পবন কল্যাণের 'হরি হর বীরা মাল্লু': এক ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপট

পবন কল্যাণের 'হরি হর বীরা মাল্লু': এক ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপট

পবন কল্যাণের বহু প্রতীক্ষিত চলচ্চিত্র ‘হরি হর বীরা মাল্লু: পার্ট ১ – সোর্ড ভার্সেস স্পিরিট’ অবশেষে মুক্তি পেয়েছে, এবং এটি দর্শকদের মধ্যে যথেষ্ট উৎসাহ সৃষ্টি করেছে।

  • চলচ্চিত্র: হরি হর বীরা মাল্লু: পার্ট ১ – সোর্ড ভার্সেস স্পিরিট
  • পরিচালক: ক্রিশ জাগর্লামুড়ি
  • অভিনেতা: পবন কল্যাণ, ববি দেওল, নিধি আগরওয়াল, নার্গিস ফাখরি, নোরা ফাতেহি, সত্যরাজ
  • ধরণ: ঐতিহাসিক, অ্যাকশন, ড্রামা
  • ভাষা: তেলেগু (হিন্দি ডাব সংস্করণ সহ)
  • মুক্তির তারিখ: ২৪/০৭/২০২৫
  • স্টার রেটিং: ৩/৫

'হরি হর বীরা মাল্লু: পার্ট ১' একটি ঐতিহাসিক-কল্পনাবাদী চলচ্চিত্র, যার প্রেক্ষাপট ১৭ শতকের মুঘল আমলের ভারত। চলচ্চিত্রটির গল্প ১৬৮৪ খ্রিস্টাব্দের পর থেকে শুরু হয়, যখন ছত্রপতি শিবাজী মহারাজ মারা গেছেন এবং ঔরঙ্গজেব (ববি দেওল) ধর্মীয় গোঁড়ামির সাথে ভারত শাসন করার চেষ্টা করছেন।

এই সময়েই জন্ম হয় বীরা মাল্লু (পবন কল্যাণ)-এর – একজন ডাকাত যে ধীরে ধীরে ধর্মরক্ষক এবং বীর সনাতনী যোদ্ধায় পরিণত হয়। তার মিশন হল – মুঘলদের দখল থেকে কোহিনূর হীরা চুরি করা, যা ভারতের সাংস্কৃতিক পরিচিতি এবং আত্মসম্মানের প্রতীক।

অভিনয়: পবন কল্যাণের দাপট, ববি দেওলের ত্রাস

পবন কল্যাণ চলচ্চিত্রের আত্মা। বীরা মাল্লু হিসেবে তার স্ক্রিন উপস্থিতি दमदार। অ্যাকশন সিকোয়েন্স, সংলাপ এবং ভাব-ভঙ্গিমায় তিনি পুরোপুরি বিশ্বাসযোগ্য। ববি দেওল, ঔরঙ্গজেবের ভূমিকায় প্রথমবারের মতো এত নিষ্ঠুর এবং कट्टर রূপে ধরা দিয়েছেন। যদিও তার চরিত্রটি কিছুটা অগভীর এবং স্ক্রিপ্টের বিচারে সীমিত, তবে তার লুক এবং বডি ল্যাঙ্গুয়েজ प्रभावशाली।

নিধি আগরওয়াল, নার্গিস ফাখরি এবং নোরা ফাতেহির মতো মহিলা শিল্পীরা যথেষ্ট স্ক্রিন টাইম পাননি। তাদের চরিত্রগুলি আলংকারিক মনে হয় এবং কাহিনীর অগ্রগতিতে কোনও निर्णायक योगदान রাখে না।

নির্দেশনা এবং চিত্রনাট্য: भव्य কল্পনা, কিন্তু असंगत निष्पादन

পরিচালক ক্রিশ জাগর্লামুড়ি একটি সাহসী বিষয় বেছে নিয়েছেন যাতে তরবারি এবং আত্মার সংঘাত রয়েছে। চলচ্চিত্রের ভিশন মহান কিন্তু চিত্রনাট্যে बिखराव রয়েছে। অনেক দৃশ্যে গভীরতা এবং भावनात्मक সংযোগের অভাব লক্ষ্য করা যায়। প্রথমার্ধ भव्य সেट्स এবং ভিজ্যুয়াল इफेक्ट्स-এ ভরপুর, কিন্তু কখনও কখনও গতি হারায়। দ্বিতীয়ার্ধে অ্যাকশন বাড়ে, কিন্তু অনেক সংলাপ অত্যধিক उपदेशात्मक মনে হয়।

  • সিনেমাটোগ্রাফি: জ্ঞান শেখর ভিএস এবং মনোজ পারमहंस মুঘল আমলের ভারতের वैभवशाली छवियों को बेहतरीन अंदाज में कैमरे में उतारा है।
  • প্রোডাকশন ডিজাইন: থোটা থরানির কাজ দেখার মতো। সেটস, পোশাক এবং স্থাপত্য यथार्थपरक মনে হয়।
  • ভিএফএক্স: কিছু অ্যাকশন দৃশ্যে शानदार, তবে কিছু সিকোয়েন্স যেমন ঘোড়দৌড় এবং যুদ্ধে ग्राफिक्स कमजोर दिखते हैं।
  • সঙ্গীত: এমএম কীরবানীর ব্যাকগ্রাউন্ড স্কোর চলচ্চিত্রটিকে জীবন্ত করে তোলে। “অসুর হান্নাম”-এর মতো গান দৃশ্যটিকে অতিরিক্ত শক্তি যোগায়।

विचारधारा और सामाजिक संदर्भ

এই চলচ্চিত্রটি একটি वैकल्पिक ऐतिहासिक दृष्टिकोण सामने रखती है। इसमें जजिया कर, धार्मिक उत्पीड़न और कोहिनूर की सांस्कृतिक लूट को लेकर गहरा संदेश दिया गया है। पवन कल्याण का यह कदम – फिल्म के लिए पारिश्रमिक न लेना और कोहिनूर की वापसी की मांग करना – इस विचारधारा को और मजबूती देता है।

  • স্ক্রিনপ্লে असंगत, যার কারণে চলচ্চিত্রটি মাঝেমধ্যে खिंचती है।
  • মহিলা চরিত্রগুলিকে সীমিত রাখা হয়েছে।
  • औरंगजेब के किरदार को और गहराई दी जा सकती थी।
  • ऐतिहासिक और कल्पनात्मक तत्वों के बीच सीमारेखा स्पष्ट नहीं है, जिससे भ्रम हो सकता है।

ফাইনাল वर्डिक्ट: देखें या नहीं?

'হরি হর বীরা মাল্লু: পার্ট ১' একটি भव्य ঐতিহাসিক गाथा है जो धर्म, अस्मिता और प्रतिरोध की कहानी कहती है। यह उन दर्शकों के लिए जरूर देखने योग्य है जो पौराणिक/ऐतिहासिक फिल्मों, बड़े स्तर के एक्शन, और सांस्कृतिक विमर्श में रुचि रखते हैं। यदि आप एक भावनात्मक गहराई और मजबूत चरित्र विकास की तलाश कर रहे हैं, तो यह फिल्म आपको थोड़ा निराश कर सकती है। लेकिन बतौर विजुअल ट्रीट और विचारोत्तेजक प्रयोग, यह फिल्म भारतीय सिनेमा में एक साहसिक कदम है।

Leave a comment