরুত্ব সহকারে তদন্ত করছে। আইনশৃঙ্খলা বজায় রাখা প্রশাসনের দায়িত্ব এবং কাউকেই নিজের হাতে বিচার করার অনুমতি দেওয়া যায় না। পুলিশ কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, অভিযুক্ত হোক বা মারধরকারী গ্রামবাসী, আইন সবার জন্য সমান এবং দোষীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

Leave a comment