ভারতের জাতীয় পতাকা তিরঙ্গা (Tiranga) দেশের সার্বভৌমত্ব, অখণ্ডতা এবং স্বাধীনতার প্রতীক। যখনই এটি বাতাসে ওড়ে, প্রতিটি ভারতীয়র গর্ব ও সম্মান আবেগপূর্ণভাবে এর সাথে যুক্ত হয়ে যায়, বিশেষ করে ১৫ই আগস্ট ২০২৫-এর মতো স্বাধীনতা দিবসের বিশেষ মুহূর্তে। স্বাধীনতা দিবস ২০২৫ (Independence Day 2025)-এর প্রাক্কালে যখন পুরো ভারত গর্বের সাথে জাতীয় পতাকা তিরঙ্গা উত্তোলন করবে, তখন এটি জানা খুবই আগ্রহদ্দীপক যে তিরঙ্গা তার চূড়ান্ত রূপে আসার আগে কোন কোন পরিবর্তনের মধ্যে দিয়ে গেছে। আজ যে তিরঙ্গা আমাদের গর্ব ও পরিচয়, তা অনেক ঐতিহাসিক ঘটনা এবং প্রেরণাদায়ক ব্যক্তিত্বের ফল।
তিরঙ্গা: ভারতের अस्मिता ও গৌরবের প্রতীক
ভারতের জাতীয় পতাকা, যাকে সাধারণভাবে তিরঙ্গা বলা হয়, তা কেবল স্বাধীনতার প্রতীক নয়, এটি একতা, বৈচিত্র্য এবং গণতন্ত্রের চেতনাকেও প্রতিফলিত করে। এর তিনটি রঙের স্ট্রাইপ এবং মাঝখানে অশোক চক্র, একটি গভীর সাংস্কৃতিক এবং ঐতিহাসিক বার্তা বহন করে।
তিরঙ্গার জন্ম: একটি দীর্ঘ ঐতিহাসিক প্রক্রিয়া
তিরঙ্গা হওয়ার আগে, ১৯০৪ থেকে ১৯৪৭ সালের মধ্যে মোট ৭টি প্রধান ডিজাইন সামনে এসেছিল। প্রতিটি ডিজাইন স্বাধীনতা সংগ্রামের একটি বিশেষ পর্যায় এবং আদর্শকে প্রতিফলিত করত।
- ১৯০৪ সালের প্রথম পতাকা – সিস্টার নিবেদিতার ডিজাইন: এই পতাকাটি আইরিশ মহিলা সিস্টার নিবেদিতা তৈরি করেছিলেন, যিনি স্বামী বিবেকানন্দের শিষ্যা ছিলেন। এতে পদ্ম, বন্দে মাতরম এবং বজ্রের মতো প্রতীক অন্তর্ভুক্ত ছিল।
- ১৯০৬ – পার্সি বাগান, কলকাতায় উত্তোলিত পতাকা: ৭ই আগস্ট ১৯০৬ তারিখে পার্সি বাগান (গ্রিন পার্ক), কলকাতায় এই পতাকাটি উত্তোলন করা হয়েছিল। এতে তিনটি রঙ – সবুজ, হলুদ এবং লাল – এর সাথে পদ্ম, সূর্য ও চাঁদ খোদাই করা ছিল। হলুদ রঙের স্ট্রাইপে 'বন্দে মাতরম' লেখা ছিল।
- ১৯০৭ – ভিকাজি কামা দ্বারা প্যারিসে তিরঙ্গা: মাদাম ভিকাজি কামা এই পতাকাটি প্যারিসে উত্তোলন করেছিলেন। এতে সপ্তর্ষিমণ্ডলকে প্রতীকীভাবে সাতটি তারার আকারে দেখানো হয়েছিল। এটি ভারতের স্বাধীনতার আন্তর্জাতিক প্রতিধ্বনির প্রতীক হয়ে উঠেছিল।
- ১৯১৭ – অ্যানি বেসান্ত এবং বাল গঙ্গাধর তিলকের পতাকা: এই পতাকাটি হোম রুল আন্দোলনের সময় উত্তোলন করা হয়েছিল। এতে পাঁচটি লাল এবং চারটি সবুজ রঙের অনুভূমিক স্ট্রাইপের সাথে ইউনিয়ন জ্যাক এবং চন্দ্র-সূর্যের মতো প্রতীক ব্যবহার করা হয়েছিল।
