ইরাকের আল-কুত শহরে একটি নতুন হাইপার মলে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে ৫০ জনের মৃত্যু হয়েছে। বহু আহত এবং অনেকে নিখোঁজ। উদ্ধারকার্য এখনও চলছে।
Iraq Mall Fire: পূর্ব ইরাকের আল-কুত শহরে অবস্থিত একটি শপিং মলে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় পুরো দেশ স্তম্ভিত। এই দুর্ঘটনায় এখন পর্যন্ত কমপক্ষে ৫০ জনের মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করা হয়েছে, যেখানে বহু মানুষ আহত হয়েছেন। আগুনের ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে, যেখানে মলের ভেতরে ও বাইরে সর্বত্র ধোঁয়া ও আগুনের শিখা দেখা যাচ্ছে।
সম্প্রতি খোলা হাইপার মলে দুর্ঘটনা
গণমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ী, যে মলে আগুন লেগেছে সেটি সম্প্রতি খোলা হয়েছে। আল-কুত শহরে পাঁচ দিন আগে এই হাইপার মলটি জনগণের জন্য খোলা হয়েছিল। এর কয়েক দিন পরেই এই ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটল। আগুন এত দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে যে চোখের পলকে পুরো ভবনটি তার কবলে চলে যায়।
ফায়ার ব্রিগেড ও উদ্ধারকারী দলের তৎপরতা
আগুন লাগার খবর পাওয়া মাত্রই ফায়ার ব্রিগেডের দল দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে যায়। উদ্ধার ও ত্রাণ কাজ দ্রুত শুরু করা হয়। দমকল কর্মীরা মলের ভিতরে আটকে পড়া লোকজনকে উদ্ধারের চেষ্টা করেন। তবে আগুনের তীব্রতা এতটাই বেশি ছিল যে অনেককে বাঁচানো সম্ভব হয়নি। মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
বিস্ফোরণের মতো সংকেতের তদন্ত চলছে
যদিও আগুন লাগার কারণ এখনও স্পষ্ট নয়, তবে কিছু প্রতিবেদনে বলা হয়েছে যে আগুন লাগার আগে বিস্ফোরণের মতো শব্দ শোনা গিয়েছিল। এমতাবস্থায়, এই দুর্ঘটনার তদন্ত চলছে যে এটি কোনও প্রযুক্তিগত ত্রুটি ছিল নাকি কোনও অবহেলার ফল।
প্রশাসন কঠোর, মালিকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার প্রস্তুতি
ওয়াসিত প্রদেশের গভর্নর মোহাম্মদ আল-মিয়াহী এই ঘটনা সম্পর্কে আনুষ্ঠানিক তথ্য দিয়েছেন। তিনি বলেন, মল এবং বিল্ডিং মালিকের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। প্রশাসন খতিয়ে দেখছে মলে অগ্নিনিরাপত্তার ব্যবস্থা ছিল কিনা এবং সব নিয়মকানুন মানা হয়েছে কিনা।
আহতদের চিকিৎসা চলছে, অনেকে নিখোঁজ
দুর্ঘটনার পর এখনও অনেকে নিখোঁজ রয়েছেন। অনেক মৃতদেহের অবস্থা এতটাই খারাপ যে তাদের শনাক্ত করা কঠিন হয়ে পড়ছে। আহতদের কাছের হাসপাতালগুলোতে ভর্তি করা হয়েছে এবং তাদের জরুরি চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। প্রশাসনের মতে, উদ্ধারকারী দল এখনও মলের ভেতরে তল্লাশি চালাচ্ছে।
এলাকা খালি করা হয়েছে, মানুষের কাছে আবেদন
আগুন লাগার গুরুত্ব বিবেচনা করে মলের আশেপাশের এলাকা খালি করে দেওয়া হয়েছে। স্থানীয় প্রশাসন জনগণের কাছে গুজব এড়িয়ে চলার এবং কর্তৃপক্ষের নির্দেশাবলী অনুসরণ করার আবেদন জানিয়েছে। আরও বলা হয়েছে যে, যারা তাদের পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারছেন না, তারা সংশ্লিষ্ট হেল্পলাইন নম্বরে তথ্য নিতে পারেন।