ম্যাচ শুরু আগে ওভালের সবুজ উইকেটই ইঙ্গিত দিয়েছিল—এখানে ব্যাটারদের টিকে থাকা হবে কঠিন। ভবিষ্যদ্বাণী মিলে গেল হুবহু! দ্বিতীয় দিনে ভারত ও ইংল্যান্ড মিলিয়ে পড়ে গেল ১৫টি উইকেট। ফলস্বরূপ, টেস্টের গতিপথ এখন এমন জায়গায় পৌঁছেছে, যেখান থেকে যে কোনও দল ম্যাচে দখল নিতে পারে।
১৮ রানেই শেষ ভারতের ইনিংস, গাস আটকিনসনের আগুনে স্পেলে বেহাল টিম ইন্ডিয়া
প্রথম দিনের শেষে ভারতের স্কোর ছিল ২০৪/৬। সেখান থেকে দ্বিতীয় দিনে মাত্র ১৮ রান যোগ করতেই ধসে পড়ে গোটা দল। কামব্যাক ম্যাচেই গাস আটকিনসনের বিধ্বংসী স্পেল—৫ উইকেট। তাঁকে যোগ্য সঙ্গ দেন জশ টাং (৩ উইকেট) ও ক্রিস ওকস (১ উইকেট)। করুণ নায়ারই একমাত্র প্রতিরোধ গড়েন, করেন ৫৭ রান।
ডাকেট-ক্রলি জুটিতে ইংল্যান্ডের উড়ান, তারপর ভারতীয় পেসারদের ঘূর্ণিতে ধ্বংস
ইংল্যান্ডের ইনিংস শুরুতে দুরন্ত ছন্দে ছিল। ওপেনিং জুটিতে বেন ডাকেট ও জ্যাক ক্রলি গড়ে ফেলেন ৯২ রানের পার্টনারশিপ। আকাশ দীপ ডাকেটকে ফিরিয়ে ধাক্কা দেন। এরপর শুরু মহম্মদ সিরাজ ও প্রসিদ্ধ কৃষ্ণার আগুনে স্পেল। ইংল্যান্ডের স্কোর একসময় ছিল ১২৯/১, সেখান থেকে শেষ ৮ উইকেট পড়ে মাত্র ১১৮ রানে।
ক্রিস ওকস নামেননি, ৯ উইকেটেই শেষ ইংল্যান্ডের ইনিংস, সিরাজ-প্রসিদ্ধ সমানে সমানে
চোটের কারণে ইংল্যান্ডের গুরুত্বপূর্ণ অল-রাউন্ডার ক্রিস ওকস ব্যাট করতে নামেননি। ফলে ইংল্যান্ড ইনিংস শেষ হয় ৯ উইকেটে। প্রথম ইনিংসে ২৩ রানের ছোট্ট লিড পেলেও ভারতীয় পেস অ্যাটাকে সিরাজ ও প্রসিদ্ধ উভয়েই ৪টি করে উইকেট নিয়ে চাপে ফেলে দেন ইংল্যান্ডকে।
দ্বিতীয় ইনিংসে জয়সওয়ালের রুপকথার শুরু, আবার ব্যর্থ রাহুল ও সুদর্শন
দ্বিতীয় ইনিংসে ওপেন করতে নামেন যশস্বী জয়সওয়াল ও কেএল রাহুল। শুরুটা ঝড়ের মতো হলেও রাহুল ফেরেন মাত্র ৭ রানে। সাই সুদর্শন ফেরেন ১১ রানে। তবে যশস্বী অর্ধশতরান পূর্ণ করে ক্রিজে জমে যান। শেষ বিকেলে নাইট ওয়াচম্যান হিসেবে নামেন আকাশ দীপ। দিনের শেষে ভারতের স্কোর ৭৫/২। যশস্বী ৫১* ও আকাশ দীপ ৪* রানে অপরাজিত।
তৃতীয় দিনের ভোরেই নির্ধারিত হবে ভাগ্য! ব্যাটারদের উপর চূড়ান্ত পরীক্ষার চাপ
এই অবস্থানে দাঁড়িয়ে ভারতের লিড মাত্র ৫২ রান। কিন্তু ওভালের উইকেটে যে কোনও সময় চিত্রপট বদলে যেতে পারে। ফলে তৃতীয় দিনে ভারতের ব্যাটারদের ওপরই থাকবে ম্যাচের দায়। বড় ইনিংস গড়তে না পারলে টেস্ট ইংল্যান্ডের দখলে চলে যেতে পারে।