কলকাতার কসবা ফের শিরোনামে। উঠতি মডেল এক তরুণীর অভিযোগে দুই সিনে-সংক্রান্ত ব্যক্তির বিরুদ্ধে ধর্ষণ মামলা রুজু হয়েছে। ঘটনায় ইতিমধ্যেই চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে বিনোদন মহলে ও সাধারণ মানুষের মধ্যে।
থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের
জানা গেছে, নির্যাতিতা তরুণী কসবা থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। তাঁর অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ ভারতীয় ন্যায় সংহিতার একাধিক ধারায় মামলা রুজু করেছে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে। অভিযুক্তরা হলেন এস এস উদ্দিন ও রাজর্ষি দে, যারা বিনোদন দুনিয়ার সঙ্গে যুক্ত বলে জানা গিয়েছে।
অভিযোগের সময়কাল ২০২৩ সালের অগস্ট
মডেল তরুণীর দাবি, ২০২৩ সালের অগস্ট মাসে অভিযুক্তরা তাঁকে প্রথম যৌন নির্যাতন করে। এরপর বহুবার বিভিন্ন সময়ে তাঁর ওপর শারীরিক নির্যাতন চালানো হয়। বিষয়টি গোপন রাখতে হুমকিও দেওয়া হয়েছিল বলে জানিয়েছেন তিনি। ফলে ভয় ও লজ্জায় এতদিন মুখ খোলেননি নির্যাতিতা।
ভুক্তভোগীর সঙ্গে অভিযুক্তদের আলাপের সূত্র
সূত্রের খবর, ওই তরুণী মডেলিং করছিলেন এবং চলচ্চিত্রে কাজ করারও চেষ্টা করছিলেন। সেই সূত্রেই এস এস উদ্দিন ও রাজর্ষি দে-র সঙ্গে তাঁর পরিচয় ঘটে। পরিচয়ের সুযোগ নিয়েই নাকি অভিযুক্তরা তাঁকে ফাঁদে ফেলে ভয়ঙ্কর নির্যাতন চালায়।
তদন্তে নেমেছে কসবা থানার পুলিশ
মামলা রুজুর পর থেকেই পুলিশ সক্রিয় হয়েছে। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ধর্ষণ-সহ একাধিক ধারায় অভিযোগ আনা হয়েছে। তবে এখনও কাউকেই গ্রেপ্তার করা হয়নি। প্রাথমিক তদন্ত শুরু করেছে কসবা থানার পুলিশ। নির্যাতিতার বক্তব্য, প্রমাণ এবং ঘটনার ধারাবিবরণী যাচাই করছে তদন্তকারী অফিসাররা।
কসবায় ধর্ষণের ঘটনায় ফের উত্তাল জনমত
উল্লেখ্য, এর আগেই চলতি বছর কসবায় আইন কলেজের এক ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগে ব্যাপক আলোড়ন সৃষ্টি হয়েছিল। সেই ঘটনায় অভিযুক্ত হয়েছিল দুই ছাত্র এবং এক প্রাক্তন ছাত্র— মনোজিৎ মিশ্র, প্রমিত মুখোপাধ্যায় ও জইব আহমেদ। এবার মডেল নির্যাতনের ঘটনায় ফের কসবা চর্চায়। জনমতের দাবি, অভিযুক্তদের দ্রুত গ্রেপ্তার করে কঠোর শাস্তি দেওয়া হোক।
পুলিশের সামনে বড় চ্যালেঞ্জ
এই অভিযোগের ফলে পুলিশের উপর চাপ বেড়েছে। একদিকে আইনি প্রমাণ সংগ্রহ, অন্যদিকে মডেলের সুরক্ষা ও মানসিক অবস্থার বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে দেখা হচ্ছে। বিশেষজ্ঞ মহলের মতে, এই মামলা শুধু কসবাই নয়, গোটা রাজ্যের আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়েও নতুন করে প্রশ্ন তুলছে।