আমেরিকার শুল্ক সতর্কবার্তা সত্ত্বেও ভারত রাশিয়া থেকে তেল আমদানি করতে থাকবে। জ্বালানি নিরাপত্তা, কম দাম এবং কৌশলগত অংশীদারিত্বকে অগ্রাধিকার দিয়ে ভারত স্পষ্ট করে দিয়েছে যে এটি তাদের জাতীয় স্বার্থে।
Trump Tariff: ভারত বিশ্বের তৃতীয় বৃহত্তম তেল ব্যবহারকারী দেশ এবং তাদের অর্থনীতির দ্রুত বর্ধনশীল চাহিদা মেটাতে সস্তা ও স্থিতিশীল জ্বালানির উৎস প্রয়োজন। এই জ্বালানির প্রয়োজন ভারতকে বিভিন্ন সরবরাহ উৎসের দিকে তাকাতে বাধ্য করেছে, যার মধ্যে রাশিয়া একটি প্রধান বিকল্প হিসেবে উঠে এসেছে। ইউক্রেন যুদ্ধের পর পশ্চিমা দেশগুলো রাশিয়ার উপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করলেও ভারত রাশিয়া থেকে তেল কেনা অব্যাহত রেখেছে।
আমেরিকার শুল্ক হুমকি এবং ভারতের প্রতিক্রিয়া
সম্প্রতি আমেরিকা রাশিয়া থেকে তেল আমদানি করা দেশগুলোর উপর শুল্ক বসানোর হুমকি দিয়েছে। এই হুমকির উদ্দেশ্য হল সেই দেশগুলোকে নিরুৎসাহিত করা, যারা রাশিয়ার উপর আরোপিত নিষেধাজ্ঞা দুর্বল করতে পারে। ভারতকে এই শ্রেণীতে রাখা হয়েছে। কিন্তু ভারত স্পষ্ট ইঙ্গিত দিয়েছে যে তারা তাদের জাতীয় স্বার্থের ভিত্তিতে সিদ্ধান্ত নেবে, কোনো বহিরাগত চাপের মুখে নয়। ভারতের পক্ষ থেকে কোনো আনুষ্ঠানিক বিবৃতি আসেনি, তবে বিদেশ মন্ত্রক এবং জ্বালানি মন্ত্রকের সূত্র অনুসারে, ভারতের নীতিতে কোনো পরিবর্তন করা হয়নি।
রাশিয়া থেকে তেল কেনা: ভারতের জন্য কেন লাভজনক
রাশিয়া ভারতকে প্রতিযোগিতামূলক দামে অপরিশোধিত তেল সরবরাহ করছে, যা বিশ্ব বাজার থেকে বেশ সস্তা। এতে ভারত কেবল তেলের উপর খরচ কমাতে সাহায্য পাচ্ছে তা-ই নয়, কারেন্ট অ্যাকাউন্ট ডেফিসিট (Current Account Deficit) নিয়ন্ত্রণেও সুবিধা হচ্ছে। এছাড়াও, ভারত রাশিয়াকে তেলের দাম অনেক সময় ভারতীয় রুপিতেও পরিশোধ করেছে, যা ডলারের উপর নির্ভরতা কমিয়েছে। এটি অর্থনৈতিক দিক থেকে ভারতের জন্য লাভজনক।
ঐতিহাসিক এবং কৌশলগত অংশীদারিত্ব
ভারত ও রাশিয়ার মধ্যে সম্পর্ক শুধু তেলের মধ্যেই সীমাবদ্ধ নয়। দুই দেশের মধ্যে কয়েক দশক ধরে প্রতিরক্ষা, প্রযুক্তি এবং মহাকাশ সহ অনেক ক্ষেত্রে গভীর সম্পর্ক রয়েছে। রাশিয়া ভারতের বৃহত্তম প্রতিরক্ষা সরবরাহকারী এবং অনেক কৌশলগত প্রকল্প দুই দেশের সহযোগিতায় পরিচালিত হয়। এমন পরিস্থিতিতে রাশিয়ার সঙ্গে তেল ব্যবসাকে শুধুমাত্র অর্থনৈতিক দৃষ্টিকোণ থেকে নয়, একটি দীর্ঘমেয়াদী কৌশলগত অংশীদারিত্বের অংশ হিসেবেও দেখা যেতে পারে।
নিষেধাজ্ঞার বৈধতা নিয়ে বিশ্বব্যাপী বিতর্ক
আমেরিকা ও ইউরোপীয় ইউনিয়ন কর্তৃক আরোপিত নিষেধাজ্ঞা একতরফা এবং জাতিসংঘের অনুমোদন ছাড়াই প্রয়োগ করা হয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে অনেক দেশ এই নিষেধাজ্ঞাগুলো পালন করতে বাধ্য নয়। ভারতও এই দেশগুলোর মধ্যে অন্যতম, যারা তাদের নিজস্ব জ্বালানি নীতি স্বাধীনভাবে নির্ধারণ করছে। ভারতের এই অবস্থান আন্তর্জাতিক মঞ্চে সেই ক্রমবর্ধমান প্রবণতার ইঙ্গিত দেয় যেখানে দেশগুলো বহুপাক্ষিকতা এবং কৌশলগত স্বায়ত্তশাসনকে অগ্রাধিকার দিচ্ছে।
বহুধ্রুবীয় বিশ্ব ব্যবস্থায় ভারতের ভূমিকা
ক্রমবর্ধমান বিশ্ব রাজনীতি বহুধ্রুবীয় হওয়ার সাথে সাথে ভারতের এই পদক্ষেপ এটাই दर्शाता है যে তারা কোনো একটি মেরুর প্রভাবে না এসে নিজেদের নীতিকে संतुलित और व्यावहारिक রাখতে চায়। ভারত না আমেরিকা से टकराव চায়, না রাশিয়ার উপর নির্ভরতা বাড়াতে চায়, কিন্তু अपने आर्थिक हितों और ऊर्जा जरूरतों की अनदेखी भी नहीं कर सकता।