মধ্যপ্রদেশের গুনায় তান্ত্রিক বাবা মান সিংহ ভিলালার হত্যার ঘটনায় পুলিশ তিন অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করেছে। হত্যার পেছনে তন্ত্র-মন্ত্র নিয়ে ভয় ও বিবাদ ছিল, এবং মৃতদেহ গাছে ঝুলিয়ে দেওয়ারও চেষ্টা করা হয়েছিল।
গুনা: মধ্যপ্রদেশের গুনা জেলায় তান্ত্রিক বাবা মান সিংহ ভিলালার হত্যার ঘটনা সামনে এসেছে। ফতেহগড় থানাধীন বলখণ্ডী গ্রামে তাঁর মৃতদেহ সন্দেহজনক অবস্থায় একটি গাছে ঝুলন্ত অবস্থায় পাওয়া যায়। পুলিশ তদন্ত করে তিন অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করে জেলে পাঠিয়েছে। প্রাথমিক তদন্তে হত্যাকাণ্ডকে আত্মহত্যার রূপ দেওয়ার চেষ্টার বিষয়টি উঠে এসেছে।
পুলিশ সুপার অঙ্কিত সোনি পুরো মামলার সূক্ষ্ম তদন্তের নির্দেশ দেন এবং ফতেহগড় থানা পুলিশ দ্রুত পদক্ষেপ নিয়ে ২০ ঘণ্টার মধ্যে অভিযুক্তদের ধরে ফেলে।
হত্যার পেছনে তন্ত্র-মন্ত্রের সন্দেহ
তদন্তে জানা যায়, অভিযুক্তরা বিশ্বাস করত যে মান সিংহের তন্ত্র-মন্ত্রের কারণে গ্রামের অনেক লোক অসুস্থ হচ্ছিল। অভিযুক্ত ওজম ভিলালা এই দাবিও করে যে সে নিজেও তন্ত্র-মন্ত্রের কারণে অসুস্থ হয়ে পড়েছিল এবং শুধুমাত্র প্রসাদ গ্রহণ করলেই সুস্থ হতে পারত।
তিন অভিযুক্ত স্বীকার করেছে যে তারা মান সিংহকে বারবার গ্রাম ছাড়তে বলেছিল, কিন্তু তিনি রাজি হননি। এরপর তারা হত্যার পরিকল্পনা করে এবং তাকে ফতেহগড় থেকে বলখণ্ডী গ্রাম পর্যন্ত নিয়ে গিয়ে গলা টিপে হত্যা করে।
মৃতের ময়নাতদন্তের রিপোর্ট
বুধবার, ৮ অক্টোবর ২০২৫ তারিখে পুলিশ খবর পায় যে বলখণ্ডী গ্রামের মাঠে একটি বহেরা গাছের ডালে একজন ব্যক্তির মৃতদেহ ঝুলছে। ঘটনাস্থলে পৌঁছে ফতেহগড় থানা পুলিশ মৃতদেহ এবং চারপাশের এলাকা পরিদর্শন করে।
ময়নাতদন্তের রিপোর্ট অনুযায়ী, মৃত্যুর কারণ ছিল শ্বাসরোধ। এছাড়াও মৃতের মাথা, চোখ এবং শরীরে আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গেছে। তদন্তে নিশ্চিত হওয়া গেছে যে ঘটনা ঘটার আগে মৃত এবং তিন অভিযুক্তের মধ্যে নিয়মিত যোগাযোগ ছিল।
অভিযুক্তদের গ্রেপ্তার ও হত্যার বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ
ফতেহগড় থানা পুলিশ তিন অভিযুক্ত ওজম ভিলালা, অমর সিংহ ভিলালা এবং মুকেশ ভিলালাকে গ্রেপ্তার করেছে। জিজ্ঞাসাবাদে অভিযুক্তরা হত্যার পুরো পরিকল্পনার বিস্তারিত বিবরণ দেয়।
তারা জানায়, মান সিংহকে মোটর সাইকেলে বসিয়ে বলখণ্ডী গ্রামের কাছে নিয়ে যায় এবং তার গলায় তোয়ালে পেঁচিয়ে নিচে ফেলে দেয়। পড়ে যাওয়ার কারণে তার মাথায় আঘাত লাগে, এরপর তাকে মাঠে নিয়ে গিয়ে শ্বাসরোধ করে গাছের ডালে ঝুলিয়ে দেওয়া হয়।