বাংলাদেশে জিহাদি সংগঠনের উত্থান: উদ্বেগ ও তৎপরতা

বাংলাদেশে জিহাদি সংগঠনের উত্থান: উদ্বেগ ও তৎপরতা

বাংলাদেশে সরকার পরিবর্তনের সাথে সাথেই জিহাদি সংগঠনগুলোর কার্যকলাপ প্রকাশ্যে আসতে শুরু করেছে। মসজিদগুলোতে জিহাদের স্লোগান। শত শত জঙ্গি মুক্তি পেয়েছে। জামায়াতে ইসলামীর সমাবেশে রাজধানীতে চাঞ্চল্য।

Bangladesh Jihad: বাংলাদেশে (Bangladesh) ক্ষমতা পরিবর্তনের পর উগ্রবাদী ও নিষিদ্ধ ঘোষিত ইসলামী সংগঠনগুলোর কার্যকলাপ আবারও প্রকাশ্যে আসতে শুরু করেছে। ঢাকা स्थित জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে জুম্মার নামাজের পর কিছু জিহাদি সংগঠনের সমর্থকেরা প্রকাশ্যে 'জিহাদ'-এর সমর্থনে স্লোগান দেয় এবং নিজেদেরকে "মিলিট্যান্ট" বলে পরিচয় দেয়। এই ঘটনাগুলো দেশের অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা নিয়ে গুরুতর উদ্বেগ সৃষ্টি করছে।

মসজিদ থেকে উঠল জিহাদের স্লোগান

শুক্রবার ঢাকার বায়তুল মোকাররম মসজিদের বাইরে হিজবুত তাহরীর, আনসার আল-ইসলাম, বিলায়া বাংলাদেশ এবং জামায়াতে ইসলামীর মতো নিষিদ্ধ সংগঠনগুলোর কর্মীরা একত্রিত হয়। তারা 'জিহাদ চাই, জিহাদ দিয়ে বাঁচতে চাই', 'নারায়ে তাকবীর, আল্লাহু আকবর', 'আমরা কারা? মিলিট্যান্ট, মিলিট্যান্ট' ইত্যাদি স্লোগান দেয়। এই বিক্ষোভ নামাজের পর হয় এবং এতে বিপুল সংখ্যক যুবক অংশ নেয়।

মুক্তি পেয়েছে শত শত জঙ্গি

রিপোর্ট অনুযায়ী, ক্ষমতা পরিবর্তনের পর থেকে এ পর্যন্ত ৩০০ জনেরও বেশি অভিযুক্তকে জামিনে মুক্তি দেওয়া হয়েছে, যাদের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসবাদ বা উগ্রবাদী কার্যকলাপের সাথে জড়িত থাকার অভিযোগ ছিল। এই অভিযুক্তদের মধ্যে অনেককে আগে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছিল। জেল বিভাগের মতে, এই মুক্তির কারণ হল আদালত থেকে পাওয়া জামিন, কিন্তু বিশেষজ্ঞদের ধারণা, এই ধরনের ছাড় চরমপন্থাকে উৎসাহিত করতে পারে।

নিষিদ্ধ সংগঠনগুলো আবার সক্রিয়

পূর্ববর্তী আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে এই জিহাদি সংগঠনগুলোর উপর বোমা হামলা, সহিংসতা ও সন্ত্রাসের অভিযোগে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছিল। তবে, এখন পরিস্থিতি বদলাতে শুরু করেছে। কাগজে-কলমে এই সংগঠনগুলো এখনও নিষিদ্ধ, কিন্তু বাস্তবে তারা রাস্তায় ফিরে এসেছে। পোস্টার, স্লোগান ও সভার মাধ্যমে এই সংগঠনগুলো আবারও তাদের উপস্থিতি জানান দিচ্ছে।

চিহ্নিত সন্ত্রাসবাদীদের প্রত্যাবর্তন

গত ১১ মাসে জামাত-উল-মুজাহিদিন বাংলাদেশ (জেএমবি)-এর সঙ্গে জড়িত ১৪৮ জন অভিযুক্তকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে। এদের মধ্যে হিজবুত তাহরীর, আনসারুল্লাহ বাংলা টিম ও হামজা ব্রিগেডের মতো সংগঠনের সাথে জড়িত ব্যক্তিরাও রয়েছে। আনসারুল্লাহ বাংলা টিমের প্রধান বলে পরিচিত মুফতি জসিমুদ্দিন রহমানীকেও জামিন দেওয়া হয়েছে। রিপোর্ট অনুযায়ী, এখন তাকে প্রকাশ্যে সমর্থকদের সঙ্গে দেখা যাচ্ছে।

জামায়াতে ইসলামীর বড় সমাবেশ

এই ঘটনাগুলোর মধ্যে জামায়াতে ইসলামী ঢাকায় সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে একটি বড় সমাবেশের আয়োজন করেছে। এই সমাবেশটি শনিবার অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা এবং শুক্রবার থেকেই দেশজুড়ে দলের কর্মীরা রাজধানীতে আসা শুরু করেছেন। কিছু সমর্থককে ঐতিহ্যবাহী ইসলামী পোশাকে দেখা গেছে, আবার কিছু সমর্থক সাদা টি-শার্ট পরেছিলেন, যাতে লেখা ছিল "প্রথম ভোট লুটেরাদের বিরুদ্ধে" এবং "ভোট দিন तराजू কে"। 

 

Leave a comment