ট্রাম্পের শান্তি পরিকল্পনায় নতুন মোড়: গাজায় যুদ্ধ বিরতি ও হামাসের সম্মতি

ট্রাম্পের শান্তি পরিকল্পনায় নতুন মোড়: গাজায় যুদ্ধ বিরতি ও হামাসের সম্মতি

মধ্যপ্রাচ্যে দীর্ঘদিনের সংঘাত অবসানের লক্ষ্যে একটি বড় উদ্যোগ সামনে এসেছে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রস্তাবিত শান্তি পরিকল্পনায় ধীরে ধীরে সম্মতি তৈরি হচ্ছে।

নয়াদিল্লি: গত দুই বছর ধরে চলা যুদ্ধের পর গাজা অঞ্চলে শান্তি প্রতিষ্ঠার আশা প্রবল হয়েছে। হামাস মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের শান্তি পরিকল্পনার বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ শর্ত মেনে নিতে সম্মতি জানিয়েছে। অন্যদিকে, ইসরায়েলও ঘোষণা করেছে যে তারা আর গাজায় হামলা চালাবে না। এটিকে ট্রাম্পের শান্তি পরিকল্পনার প্রথম পর্যায় বাস্তবায়নের দিকে একটি গুরুত্বপূর্ণ অগ্রগতি হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে।

প্রধানমন্ত্রী মোদি সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম এক্স-এ লিখেছেন, গাজায় শান্তি প্রচেষ্টায় চূড়ান্ত অগ্রগতির জন্য আমরা প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের নেতৃত্বকে স্বাগত জানাই। জিম্মিদের মুক্তির ইঙ্গিত একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ। ভারত স্থায়ী ও ন্যায়সংগত শান্তির দিকে সমস্ত প্রচেষ্টাকে দৃঢ়ভাবে সমর্থন করে যাবে।

ট্রাম্পের শান্তি পরিকল্পনা নিয়ে ইতিবাচক ইঙ্গিত

গাজায় ইসরায়েল ও হামাসের মধ্যে গত দুই বছর ধরে চলা যুদ্ধ হাজার হাজার মানুষের প্রাণ কেড়েছে এবং অঞ্চলটিকে অস্থিতিশীল করে তুলেছে। এমন পরিস্থিতিতে ট্রাম্পের শান্তি পরিকল্পনাকে একটি চূড়ান্ত উদ্যোগ হিসেবে দেখা হচ্ছে। এই পরিকল্পনার আওতায় হামাস জিম্মিদের মুক্তি এবং ক্ষমতা হস্তান্তরের জন্য তার সম্মতি জানিয়েছে। তবে, পরিকল্পনার অন্যান্য দিক নিয়ে ফিলিস্তিনি গোষ্ঠীগুলোর মধ্যে আরও আলোচনার প্রয়োজন রয়েছে।

ট্রাম্পও এই অবস্থানকে স্বাগত জানিয়ে বলেছেন যে এটি স্থায়ী শান্তির দিকে একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ। তিনি সোশ্যাল মিডিয়ায় লিখেছেন, "আমার বিশ্বাস তারা দীর্ঘমেয়াদী শান্তির জন্য প্রস্তুত। জিম্মিদের নিরাপদ মুক্তি নিশ্চিত করতে ইসরায়েলকে অবিলম্বে গাজায় বোমা হামলা বন্ধ করতে হবে।"

ইসরায়েল নমনীয়তা দেখিয়েছে

ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুও এই উদ্যোগকে সমর্থন জানিয়ে বলেছেন যে তার দেশ মার্কিন প্রেসিডেন্টের শান্তি পরিকল্পনার প্রথম পর্যায় বাস্তবায়নে প্রস্তুত। নেতানিয়াহু এক বিবৃতিতে স্পষ্ট করেছেন যে ইসরায়েল তার জাতীয় নীতি ও নিরাপত্তা স্বার্থের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে যুদ্ধ অবসানের দিকে সহযোগিতা করবে।

এই ইঙ্গিতগুলো এই দিকেই নির্দেশ করে যে, এই অঞ্চলে দীর্ঘদিনের সহিংসতা ও যুদ্ধের পরিস্থিতি এখন ধীরে ধীরে শান্ত হতে পারে। যদি এই প্রক্রিয়া সফল হয়, তাহলে শুধু গাজায় নয়, সমগ্র মধ্যপ্রাচ্যে স্থিতিশীলতা ও শান্তির এক নতুন সূচনা হতে পারে।

Leave a comment