নিউজিল্যান্ড দল এই মুহূর্তে জিম্বাবোয়ে সফরে রয়েছে, যেখানে দুই দেশের মধ্যে দুটি টেস্ট ম্যাচের সিরিজ খেলা হচ্ছে। সিরিজের দ্বিতীয় এবং শেষ টেস্ট ম্যাচটি ৭ই আগস্ট থেকে বুলাওয়ের কুইন্স স্পোর্টস ক্লাবে শুরু হবে।
সাপোর্টার্স নিউজ: নিউজিল্যান্ডের ফাস্ট বোলার জ্যাকব ডাফি ৩১ বছর বয়সে তার বহু প্রতীক্ষিত টেস্ট অভিষেক করতে চলেছেন। তিনি জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজের দ্বিতীয় এবং শেষ ম্যাচে কিউই দলের হয়ে মাঠে নামবেন। এই ম্যাচটি ২০২৫ সালের ৭ই আগস্ট থেকে বুলাওয়ের কুইন্স স্পোর্টস ক্লাবে খেলা হবে।
নিউজিল্যান্ড দলে চোটের ধাক্কা, ডাফিকে সুযোগ
নিউজিল্যান্ডের বর্তমান দল চোটের কারণে জর্জরিত। টম ল্যাথাম, নাথান স্মিথ এবং উইল ও'রোর্কের মতো প্রধান খেলোয়াড়রা চোটের কারণে সিরিজ থেকে ছিটকে গেছেন। এমন পরিস্থিতিতে টিম ম্যানেজমেন্ট অভিজ্ঞ বোলার জ্যাকব ডাফিকে টেস্ট ক্যাপ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। ডাফি ২০২০ সালে নিউজিল্যান্ডের হয়ে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে আত্মপ্রকাশ করেছিলেন। তিনি এখন পর্যন্ত ২৭টি টি-টোয়েন্টি আন্তর্জাতিক এবং ১৪টি ওয়ানডে ম্যাচে অংশ নিয়েছেন এবং তার ধারালো বোলিং দিয়ে প্রভাবিত করেছেন।
ফার্স্ট ক্লাস ক্রিকেটে ডাফির দুর্দান্ত রেকর্ড
জ্যাকব ডাফির ফার্স্ট ক্লাস কেরিয়ার খুবই প্রভাবশালী। তিনি এখন পর্যন্ত ১০৮টি প্রথম শ্রেণির ম্যাচ খেলেছেন, যেখানে তিনি ৩১৮টি উইকেট নিয়েছেন। তার বোলিং গড় ৩২.৭৯। এছাড়াও ডাফি ব্যাট হাতেও প্রয়োজনীয় অবদান রেখেছেন এবং ১৪৪৮ রান করেছেন। লিমিটেড ওভারের ক্রিকেটে ডাফি এখন পর্যন্ত ওয়ানডেতে ২৬টি উইকেট এবং টি-টোয়েন্টিতে ৩৮টি উইকেট নিয়েছেন।
টেস্ট ফরম্যাটে তার অভিষেক ক্রিকেটপ্রেমীদের জন্য খুবই রোমাঞ্চকর হতে চলেছে, কারণ তিনি একজন অভিজ্ঞ বোলার হওয়ার পাশাপাশি চ্যালেঞ্জিং পরিস্থিতিতে নিজেকে প্রমাণ করার ক্ষমতা রাখেন। নিউজিল্যান্ডের প্লেয়িং ইলেভেনে ডাফি ছাড়াও আরও কিছু নাম আলোচনায় রয়েছে যারা টেস্ট অভিষেক করতে পারেন। সম্ভাব্য খেলোয়াড়দের মধ্যে বেন লিস্টার, জ্যাক ফক্স এবং ম্যাট ফিশার রয়েছেন। নির্বাচকদের জন্য এটি একটি ভালো সুযোগ যে তারা নতুন প্রতিভাদের সুযোগ দেন এবং টেস্ট ক্রিকেটের গভীরতা বাড়ান।
প্রথম টেস্টে নিউজিল্যান্ডের দুর্দান্ত জয়
জিম্বাবুয়ে এবং নিউজিল্যান্ডের মধ্যে খেলা প্রথম টেস্ট ম্যাচে কিউই দল ৯ উইকেটে সহজ জয় পেয়েছে। প্রথমে ব্যাট করতে নেমে জিম্বাবুয়ের দল ১৪৯ রানে গুটিয়ে যায়। জবাবে নিউজিল্যান্ড ৩০৭ রান করে ১৫৮ রানের লিড নেয়। দ্বিতীয় ইনিংসেও জিম্বাবুয়ের দল তেমন কিছু করতে পারেনি এবং ১৬৫ রানে অলআউট হয়ে যায়। নিউজিল্যান্ড মাত্র ৮ রানের টার্গেট পায়, যা তারা ১ উইকেট হারিয়ে সহজেই অর্জন করে নেয়।