কর্নাটকের মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে আপস, কাজে ফিরলেন পুলিশ অফিসার

কর্নাটকের মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে আপস, কাজে ফিরলেন পুলিশ অফিসার

কর্ণাটকের মুখ্যমন্ত্রী সিদ্দারামাইয়া পুলিশ অফিসার নারায়ণ বরমণির সঙ্গে আপস করেছেন। কয়েক দিন আগে ভাইরাল হওয়া একটি ভিডিওতে থাপ্পড় মারার ইঙ্গিত ছিল। এখন অফিসার কাজে ফিরেছেন এবং বিতর্ক মিটে গেছে।

Karnataka: কর্ণাটকের রাজনীতিতে সম্প্রতি যে ঘটনা ঘটেছে, তা রাজ্য সরকার এবং প্রশাসনের সম্পর্কের উপর প্রশ্ন তুলেছিল। মুখ্যমন্ত্রী সিদ্দারামাইয়ার একটি ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়, যেখানে তিনি এক পুলিশ অফিসারকে থাপ্পড় মারার ইঙ্গিত করেন। এই ভিডিওটি দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে এবং এর বিরুদ্ধে তীব্র প্রতিক্রিয়া আসে। বিষয়টি বাড়তে থাকে এবং সংশ্লিষ্ট অফিসার এএসপি নারায়ণ বরমণি অসন্তোষ প্রকাশ করে ভিআরএস অর্থাৎ স্বেচ্ছাবসর গ্রহণের আবেদন করেন।

সিএম সিদ্দারামাইয়া বিতর্ক শান্ত করেন

এই ঘটনার পরে, মুখ্যমন্ত্রী সিদ্দারামাইয়া ব্যক্তিগতভাবে বিষয়টি সমাধানের উদ্যোগ নেন। তিনি এএসপি নারায়ণ বরমণির সঙ্গে কথা বলেন এবং তাঁকে আশ্বস্ত করেন যে তাঁর কোনও অপমান করার ইচ্ছা ছিল না। এছাড়াও, রাজ্যের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জি পরমেশ্বর এবং ঊর্ধ্বতন পুলিশ কর্মকর্তারাও এই বিষয়ে হস্তক্ষেপ করেন এবং বরমণিকে কাজে ফেরার জন্য রাজি করান।

কাজে ফিরলেন এএসপি নারায়ণ বরমণি

আলোচনার পরে নারায়ণ বরমণি বুধবার পুনরায় কাজে যোগ দেন। তিনি জানান, তিনি তাঁর অনুভূতি কর্মকর্তাদের সামনে ব্যক্ত করেছেন এবং মুখ্যমন্ত্রী ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর আশ্বাসের পর তিনি এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। বরমণি বলেন, "আমি সবসময় আমার কর্তব্যকে সম্মান, সততা ও দায়িত্বের সঙ্গে পালন করেছি। আমার কাছে এই পোশাকটি আমার মায়ের মতোই সম্মানজনক।"

ভিআরএস-এর পিছনে আবেগপূর্ণ প্রেক্ষাপট

এই বিতর্কের জেরে বরমণি তিন পৃষ্ঠার একটি চিঠি লিখেছিলেন, যেখানে তিনি স্বেচ্ছাবসর চেয়েছেন। এই চিঠিতে তিনি লিখেছিলেন যে তিনি নিজেকে খুব অপমানিত বোধ করছেন। তিনি আরও বলেছিলেন যে এক মুহূর্তের জন্য তাঁর মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে বিতণ্ডা করার ইচ্ছা হয়েছিল, কিন্তু তিনি নিজেকে সামলেছেন, কারণ এতে প্রকাশ্যে আরও বেশি লজ্জাজনক পরিস্থিতি তৈরি হতে পারত। এই বক্তব্য তাঁর মানসিক চাপ এবং পরিস্থিতির গুরুত্বকে তুলে ধরে।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ এবং সমাধানের উদ্যোগ

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জি পরমেশ্বর পুরো ঘটনায় সক্রিয় ভূমিকা পালন করেন। তিনি বলেন, মুখ্যমন্ত্রীর কোনও অফিসারকে অপমান করার কোনও অভিপ্রায় ছিল না। তিনি বরমণির সঙ্গে দেখা করেন এবং তাঁকে একটি "ভালো পোস্টিং"-এর আশ্বাস দেন। একই সঙ্গে তিনি স্পষ্ট করেন যে অফিসারের পদত্যাগপত্র একটি আবেগপূর্ণ প্রতিক্রিয়া ছিল, যা গুরুত্ব সহকারে নেওয়া হয়নি। তাঁর মতে, এটি ছিল কেবল একটি ক্ষণিকের ক্রোধ, যা পরিস্থিতির সংবেদনশীলতায় উৎপন্ন হয়েছিল।

Leave a comment