আজকের ডিজিটাল বিশ্বে জিপিএস আমাদের দৈনন্দিন কাজের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ হয়ে উঠেছে। শুধুমাত্র মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রই নয়, ছয়টি প্রধান দেশ ও গোষ্ঠীর নিজস্ব নেভিগেশন সিস্টেম রয়েছে, যেমন GPS, GLONASS, BeiDou, Galileo, QZSS এবং ভারতের NavIC। এই সিস্টেমগুলি স্মার্টফোন, যানবাহন এবং নিরাপত্তা সরঞ্জামগুলিতে সঠিক অবস্থান ও নিয়ন্ত্রণ নিশ্চিত করে।
গ্লোবাল নেভিগেশন সিস্টেমস: বিশ্বে শুধুমাত্র ছয়টি দেশের নিজস্ব জিপিএস সিস্টেম রয়েছে: আজকের ডিজিটাল বিশ্বে জিপিএস স্মার্টফোন, যানবাহন এবং অন্যান্য ডিভাইসে সঠিক অবস্থান ও নেভিগেশনের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের GPS, রাশিয়ার GLONASS, চীনের BeiDou, ইউরোপের Galileo, জাপানের QZSS এবং ভারতের NavIC এই ক্ষেত্রের প্রধান সিস্টেম। এই সমস্ত সিস্টেম ক্রমাগত পৃথিবীতে সংকেত প্রেরণ করে এবং বিশ্বব্যাপী প্রযুক্তিগত স্বাধীনতা, নিরাপত্তা এবং কৌশলগত সুবিধার জন্য ব্যবহৃত হয়। সারা বিশ্বে এদের উপর নির্ভর করে স্মার্টফোন এবং নিরাপত্তা সরঞ্জাম চলে।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং রাশিয়ার জিপিএস সিস্টেম
বিশ্বের সবচেয়ে পুরানো এবং জনপ্রিয় জিপিএস মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র দ্বারা বিকশিত হয়েছে। এতে 24টিরও বেশি স্যাটেলাইট রয়েছে যা পৃথিবী থেকে প্রায় 20,200 কিলোমিটার উচ্চতায় ঘোরে। স্মার্টফোন এবং যানবাহনে ব্যবহৃত বেশিরভাগ নেভিগেশন এই সিস্টেমের উপর ভিত্তি করে তৈরি।
রাশিয়ার GLONASS সিস্টেমও পুরানো এবং 1980 এর দশক থেকে সক্রিয়। এতেও 24টি স্যাটেলাইট রয়েছে এবং কিছু অঞ্চলে এটি জিপিএস-এর চেয়ে ভালো পারফর্ম করে। উভয় দেশের সিস্টেমই বিশ্বব্যাপী সামরিক এবং বেসামরিক উভয় ব্যবহারের জন্য গুরুত্বপূর্ণ।
চীন, ইউরোপ এবং জাপানের জিপিএস সিস্টেম
চীনের BeiDou সিস্টেম পূর্বে আঞ্চলিক ছিল, কিন্তু এখন এটি সারা বিশ্বকে কভার করে এবং এতে 35টিরও বেশি স্যাটেলাইট রয়েছে। ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের Galileo সিস্টেম উচ্চ-নির্ভুলতার জন্য পরিচিত এবং এতে 28টি স্যাটেলাইট রয়েছে, যা বিশেষ করে বেসামরিক ব্যবহারের জন্য তৈরি করা হয়েছে।
জাপানের QZSS সিস্টেম এশিয়া-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের জন্য ডিজাইন করা হয়েছে। এটি জিপিএস-এর সাথে একত্রে কাজ করে এবং এমন অঞ্চলেও লোকেশন ডেটা সরবরাহ করে যেখানে জিপিএস সিগনাল দুর্বল হয়ে পড়ে।
ভারতের NavIC সিস্টেম
ভারতও এই ক্ষেত্রে পিছিয়ে না থেকে ইসরোর মাধ্যমে NavIC সিস্টেম তৈরি করেছে। এতে 7টি স্যাটেলাইট রয়েছে এবং এটি ভারত ও তার আশেপাশের অঞ্চলে অত্যন্ত সঠিক লোকেশন ডেটা সরবরাহ করে। 2013 সালে চালু হওয়া NavIC-কে নিরাপত্তা ও কৌশলগত উদ্দেশ্যে গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করা হয়।
NavIC শুধুমাত্র প্রযুক্তিগত স্বাধীনতার প্রতীক নয়, এটি ভারতকে বৈশ্বিক নেভিগেশন নেটওয়ার্কে প্রতিযোগিতায় টিকে থাকতেও সহায়তা করে।