গোরক্ষপুরের বিশুনপুর গ্রামে একটি বাড়ির ছাদের কার্নিশ ভেঙে ১৯ বছর বয়সী সানি কুমারের মৃত্যু হয়েছে এবং তার তুতো ভাই সাগর চৌহান আহত হয়েছে। সানি ছিল চার বোনের একমাত্র ভাই। দুর্ঘটনার পর পরিবারে শোকের ছায়া নেমে এসেছে এবং সাগরের হাসপাতালে চিকিৎসা চলছে।
গোরক্ষপুর: বিশুনপুর গ্রামের সপ্টিয়া টোলে বৃহস্পতিবার একটি বাড়ির ছাদের কার্নিশ ভেঙে ১৯ বছর বয়সী সানি কুমারের মৃত্যু হয়েছে, যখন তার তুতো ভাই সাগর চৌহান গুরুতর আহত হয়েছে। সানি এবং সাগর বাড়ির সিঁড়িতে বসে ছিল, হঠাৎ কার্নিশটি ভেঙে তাদের ওপর পড়ে যায়। গ্রামবাসীদের সাহায্যে দুজনকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়, যেখানে সানিকে মৃত ঘোষণা করা হয় এবং সাগরের চিকিৎসা চলছে। সানি ছিল চার বোনের একমাত্র ভাই, যার কারণে পরিবারে গভীর শোকের পরিবেশ বিরাজ করছে।
ঘটনার বিবরণ
ঘটনাটি সকাল প্রায় ১১টায় ঘটেছে। সানি কুমার এবং তার তুতো ভাই সাগর চৌহান বাড়ির সিঁড়িতে বসে ছিল। হঠাৎ বাড়ির ছাদের কার্নিশ ভেঙে তাদের ওপর পড়ে যায়। এরপর আত্মীয়-স্বজন ও প্রতিবেশীরা ছুটে এসে দুজনকে ধ্বংসস্তূপের নিচ থেকে বের করে। দ্রুত দুজনকে বালাপারে অবস্থিত মহাযোগী গুরু গোরক্ষনাথ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।
হাসপাতালে চিকিৎসকরা সানি কুমারকে মৃত ঘোষণা করেন। অন্যদিকে, সাগর চৌহানের বিআরডি মেডিকেল কলেজে চিকিৎসা চলছে। তার শরীরের বিভিন্ন অংশে আঘাত লেগেছে এবং পাও ভেঙে গেছে।
পরিবারে দুঃখের পাহাড়
সানি কুমার তার পরিবারে চার বোনের একমাত্র ভাই ছিল। ভাইবোনদের মধ্যে সে তৃতীয় ছিল। বাবা জগদীশ চৌহান নাকা স্টেশনে মজুরি করেন এবং পরিবারের ভরণপোষণ করেন। সানির মৃত্যুতে পুরো পরিবারের ওপর দুঃখের পাহাড় ভেঙে পড়েছে। মা ও বোনদের কাঁদতে কাঁদতে খারাপ অবস্থা। বাবা তার একমাত্র ছেলেকে হারিয়ে দিশেহারা।
দুর্ঘটনার পরপরই গ্রামে তোলপাড় শুরু হয়। আশেপাশের লোকজন তাৎক্ষণিকভাবে ঘটনাস্থলে পৌঁছে দুজনকে ধ্বংসস্তূপ থেকে বের করে। প্রশাসন এবং স্থানীয় হাসপাতালও দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছায়। এই দুর্ঘটনা গ্রামে শোকের আবহ তৈরি করেছে।
বাড়ির কাঠামো নিয়ে প্রশ্ন
স্থানীয়দের বক্তব্য, বাড়িটি পুরনো ছিল এবং কার্নিশটি দুর্বল অবস্থায় ছিল। এই দুর্ঘটনা গ্রামে অনেকের মধ্যে নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগ বাড়িয়েছে। মানুষের ধারণা, এমন পুরনো ও দুর্বল কাঠামোর বাড়িগুলির নিয়মিত পরীক্ষা করা উচিত।
প্রতিবেশী ও গ্রামবাসীদের সাহায্য
ঘটনার সময় আশেপাশের গ্রামবাসীরা দ্রুত পদক্ষেপ নেয়। তারা দুই যুবককে ধ্বংসস্তূপের নিচ থেকে বের করে এবং প্রাথমিক চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে পৌঁছায়। গ্রামবাসীদের সাহায্যে সানিকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল, কিন্তু ততক্ষণে তার প্রাণ চলে গিয়েছিল।
সানি কুমার ইন্টারমিডিয়েটে পড়ছিল এবং তার পরিবারের আশার কেন্দ্রবিন্দু ছিল। তার মৃত্যুতে কেবল পরিবারই নয়, তার শিক্ষক ও বন্ধুদের মধ্যেও গভীর শোক ছড়িয়ে পড়েছে।