ফ্রি ফায়ার খেলতে গিয়ে ১৩ লক্ষ টাকা হারানো ও কিশোরের আত্মহত্যার মর্মান্তিক ঘটনা

ফ্রি ফায়ার খেলতে গিয়ে ১৩ লক্ষ টাকা হারানো ও কিশোরের আত্মহত্যার মর্মান্তিক ঘটনা

লখনউয়ের মোহনলালগঞ্জে ১৪ বছর বয়সী যশের ফ্রি ফায়ার গেম খেলতে খেলতে বাবার ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট থেকে ১৩ লক্ষ টাকা খরচ করে ফেলে এবং তারপর আত্মহত্যা করে। এই ঘটনাটি অনলাইন গেমিংয়ের শিশুদের উপর ক্রমবর্ধমান নেতিবাচক প্রভাব এবং ডিজিটাল সুরক্ষার প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরেছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন যে বাবা-মাকে তাদের সন্তানদের অনলাইন কার্যকলাপ সম্পর্কে সতর্ক থাকা উচিত।

অনলাইন গেমিংয়ের ঝুঁকি: লখনউয়ের মোহনলালগঞ্জে ১৪ বছর বয়সী যশের ফ্রি ফায়ার গেম খেলতে খেলতে বাবার ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট থেকে ১৩ লক্ষ টাকা খরচ করে ফেলে এবং তারপর নিজের জীবন শেষ করে দেয়। ঘটনাটি বুধবার সামনে আসে, যেখানে যশ তার বাবার মোবাইল ব্যবহার করে গেমটি খেলছিল। বাবা-মা এবং বিশেষজ্ঞরা বলছেন যে এই ধরনের ঘটনাগুলি শিশুদের মধ্যে অনলাইন গেমিংয়ের ক্রমবর্ধমান ঝুঁকি এবং আর্থিক ক্ষতির প্রতিফলন ঘটায়, তাই ডিজিটাল সুরক্ষা এবং শিশুদের নজরদারি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

শৈশবের উপর অনলাইন গেমিংয়ের ক্রমবর্ধমান বিপদ

লখনউয়ের মোহনলালগঞ্জ এলাকায় ১৪ বছর বয়সী যশ ফ্রি ফায়ার গেম খেলতে খেলতে বাবার ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট থেকে ১৩ লক্ষ টাকা খরচ করে ফেলে এবং তারপর সে নিজের জীবন শেষ করে দেয়। যশ সেই মোবাইলটিতেই গেম খেলছিল, যেখানে ব্যাঙ্কিং অ্যাপের পেমেন্ট সেটিংস আগে থেকেই চালু ছিল। এই ঘটনাটি শিশুদের উপর অনলাইন গেমিংয়ের ক্রমবর্ধমান নেতিবাচক প্রভাব এবং ডিজিটাল সুরক্ষার প্রয়োজনীয়তাকে পুনরায় তুলে ধরেছে।

যশের বাবা জানিয়েছেন যে তিনি জমি বিক্রি করে এই টাকা ব্যাঙ্কে জমা করেছিলেন, যা যশ গেমে হেরে যায়। বাবা তখন জানতে পারেন যখন তিনি ব্যাঙ্ক থেকে টাকা তুলতে গিয়েছিলেন। ঘটনাটি বাবা-মাকে তাদের সন্তানদের মোবাইল কার্যকলাপ এবং অনলাইন লেনদেন সম্পর্কে সতর্ক থাকার প্রয়োজনীয়তার উপর জোর দিয়েছে।

ফ্রি ফায়ার গেম কী?

ফ্রি ফায়ার আসলে একটি মাল্টিপ্লেয়ার ব্যাটল রয়্যাল গেম, যা সিঙ্গাপুরের একটি শীর্ষস্থানীয় গেমিং কোম্পানি দ্বারা তৈরি করা হয়েছে। এই গেমে খেলোয়াড়কে মিশনের সময় জীবিত থাকতে হয় এবং প্রতিপক্ষকে হারাতে হয়।

খেলোয়াড় তার চরিত্রকে আপগ্রেড করতে এবং উন্নত অস্ত্র কিনতে টাকা খরচ করে। পেমেন্ট করলে গেম স্টোর থেকে ডায়মন্ড পাওয়া যায়, যা অস্ত্র এবং অন্যান্য ইন-গেম আইটেম কিনতে ব্যবহৃত হয়। এই প্রক্রিয়ায় শিশুরা প্রায়শই অসাবধানতা এবং লোভের কারণে বড় অঙ্কের টাকা খরচ করে ফেলে।

অনলাইন সুরক্ষা এবং বাবা-মায়ের দায়িত্ব

বিশেষজ্ঞরা বলছেন যে অনলাইন গেমিং শিশুদের জন্য বিনোদনের একটি মাধ্যম হতে পারে, তবে এর সাথে এটি আর্থিক এবং মানসিক ঝুঁকিও নিয়ে আসে। বাবা-মাকে তাদের সন্তানদের গেমিং অভ্যাস পর্যবেক্ষণ করতে হবে এবং মোবাইল বা ব্যাঙ্কিং অ্যাপ ব্যবহারের ক্ষেত্রে সুরক্ষা ব্যবস্থা প্রয়োগ করতে হবে।

অতিরিক্ত খরচ এবং মানসিক চাপ রোধ করার জন্য ডিজিটাল লেনদেনের উপর নিয়ন্ত্রণ এবং শিশুদের জন্য সময়সীমা নির্ধারণ করা জরুরি। এই ঘটনা দেশজুড়ে বাবা-মাকে সতর্ক করেছে যে শিশুদের অনলাইন গেমিংয়ের নেতিবাচক প্রভাব থেকে সুরক্ষিত রাখা কতটা গুরুত্বপূর্ণ।

Leave a comment