অর্কিড, বিশ্বের অন্যতম দামি ফুল। সাধারণত বিদেশে যার বাজার সবচেয়ে বেশি। কিন্তু এখন পশ্চিমবঙ্গের এক শিক্ষকের বাড়ির উঠোনেই সেই লাখ টাকার ফুলের গাছ বিকশিত হচ্ছে। শখের বশে শুরু হলেও এই উদ্যোগ আজ ব্যবসার সম্ভাবনা তৈরি করছে।
করোনার সময় অবসরে শখের বসে অর্কিড চাষ শুরু করেছিলেন পশ্চিম মেদিনীপুরের কেশিয়াড়ির বেসরকারি কলেজের পরিচালক দীপক দাস। প্রথমে কয়েকটি গাছ দিয়ে শুরু হলেও বর্তমানে তার সংগ্রহে রয়েছে প্রায় ৬০০-র বেশি অর্কিড। প্রজাতির সংখ্যাও ২৫ থেকে ৩০-র মধ্যে।
বিদেশি গাছেই বেশি ঝোঁক
উঠোন জুড়ে সাজানো রয়েছে বিভিন্ন বিদেশি অর্কিড। ফিলিপাইনসহ একাধিক দেশের বিরল প্রজাতির অর্কিড এখন তার সংগ্রহে। অ্যান্থোরিয়াম ও ফলিয়েজ গাছও রয়েছে। রঙিন ও সুদৃশ্য এই ফুল প্রায় সারা বছর ফুটে থাকে। ফলে দীর্ঘ সময় ধরে বাগান ভরে থাকে ফুলে।
শখ থেকে ব্যবসার সম্ভাবনা
শুধু নিজের আনন্দেই থেমে থাকেননি দীপক দাস। অতিরিক্ত গাছ অন্যদের মধ্যে বিলিয়ে দেন। পাশাপাশি আগ্রহী মানুষদের শেখান অর্কিড চাষের কৌশল। তার মতে, অর্কিড চাষ বৈদেশিক রফতানির দিক থেকেও বিরাট সম্ভাবনাময়। আগামী প্রজন্মকে তিনি স্বনির্ভরতার বার্তা দিতে চান এই ফুলের চাষের মাধ্যমে।
শহরাঞ্চলে বাড়ছে চাহিদা
গ্রামাঞ্চলে যেমন অর্কিডের বাজার তৈরি হচ্ছে, তেমনি শহরকেন্দ্রিক এলাকায় এর চাহিদা আরও বেশি। বিদেশেও এই ফুলের চাহিদা ক্রমশ বাড়ছে। ফলে বড় আকারে ব্যবসার সুযোগ রয়েছে। যদিও আপাতত দীপক দাস এটিকে শখ হিসেবেই দেখছেন।
অভিনব উদ্যোগে প্রশংসা
বাড়ির উঠোনে লাখ টাকার গাছ লাগানোর এই অভিনব উদ্যোগকে সাধুবাদ জানিয়েছেন স্থানীয়রা। শিক্ষাক্ষেত্রের বাইরে এমন উদ্যোগ দীপক দাসকে আলাদা পরিচিতি দিয়েছে। শখের ফুলচাষ আজ হয়ে উঠেছে গ্রামের অর্থনৈতিক ও সামাজিক উন্নতির উদাহরণ।
পশ্চিম মেদিনীপুরের এক কলেজ পরিচালকের শখ আজ গ্রামীণ অর্থনীতির উদাহরণ। উঠোনে লাগানো অর্কিডের গাছের দাম লাখ টাকার বেশি। শুধু দেশ নয়, বিদেশেও এই ফুলের বিপুল চাহিদা তৈরি হয়েছে।