তবে গিলের আগমন অর্থাৎ টি-টোয়েন্টি দলে ফেরার পর প্রশ্ন উঠছে তাঁর ব্যাটিং পজিশন নিয়ে। বর্তমানে ওপেনিং করছে অভিষেক শর্মা ও সঞ্জু স্যামসন, যারা ফর্মে ভালো। গিলকে কোথায় খেলানো হবে, তা নিয়ে সংশয় থেকেই যাচ্ছে। তার ব্যাটিং স্টাইল ও কৌশল থেকে অনুমান করা হচ্ছে, তিন নম্বরে খেলার সম্ভাবনাই বেশি। নির্বাচক দলকে এই বিষয়ে যুক্তিসংগত ও দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনা করতে হবে।
আইপিএলে ধারাবাহিক পারফরম্যান্স গিলের শক্তিশালী পক্ষে
গত তিন আইপিএল মরশুমে গিলের ব্যাটিং রানের পরিমাণ যথাক্রমে ৮৯০, ৪২৬ ও ৬৫০। স্ট্রাইক রেট যথাক্রমে ১৫৭.৮০, ১৪৭.৪০ ও ১৫৫.৮৮ ছিল, যা আধুনিক টি-টোয়েন্টি ব্যাটসম্যানের পরিচায়ক। এই পারফরম্যান্সই তাঁকে দলে ফেরানোর দাবিকে আরও জোরালো করে। ধারাবাহিকতার পাশাপাশি তাঁর কৌশলগত ক্ষমতা দলকে নতুন মাত্রা দিতে পারে বলে বোঝা যাচ্ছে।
ভবিষ্যতের নেতৃত্বের সম্ভাবনা, ওডিআই দলে সহ-অধিনায়ক হিসেবে গিল
শুধু টি-টোয়েন্টি নয়, গিলকে ভবিষ্যতের ওডিআই অধিনায়ক হিসেবেও বিবেচনা করা হচ্ছে। বর্তমানে তিনি দলের সহ-অধিনায়ক এবং অনেক ক্রিকেট বিশেষজ্ঞ মনে করেন, ২০২৭ সালের বিশ্বকাপে তিনিই ভারতের নেতৃত্ব দেবেন। বোর্ডও তাঁর নেতৃত্বের প্রতি আস্থা রেখে দলে তাকে গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব দিচ্ছে। এটি গিলের জন্য বড় সুযোগ এবং ভারতীয় ক্রিকেটের জন্য নতুন অধ্যায়ের সূচনা হতে পারে।
হার্দিক পান্ডিয়ার অবস্থান সংকটে, এশিয়া কাপে স্কোয়াডে পরিবর্তনের সম্ভাবনা
রোহিত শর্মা অধিনায়ক থাকাকালীন হার্দিক পান্ডিয়া ভারতীয় টি-২০ দলের সফল অধিনায়ক ছিলেন। তাঁকে নিয়ে অনেক সাফল্যের গল্প আছে। কিন্তু বর্তমানে গিলের উত্থান ও নেতৃত্ব গ্রহণের কারণে হার্দিকের দলে থাকা নিয়ে অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছে। বোর্ড কোন সিদ্ধান্ত নিচ্ছে, সেটাই এখন দেখার বিষয়। হার্দিক নিজের অবস্থান ধরে রাখতে পারবে কি না, তা নিয়ে ক্রীড়া মহলে আলোচনা শুরু হয়ে গেছে।
অতীত থেকে বর্তমান: গম্ভীরের কোচিংয়ে ভারতীয় দলে বড় পরিবর্তন
গম্ভীরের কোচিং সময় থেকে ভারতীয় দলের গঠন ও নেতৃত্বে ব্যাপক পরিবর্তন এসেছে। ২০২৪-এর টি-২০ বিশ্বকাপের পর যখন হার্দিককে স্থায়ী অধিনায়ক হওয়ার কথা ছিল, তখন কোচ ও নির্বাচকরা সূর্যকুমার যাদবকে নেতৃত্বে তুলে দেন। এতে হার্দিক সহ-অধিনায়ক হলেও দলে তাঁর অবদান কমে আসছে বলে মনে হয়। এবার আবার কি হার্দিকেরও কপাল পুড়তে চলেছে? বোর্ডের চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত অনেকেই মুখিয়ে আছেন।
সামনে কী অপেক্ষা করছে ভারতীয় ক্রিকেটের তরুণ নেতৃত্বের?
এশিয়া কাপ ২০২৫ হবে নতুন নেতৃত্বের জন্য একটি বড় মঞ্চ। গিলের মত তরুণ ক্রিকেটারদের জন্য এটি সুযোগ এবং চাপ দুটোই বহুগুণ। তাঁর সফলতা ভারতীয় দলের ভবিষ্যত গঠনে নতুন দিগন্ত উন্মোচিত করবে। অন্যদিকে হার্দিক, রোহিত, কোহলির মত অভিজ্ঞ ক্রিকেটারদের অবস্থান নিয়ে যে অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছে, তা দলীয় ভারসাম্যের ওপর প্রভাব ফেলবে। ক্রিকেট বোর্ডের সিদ্ধান্ত এখানে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।