AI কন্টেন্ট নিয়ন্ত্রণে ভারত সরকারের নতুন প্রস্তাব: ডিপফেক ঠেকাতে বাধ্যতামূলক লেবেলিং

AI কন্টেন্ট নিয়ন্ত্রণে ভারত সরকারের নতুন প্রস্তাব: ডিপফেক ঠেকাতে বাধ্যতামূলক লেবেলিং

ভারত সরকার AI কন্টেন্ট নিয়ন্ত্রণের জন্য একটি নতুন প্রস্তাব পেশ করেছে, যার অধীনে AI দ্বারা তৈরি বা পরিবর্তিত ছবি, ভিডিও এবং ডিজিটাল সামগ্রীতে স্পষ্ট লেবেলিং বাধ্যতামূলক হবে। এই পদক্ষেপের উদ্দেশ্য হল ইন্টারনেটে ডিপফেক এবং ভুয়ো কন্টেন্ট নিয়ন্ত্রণ করা এবং সোশ্যাল মিডিয়া কোম্পানি ও ব্যবহারকারীদের জবাবদিহিতা বাড়ানো।

AI কন্টেন্ট নিয়ন্ত্রণ: ভারত সরকার নতুন নিয়মের প্রস্তাব পেশ করেছে, যার অধীনে সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মগুলিকে AI-জেনারেটেড বা পরিবর্তিত ছবি, ভিডিও এবং অন্যান্য ডিজিটাল কন্টেন্টে স্পষ্ট AI ওয়াটারমার্ক বা লেবেল লাগানো বাধ্যতামূলক হবে। ইন্টারনেটে ক্রমবর্ধমান ডিপফেক এবং ভুয়ো কন্টেন্ট নিয়ন্ত্রণ করার জন্য এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। প্রস্তাবিত নিয়ম অনুযায়ী, কোম্পানিগুলিকে নিয়ম মেনে চলা নিশ্চিত করতে হবে এবং ৬ নভেম্বর ২০২৫ পর্যন্ত শিল্প স্টেকহোল্ডারদের কাছ থেকে পরামর্শ চাওয়া হচ্ছে।

প্রস্তাবিত নিয়মের মূল বিষয়গুলি

  • সোশ্যাল মিডিয়া কোম্পানিগুলির দায়িত্ব: প্রস্তাব অনুযায়ী, সমস্ত সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মকে নিশ্চিত করতে হবে যে তাদের ব্যবহারকারীদের দ্বারা পোস্ট করা AI-জেনারেটেড কন্টেন্টে স্পষ্ট AI ওয়াটারমার্ক বা লেবেল দৃশ্যমান হয়। এই লেবেলটি কন্টেন্টের মোট আকারের কমপক্ষে ১০ শতাংশ হতে হবে। উদাহরণস্বরূপ, ১০ মিনিটের একটি ভিডিওতে কমপক্ষে ১ মিনিট পর্যন্ত AI লেবেল দেখা যাওয়া আবশ্যক হবে।
  • নিয়ম না মানলে পদক্ষেপ: যে কোম্পানিগুলি লেবেলিংয়ের দায়িত্ব পালন করবে না, তাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া যেতে পারে। নিয়ম না মানা অ্যাকাউন্টগুলিকেও ফ্ল্যাগ করার দায়িত্ব কোম্পানিগুলিকে দেওয়া হবে।

পরামর্শ দেওয়ার সময়সীমা

সরকার শিল্প স্টেকহোল্ডারদের কাছে এই প্রস্তাবের উপর পরামর্শ আহ্বান করেছে। পরামর্শ দেওয়ার শেষ তারিখ ৬ নভেম্বর ২০২৫ নির্ধারিত করা হয়েছে। কেন্দ্রীয় আইটি মন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব বলেছেন যে ইন্টারনেটে ডিপফেক কন্টেন্ট দ্রুত বাড়ছে এবং নতুন নিয়মগুলি ব্যবহারকারী, কোম্পানি এবং সরকারের জবাবদিহিতা বাড়াবে।

  • মেটাডেটা এবং সনাক্তকরণ: সরকারি আধিকারিক জানিয়েছেন যে AI কোম্পানিগুলির সাথে কথা বলার পর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে যে মেটাডেটার মাধ্যমে AI-জেনারেটেড কন্টেন্ট সনাক্ত করা সম্ভব। এখন কোম্পানিগুলিকে তাদের প্ল্যাটফর্মে ডিপফেক সামগ্রী সনাক্তকরণ, রিপোর্ট করা এবং লেবেলিংয়ের দায়িত্ব অন্তর্ভুক্ত করতে হবে।

AI কন্টেন্ট লেবেলিংয়ের সুবিধা কী হবে

এই নিয়ম কার্যকর হলে ব্যবহারকারীরা স্পষ্ট তথ্য পাবেন যে কোন কন্টেন্ট AI দ্বারা তৈরি বা পরিবর্তিত করে পোস্ট করা হয়েছে। এর ফলে ভুয়ো খবর এবং ডিপফেক ভিডিওর প্রভাব কমাতে সাহায্য করবে। একই সাথে, সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম এবং কন্টেন্ট ক্রিয়েটরদের জবাবদিহিতা বাড়বে এবং ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মগুলিতে স্বচ্ছতা নিশ্চিত হবে।

ভারত সরকারের এই পদক্ষেপ AI কন্টেন্ট নিয়ন্ত্রণ এবং ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মগুলিতে নিরাপত্তা বাড়ানোর দিকে একটি গুরুত্বপূর্ণ। AI-জেনারেটেড কন্টেন্টে বাধ্যতামূলক লেবেলিং ব্যবহারকারী, কোম্পানি এবং সরকার - এই তিন পক্ষেরই জবাবদিহিতা নিশ্চিত করবে। শিল্পকে ৬ নভেম্বর পর্যন্ত তাদের পরামর্শ পাঠাতে হবে, যার পরে নিয়মগুলিকে চূড়ান্ত রূপ দেওয়া হবে।

Leave a comment