ঝুনঝুনুতে পারিবারিক বিবাদের জেরে আড়াই বছরের মেয়েকে অপহরণ বাবার, সিসিটিভি ফুটেজে চাঞ্চল্য

ঝুনঝুনুতে পারিবারিক বিবাদের জেরে আড়াই বছরের মেয়েকে অপহরণ বাবার, সিসিটিভি ফুটেজে চাঞ্চল্য
সর্বশেষ আপডেট: 14 ঘণ্টা আগে

রাজস্থানের ঝুনঝুনুতে বাবা তার আড়াই বছরের মেয়েকে অপহরণ করেছে। ঘটনাটি সিসিটিভি ক্যামেরায় ধরা পড়েছে। বাবা-মায়ের মধ্যে চলমান পারিবারিক বিবাদকেই এর কারণ হিসেবে বলা হচ্ছে। পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে।

ঝুনঝুনু: রাজস্থানের ঝুনঝুনুতে একটি চাঞ্চল্যকর ঘটনা সামনে এসেছে, যেখানে এক বাবা তার নিজের আড়াই বছরের মেয়ে বংশিকাকে অপহরণ করেছে। ঘটনাটি বৃহস্পতিবার দুপুরে ওয়ার্ড নম্বর ৫৬, রানি সতী রোড স্থিত জামাত মহলায় ঘটেছে। শিশুটি বাড়ির বাইরে খেলছিল, এমন সময় বাবা হেমন্ত সোনি সেখানে এসে তাকে কোলে তুলে নিয়ে পালিয়ে যায়। পুরো ঘটনাটি বাড়িতে লাগানো সিসিটিভি ক্যামেরায় ধরা পড়েছে।

কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা হরজিন্দর সিং জানিয়েছেন যে, নির্যাতিতা আকাঙ্ক্ষা সোনি তার স্বামী হেমন্ত সোনির বিরুদ্ধে অপহরণের মামলা দায়ের করেছেন। পুলিশ শিশুটির খোঁজে দলগুলিকে সক্রিয় করেছে।

সিসিটিভি ক্যামেরায় ধরা পড়া অপহরণের ঘটনা

ঘটনার সময় আকাঙ্ক্ষা কিছুক্ষণর জন্য ভেতরে গিয়েছিলেন। এই সময়ে হেমন্ত সোনি হঠাৎ সেখানে পৌঁছান এবং কোনো সতর্কতা ছাড়াই শিশুটিকে কোলে তুলে সেখান থেকে চলে যান।

সিসিটিভি ফুটেজে স্পষ্ট দেখা যাচ্ছে যে হেমন্ত শিশুটিকে কোলে তুলে গলিতে যাচ্ছেন। পরিবার শিশুটিকে খুঁজে বের করার আপ্রাণ চেষ্টা করেছে, কিন্তু কোনো সূত্র মেলেনি। সিসিটিভি ফুটেজের সাহায্যেই বাবার দ্বারা অপহরণের পুরো বিষয়টি প্রকাশ পেয়েছে।

পারিবারিক বিবাদের ঘটনা

তথ্য অনুযায়ী, আকাঙ্ক্ষা সোনির বিয়ে হেমন্ত সোনির সাথে ২০২২ সালের ২৮ নভেম্বর হয়েছিল। বিয়ের পর থেকেই দুজনের মধ্যে পারিবারিক বিবাদ শুরু হয়। আকাঙ্ক্ষার অভিযোগ যে, হেমন্ত প্রায়শই তার সাথে মারধর করত এবং শিশুটিকে কেড়ে নেওয়ার হুমকি দিত।

গত দু’বছর ধরে আকাঙ্ক্ষা এবং শিশুটি ঝুনঝুনুতে আকাঙ্ক্ষার বাবা পবন কুমার সোনির সাথে থাকত। বাবার দ্বারা মেয়ে অপহরণের এই ঘটনাটি এই পারিবারিক বিবাদেরই অংশ বলে মনে করা হচ্ছে। বর্তমানে মামলাটি আদালতে বিচারাধীন।

পুলিশের তদন্ত প্রক্রিয়া 

পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে। এএসআই সন্ত কুমারকে তদন্তকারী কর্মকর্তা হিসেবে নিয়োগ করা হয়েছে। শিশুটিকে খোঁজার জন্য দলগুলিকে সক্রিয় করা হয়েছে। পুলিশ পরিবার এবং আশপাশের এলাকাগুলিতে নিবিড় তল্লাশি অভিযান চালিয়েছে।

কোতোয়ালি কর্মকর্তা নাগরিকদের কাছে আবেদন করেছেন যে, যদি কেউ শিশুটির খোঁজ পান, তাহলে অবিলম্বে পুলিশকে জানান। পুলিশ এই বিষয়টিও তদন্ত করছে যে হেমন্ত অপহরণের ঘটনাটি আগে থেকে পরিকল্পনা করে ঘটিয়েছে নাকি সুযোগ বুঝে এই ঘটনাটি ঘটিয়েছে।

Leave a comment