- ১৯২১ – পিঙ্গালি ভেঙ্কাইয়া-এর পতাকা: পিঙ্গালি ভেঙ্কাইয়া, যিনি পতাকা তৈরির প্রধান চিন্তাবিদ হিসাবে বিবেচিত হন, তিনি মহাত্মা গান্ধীর সামনে এই পতাকাটি উপস্থাপন করেছিলেন। এতে লাল, সবুজ এবং সাদা রঙ অন্তর্ভুক্ত ছিল এবং মাঝে চরকা ছিল – যা ভারতের স্বদেশী নীতির প্রতীক ছিল।
- ১৯৩১ – केसरिया, সাদা এবং সবুজ রঙের তিরঙ্গা: ১৯৩১ সালে চরকা সহ তিনটি রঙের এই তিরঙ্গা সামনে আসে। এতে লাল রঙকে केसरिया রঙে পরিবর্তন করা হয়েছিল, যাতে এটি ধর্ম নিরপেক্ষ এবং ব্যাপক প্রতিনিধিত্বকারী প্রতীক হতে পারে।
- ১৯৪৭ – বর্তমান রূপের জাতীয় পতাকা: ২২শে জুলাই ১৯৪৭ তারিখে সংবিধান সভা তিরঙ্গাকে ভারতের সরকারী জাতীয় পতাকা হিসাবে গ্রহণ করে। এতে চরকার জায়গায় অশোক চক্র স্থান পায়, যা সম্রাট অশোকের ধর্ম চক্র থেকে অনুপ্রাণিত। এই চক্রটি ন্যায়বিচার, অগ্রগতি এবং নিরন্তর গতিশীলতার প্রতীক।
তিরঙ্গার তিনটি রঙের মানে কী?
- केसरिया (ऊपरी पट्टी) – সাহস, बलिदान और शक्ति का प्रतीक
- জাফরান (উপরের पट्टी) – সাহস, बलिदान এবং শক্তির प्रतीक
- সাদা (মাঝের पट्टी) – शांति, সত্যতা এবং पारदर्शिता-এর प्रतीक
- সাদা (মাঝের पट्टी) – শান্তি, সত্যতা এবং স্বচ্ছতার প্রতীক
- সবুজ (निचली पट्टी) – हरियाली, উন্নয়ন এবং উন্নতির प्रतीक
- সবুজ (নিচের पट्टी) – সবুজের সমারोह, উন্নয়ন এবং উন্নতির प्रतीक
অশোক চক্র (নীল রঙে ২৪টি স্পোক সহ) – সময়, ধর্ম এবং জীবনের निरंतरতার প্রতীক
तिरंगे को लेकर कुछ रोचक तथ्य
ভিকাজি কামা প্রথম মহিলা ছিলেন যিনি আন্তর্জাতিক মঞ্চে ভারতের পতাকা উত্তোলন করেছিলেন। তিরঙ্গার বর্তমান ডিজাইন কর্ণাটকের পিঙ্গালি ভেঙ্কাইয়া দ্বারা প্রস্তুত করা হয়েছিল। ভারতীয় পতাকা বিধি অনুসারে প্রত্যেক নাগরিকের তিরঙ্গা উত্তোলনের অধিকার রয়েছে, তবে এর জন্য কিছু নির্দেশিকা तय করা হয়েছে। ভারতের তিরঙ্গা কেবল তিনটি রঙ এবং একটি চক্রের সংমিশ্রণ নয়, বরং এটি দেশের একতা, ত্যাগ, শান্তি ও সমৃদ্ধির জীবন্ত প্রতীক।
স্বাধীনতা দিবস ২০২৫-এর मौके पर যখন আপনি तिरंगा फहराएं, तो इसके पीछे की ऐतिहासिक और भावनात्मक यात्रा को जरूर याद करें। यह ध्वज उन लाखों बलिदानों की याद दिलाता है, जिन्होंने भारत को आज़ाद कराने के लिए अपने प्राणों की आहुति दी।
স্বাধীনতা দিবস ২০২৫-এর উপলক্ষে যখন আপনি তিরঙ্গা উত্তোলন করবেন, তখন এর পেছনের ঐতিহাসিক এবং আবেগপূর্ণ যাত্রা অবশ্যই স্মরণ করবেন। এই পতাকা उन लाखों बलिदानों की याद दिलाता है, जिन्होंने भारत को आज़ाद कराने के लिए अपने प्राणों की आहुति दी।