২০২৩ সালের দাঙ্গায় জড়িত থাকার অভিযোগে পাকিস্তানের একটি আদালত ইমরান খানের প্রায় ২০০ জন সমর্থককে ১০ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছে। বিরোধীরা এটিকে রাজনৈতিক প্রতিহিংসা বলে অভিহিত করেছে, যা দেশে উত্তেজনা আরও বাড়িয়ে দিয়েছে।
পাকিস্তান: পাকিস্তানের রাজনীতি আবারও টালমাটাল। দেশটির প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের প্রায় ২০০ জন সমর্থককে ২০২৩ সালের দাঙ্গায় জড়িত থাকার অভিযোগে ১০ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। পাঞ্জাব প্রদেশের ফয়সালাবাদে অবস্থিত একটি আদালত এই রায় ঘোষণা করেছে, যেখানে তিনটি ভিন্ন মামলায় ১৯6 জনকে দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছে। এই পদক্ষেপটি দেশটির রাজনীতিতে নতুন করে উত্তেজনার ইঙ্গিত দেয়।
৯ মে, ২০২৩-এর ঘটনা সাজার কারণ
এই দণ্ডাদেশগুলোর মূল কারণ হল ৯ মে, ২০২৩-এর ঘটনা, যখন ইমরান খানকে গ্রেপ্তারের পর সারাদেশে বিক্ষোভ শুরু হয়েছিল। এই বিক্ষোভগুলোতে সহিংসতা হয়, সরকারি সম্পত্তি ক্ষতিগ্রস্ত হয় এবং সামরিক স্থাপনাগুলোতে হামলা করা হয়। আদালত এই ঘটনাগুলোর ভিত্তিতেই রায় দিয়েছে।
ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলির সদস্য ও সিনেটরও দোষী
দোষী সাব্যস্ত হওয়া ব্যক্তিদের মধ্যে ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলির কমপক্ষে ছয়জন সদস্য এবং পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই) দলের একজন সিনেটর রয়েছেন। बचाव পক্ষের वकील चंगेज काकर বলেন, পাকিস্তানের ইতিহাসে এই প্রথম এত বিপুল সংখ্যক রাজনৈতিক কর্মীকে একসাথে দোষী সাব্যস্ত করা হল।
আইনি প্রক্রিয়া নিয়ে প্রশ্ন, আপিলের প্রস্তুতি
অ্যাডভোকেট কাকার আদালতের রায়গুলোকে "রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত" বলে অভিহিত করেছেন এবং বলেছেন যে এই রায়গুলোর বিরুদ্ধে শীঘ্রই আপিল করা হবে। তিনি বলেন, অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে সরকারি ভবন, সামরিক স্থাপনা ও যানবাহনে হামলার অভিযোগ আনা হয়েছিল, কিন্তু প্রমাণের অভাবে সত্ত্বেও তাদের দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছে।
পিটিআই-এর তীব্র প্রতিক্রিয়া
পিটিআই সভাপতি গওহর আলী খান এই রায়ের নিন্দা করে বলেছেন যে এটি রাজনৈতিক প্রতিপক্ষকে দমন করার একটি প্রচেষ্টা। তিনি দাবি করেন যে আসন্ন পিটিআই সমাবেশগুলোকে দুর্বল করতে এবং দলের মনোবল ভেঙে দেওয়ার জন্য এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। তিনি বলেন, এটি ক্ষমতাসীন দলের গণতন্ত্রকে দমিয়ে রাখার একটি উদাহরণ।
ইমরান খানের অবস্থান
ইমরান খান, যাকে ২০২২ সালে একটি অনাস্থা ভোটের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে সরানো হয়েছিল, তিনি ক্রমাগত দেশের সেনাবাহিনী ও বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রের অভিযোগ করে আসছেন। খানের দাবি, আমেরিকা সমর্থিত একটি পরিকল্পনার অধীনে তাকে সরানো হয়েছে, যদিও এই অভিযোগগুলো বারবার অস্বীকার করা হয়েছে।