গুপ্তচরবৃত্তির অভিযোগে ধৃত জ্যোতির বাবা রাষ্ট্রপতির কাছে বিচার চাইলেন

গুপ্তচরবৃত্তির অভিযোগে ধৃত জ্যোতির বাবা রাষ্ট্রপতির কাছে বিচার চাইলেন

জ্যোতি মালহোত্রাকে গুপ্তচরবৃত্তির অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়েছে। বাবা রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি লিখে মেয়ের নির্দোষ হওয়ার দাবি করেছেন এবং পুলিশের বিরুদ্ধে জোর করে স্বাক্ষর নেওয়ার অভিযোগ করেছেন।

হিসার: পাকিস্তানের জন্য গুপ্তচরবৃত্তির অভিযোগে গ্রেফতার হওয়া ইউটিউবার জ্যোতি মালহোত্রাকে নিয়ে তাঁর বাবা রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে চিঠি লিখেছেন। তিনি মেয়েকে নির্দোষ বলেছেন এবং অভিযোগ করেছেন যে পুলিশ চাপ দিয়ে সাদা কাগজে সই করিয়েছে। পাশাপাশি, তিনি নিরপেক্ষ তদন্ত ও পলিগ্রাফি টেস্টের দাবি জানিয়েছেন। মামলার পরবর্তী শুনানি ১৮ অগাস্ট অনুষ্ঠিত হবে।

জ্যোতি মালহোত্রার বিরুদ্ধে গুপ্তচরবৃত্তির অভিযোগ, মুখ খুললেন বাবা

পাকিস্তানের জন্য গুপ্তচরবৃত্তির অভিযোগে ইউটিউবার জ্যোতি মালহোত্রার গ্রেফতারি যেখানে অনেক প্রশ্ন তুলেছে, সেখানে এই মামলাটি নতুন মোড় নিয়েছে। জ্যোতির বাবা হরিশ মালহোত্রা রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী ও কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে চিঠি লিখে পুলিশের তদন্তের দিকে আঙুল তুলেছেন।

চিঠিতে কী লেখা আছে?

হরিশ মালহোত্রা চিঠিতে দাবি করেছেন যে তাঁর মেয়ে নির্দোষ। তিনি বলেন, পুলিশ জোর করে চাপ দিয়ে জ্যোতির কাছ থেকে সাদা কাগজে স্বাক্ষর করিয়েছে। এই কাজ কেবল অনৈতিকই নয়, একজন নাগরিকের মৌলিক অধিকারের লঙ্ঘনও বটে। তিনি অনুরোধ করেছেন, পুরো বিষয়টির নিরপেক্ষ তদন্ত করা হোক, যাতে সত্য বেরিয়ে আসে।

কোনো ठोस প্রমাণ পেশ করতে পারেনি পুলিশ

চিঠিতে এও উল্লেখ করা হয়েছে যে পুলিশ এখনও পর্যন্ত আদালতে কোনো ठोस প্রমাণ পেশ করতে পারেনি, যা প্রমাণ করতে পারে যে জ্যোতি রাষ্ট্রদ্রোহের মতো গুরুতর অপরাধ করেছে। হরিশ মালহোত্রা বলেন, যখন থেকে তাঁর মেয়েকে গ্রেফতার করা হয়েছে, তখন থেকে পুরো পরিবার মানসিকভাবে বিপর্যস্ত।

পলিগ্রাফি টেস্টের দাবি

জ্যোতির বাবা চিঠিতে বিশেষভাবে দাবি করেছেন যে তাঁর মেয়ের পলিগ্রাফি টেস্ট করানো হোক। তাঁর মতে, যদি তদন্তকারী সংস্থাগুলোর সন্দেহ থাকে, তবে वैज्ञानिक পদ্ধতিতে যাচাই করা উচিত। পলিগ্রাফ টেস্টের মাধ্যমে সত্য ও মিথ্যার মধ্যে পার্থক্য স্পষ্টভাবে বোঝা যেতে পারে।

১৮ অগাস্ট পরবর্তী শুনানি

এই মামলার পরবর্তী শুনানি ১৮ অগাস্ট হওয়ার কথা আছে। অভিযুক্ত পক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট কুমার মুকেশ জানিয়েছেন, ১৫ অগাস্ট এই মামলাটি ৯০ দিন পূর্ণ করবে। এমন পরিস্থিতিতে, পুলিশের জন্য আইনত বাধ্যতামূলক যে তারা ৯০ দিনের মধ্যে চার্জশিট দাখিল করে। যদি তা না হয়, তবে অভিযুক্ত জামিন পাওয়ার অধিকারী হতে পারে।

কোভিড কালের পর ব্লগিং কেরিয়ার শুরু করেছিলেন

হরিশ মালহোত্রা চিঠিতে তাঁর মেয়ের পটভূমিও স্পষ্ট করেছেন। তিনি জানান, জ্যোতি নয়ডার একটি বেসরকারি কোম্পানিতে কাজ করতেন, কিন্তু কোভিড-১৯ অতিমারীর সময় কোম্পানি কর্মী ছাঁটাই করার কারণে তাঁর চাকরি চলে যায়। এর পরে তিনি ব্লগিং শুরু করেন এবং 'Travel With Jo' নামে একটি ইউটিউব চ্যানেল চালান।

ধর্মীয় यात्रा पर পাকিস্তান গিয়েছিলেন

চিঠিতে এও লেখা হয়েছে যে জ্যোতি কোনো গোপন অভিসন্ধি নিয়ে পাকিস্তান সফর করেননি, বরং তিনি কার্তারপুর সাহেব করিডোরের মাধ্যমে গুরুদ্বার দর্শনের জন্য গিয়েছিলেন। এর জন্য তিনি ২০২৩ সালে বৈধ ইটিএ (Electronic Travel Authorization)-এর অধীনে আবেদন করেছিলেন এবং সরকারের অনুমোদিত প্রক্রিয়ার অধীনে যাত্রা করেছিলেন।

পুরো বিষয়টি কী?

सिविल लाइन थाना पुलिस ১৬ মে, ২০২৫ তারিখে নিউ অগ্রসেন কলোনির বাসিন্দা ইউটিউবার জ্যোতি মালহোত্রাকে পাকিস্তানের জন্য গুপ্তচরবৃত্তি করার অভিযোগে গ্রেফতার করে। ১৭ মে পুলিশ তাঁকে আদালতে পেশ করে পাঁচ দিনের রিমান্ডে নেয়। এই সময় পুলিশ জ্যোতির ল্যাপটপ, মোবাইল এবং কিছু অন্যান্য নথি জব্দ করে।

রিমান্ডের সময় জ্যোতিকে বিভিন্ন তদন্তকারী সংস্থা এবং অন্যান্য রাজ্যের পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদ করে। যদিও, এখনও পর্যন্ত सार्वजनिक तौर पर यह स्पष्ट नहीं हो पाया है कि जांच एजेंसियों ने कोई ठोस सबूत प्राप्त किया या नहीं। फिलहाल, জ্যোতি न्यायिक हिरासत में है और आगामी सुनवाई की प्रतीक्षा कर रही हैं।

Leave a comment