কানপুর মিশ্রী বাজার বিস্ফোরণ: ৬ সন্দেহভাজন আটক, এটিএস ও এনআইএ তদন্তে

কানপুর মিশ্রী বাজার বিস্ফোরণ: ৬ সন্দেহভাজন আটক, এটিএস ও এনআইএ তদন্তে

কানপুরের মিশ্রী বাজারে বুধবার সন্ধ্যায় বিস্ফোরণে ছয় সন্দেহভাজনকে আটক করা হয়েছে, এটিএস এবং এনআইএ তদন্তে নেমেছে। পুলিশ প্রচুর পরিমাণে অবৈধ বাজি উদ্ধার করেছে এবং এলাকায় তল্লাশি অভিযান অব্যাহত রেখেছে।

কানপুর: থানা মূলগঞ্জ এলাকার মিশ্রী বাজারে বুধবার সন্ধ্যায় হওয়া বিস্ফোরণে এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশ বিস্ফোরণের ঘটনাটিকে অবৈধ বাজির সঙ্গে যুক্ত করেছে। এই বিস্ফোরণে আটজন আহত হয়েছেন, যাদের মধ্যে চারজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাদের লখনউতে স্থানান্তরিত করা হয়েছে। ঘটনার পর পুলিশ পুরো এলাকায় তল্লাশি অভিযান জোরদার করেছে এবং এখন পর্যন্ত ছয়জন সন্দেহভাজনকে আটক করা হয়েছে। নিরাপত্তা সংস্থাগুলির উচ্চ-পর্যায়ের দল, এটিএস এবং এনআইএ, এই ঘটনার তদন্ত করছে।

বিস্ফোরণের শব্দ এতটাই তীব্র ছিল যে এটি প্রায় ৫০০ মিটার থেকে ১.৫ কিলোমিটার দূর পর্যন্ত শোনা গেছে। আশেপাশের বাড়ির দেয়াল ফেটে গেছে, দোকানের কাঁচ ভেঙে গেছে এবং একটি খেলনার দোকান সম্পূর্ণরূপে ধ্বংস হয়ে গেছে। ধোঁয়ার মেঘ ছড়িয়ে পড়ায় স্থানীয় মানুষ ও দোকানদাররা আতঙ্কিত হয়ে পড়েন। ঘটনাস্থলে উপস্থিত লোকজন আহতদের দ্রুত হাসপাতালে নিয়ে যান।

মিশ্রী বাজারে বুধবার সন্ধ্যা ৭:১৫ মিনিটে বিস্ফোরণ

ঘটনাটি ঘটে বুধবার সন্ধ্যা প্রায় ৭:১৫ মিনিটে মিষ্টন রোডের মিশ্রী বাজারে। এই বাজারটি স্থানীয়দের কাছে 'বিন্দি বাজার' নামে পরিচিত। বিস্ফোরণটি মসজিদের পাশে দাঁড়িয়ে থাকা দুটি স্কুটিতে হয়, যার মধ্যে একটির নম্বর UP-78 EW 1234 বলে জানানো হয়েছে।

স্থানীয়রা জানিয়েছেন যে বিস্ফোরণের পর আশেপাশের লোকেরা আতঙ্কিত হয়ে পড়েছিলেন। দোকানের কাঁচ ভেঙে গেছে এবং অনেক দোকানের জিনিসপত্র ছড়িয়ে ছিটিয়ে গেছে। একটি খেলনার দোকান সম্পূর্ণরূপে ধ্বংস হয়ে গেছে, পাশাপাশি বেশ কয়েকজন সামান্য আহতও হয়েছেন। স্থানীয় নাগরিকরা দ্রুত আহতদের হাসপাতালে নিয়ে যান।

পুলিশ ও নিরাপত্তা সংস্থাগুলির পদক্ষেপ

যুগ্ম পুলিশ কমিশনার (আইনশৃঙ্খলা) আশুতোষ কুমার জানিয়েছেন যে স্কুটির সামনের অংশ সম্পূর্ণরূপে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। প্রাথমিক তদন্তে বিস্ফোরণটি অবৈধ বাজির কারণে হওয়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে। স্কুটির মালিক একজন স্থানীয় যুবক, যে তার বাবার সাথে বাজারে এসেছিল এবং বাজি কেনার কথা বলছিল।

পুলিশ পুরো এলাকায় তল্লাশি অভিযান চালায়, যেখানে বেশ কয়েকটি দোকান থেকে প্রচুর পরিমাণে অবৈধ বাজি উদ্ধার করা হয়। এর পাশাপাশি এলাকার সিসিটিভি ফুটেজও তদন্তের জন্য জব্দ করা হয়েছে।

এটিএস এবং এনআইএ দায়িত্ব গ্রহণ করেছে

ঘটনার পর এটিএস এবং এনআইএ-এর দল ঘটনাস্থলে পৌঁছায়। পুলিশ সূত্র অনুযায়ী, এখন পর্যন্ত ছয়জন সন্দেহভাজনকে আটক করা হয়েছে এবং জিজ্ঞাসাবাদ চলছে। তদন্তে এটি খুঁজে বের করার চেষ্টা করা হচ্ছে যে কে বাজি অবৈধভাবে মজুত করেছিল এবং বিস্ফোরণের সঠিক কারণ কী ছিল।

পুলিশ কমিশনার রঘুবীর লাল বলেছেন যে কাউকে রেহাই দেওয়া হবে না এবং সকল সন্দেহভাজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। এলাকায় নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে এবং স্থানীয় প্রশাসন দোকানদার ও নাগরিকদের সতর্ক থাকার জন্য সতর্কবাণী দিয়েছে।

দীপাবলির সময় নিরাপত্তা চ্যালেঞ্জ

মিশ্রী বাজারে দীপাবলির সময় ভিড় এবং বাজি বিক্রির কারণে নিরাপত্তা চ্যালেঞ্জ বেড়েছে। স্থানীয়রাও এই ঘটনায় আতঙ্কিত। পুলিশ এলাকায় অতিরিক্ত টহল বাড়িয়েছে এবং দোকানে অবৈধ বাজি বিক্রি বন্ধ করার জন্য অভিযান চালানো হচ্ছে।

বিশেষভাবে, এই ঘটনাটি এই প্রশ্ন তোলে যে উৎসবের সময় জনবহুল বাজারগুলিতে নিরাপত্তা কীভাবে নিশ্চিত করা যায়। প্রশাসন সতর্ক করে দিয়েছে যে কোনো ধরনের অবহেলা বরদাস্ত করা হবে না।

Leave a comment